Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দাম কমাতে পেট্রলে মিথানল মেশাবে ভারত

কলকাতায় হ্রাস পেল জ্বালানির মূল্য

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

পেট্রলে মিথানল নামে এক রাসায়নিক পদার্থ মেশানোর প্রস্তাব দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকারের বিবেচনাধীন। মূলত জ্বালানির দাম কমাতে এই পদক্ষেপ। গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, এপ্রিল মাস যত এগিয়ে আসছে ততই বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক সক্রিয়তা বাড়ছে। প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও পেট্রলে মিথানল মেশানোর প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয় অহেতুক গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ সরকারি নীতি-নির্ধারক সংস্থা নীতি আয়োগ-এর। বর্তমানে ভারতের যানবাহনে বিএস-ফাইভ বা ভারত স্টেজ-ফাইভ মানের জ্বালানি ব্যবহার করা হয়। যানবাহনের দূষণ কমাতে সেখান থেকে ভারত একলাফে বিএস-সিক্স মানের জ্বালানিতে চলে যাচ্ছে। ১ এপ্রিল থেকে তা কার্যকর হবে।

ইউরো-সিক্স মানের জ্বালানি ব্যবহারের কারণে এপ্রিলের শুরু থেকেই পেট্রল ও ডিজেলের দাম আর একদফা বাড়তে চলেছে। এ ক্ষেত্রে তেলের দাম লিটারে ৫০ পয়সা থেকে ১ রুপি পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে পেট্রলে ১৫ শতাঙ্ক হারে মিথানল মেশানোর প্রস্তাব দিয়েছে নীতি আয়োগ। পেট্রলের থেকে মিথানল অনেক সস্তা। এর দাম প্রতি লিটার ২০ রুপির কাছাকাছি। মিথানল মেশানো হলে প্রতি লিটার পেট্রলের দাম ১০ শতাঙ্ক পর্যন্ত কমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

পেট্রলে ১৫ শতাঙ্ক হারে মিথানল মেশানো হলে বিশ্ব বাজার থেকে ভারতে তেল আমদানির পরিমাণও হ্রাস পাবে। এতে লাভবান হবে কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি কমবে দূষণের মাত্রা।

ভারত তেল আমদানি নির্ভর দেশ। ঘরোয়া বাজারে মোট প্রয়োজনীয় তেলের প্রায় ৮০ শতাঙ্ক বিদেশ থেকে আমদানি করে ভারত। যার ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেল এবং টাকা-ডলারের বিনিময় মূল্যের অদলবদলের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের ঘরোয়া বাজারে খুচরো তেলের দাম পরিবর্তিত হয়।

এদিকে এক সপ্তাহ পর কাটল আশঙ্কা। শেষ পর্যন্ত কমল পেট্রোলের দাম। টানা একই জায়গায় দাম আটকে থাকায় অনেকেই দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা করছিলেন। শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। মঙ্গলবার সকালেই কলকাতায় পেট্রোলের দাম কিছুটা কমল। ক্রমে ৭৫ থেকে ৭৪ পেরিয়ে এবার ৭৩ টাকা প্রতি লিটারের দিকে নিম্নমুখী জ্বালানীর দাম। রোববারও পেট্রোলের দাম ছিল ৭৪.৫৮ টাকাই। সপ্তাহের প্রথম দিনও পেট্রোলের দাম ছিল ওই একই। শুধু তাই নয়। গত এক সপ্তাহ ধরে একই দাম ছিল গাড়ির তেলের।
ওদিকে ডিজেলের দামও পাঁচ পয়সা কমে ৬৬-এর ঘরে চলে এসেছে গতকাল। এদিন কলকাতায় ডিজেলের দাম ছিল ৬৬.৯৭ টাকা। রোবার এই দাম ছিল ৬৭.০২ টাকা। সোমবার দাম কমেনি। গতকাল কমেছে সেই দাম।

অন্যদিকে সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, চিনের হঠাত করে অপরিশোধিত তেলের চাহিদা কমে গিয়েছে। মারণ করোনা ভাইরাসের কারণে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অপরিশোধিত তেলের চাহিদা কমে গিয়েছে। যার ফলে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তেলের দাম কমেছে। ইতিমধ্যে ভারতেও কয়েক দফায় পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমেছে।

ইন্টারন্যাশানাল এনার্জি এজেন্সির ধারণা, এই বছরের প্রথম তিনমাসে গত বছরের তুলনায় ৪.৩৫ লাখ ব্যারল তেলের চাহিদা কমতে পারে। আর এই অবস্থা যদি চলতে থাকে তাহলে আগামী কয়েকদিন ভারতে পেট্রোল এবং ডিজেলের দামে আরও পতন ঘটবে। শুধু তাই নয়, এক ধাক্কায় ৪ টাকা পর্যন্ত কমতে পারে জ্বালানির দাম। যদিও এক ধাপে কমবে না বলেই মনে করছেন অর্থনীতির কারবারিরা। ধীরে ধীরে ভারতের মাটিতে তা কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র : এই সময় ও কলকাতা২৪।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পেট্রল-মিথানল
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ