Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব নাশ হয় পরমাণু বোমায়!

প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : পৃথিবীর মতো মঙ্গলগ্রহেও এক সময় বুদ্ধিমান প্রাণীর অস্তিত্ব ছিল। কিন্তু পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণে সেখানকার জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়। বোমাগুলো এতো শক্তিশালী ছিল যে, জীববৈচিত্য ধ্বংসের পাশাপাশি গ্রহটি শীতল ও বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বিখ্যাত প্রকৃতিবিদ ও লেখক জন ব্রান্ডেনবার্গ সম্প্রতি এ দাবি করেছেন। মঙ্গলগ্রহে জীবনের পরিসমাপ্তি কিভাবে ঘটেছিল অথবা কাদের আক্রমণে এর জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়েছিল-এ তথ্য উদঘাটনে সেখানে দ্রুত মনুষ্য মিশন পাঠানো দরকার বলে মতামত দিয়েছেন তিনি। ব্রান্ডেনবার্গ বলেন, মঙ্গলপৃষ্ঠে বিভিন্ন তেজষ্ক্রিয় পদার্থের উপস্থিতি প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এসব তেজষ্ক্রিয় মৌল পৃথিবীতে তৈরি হাইড্রোজেন বোমায় ব্যবহৃত তেজষ্ক্রিয় পদার্থের অনুরূপ। তিনি বলেন, সম্প্রতি উবধঃয ড়হ গধৎং নামে একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। এতে অনুমান করা হয়েছে, মানব সভ্যতার মতোই কোনো সভ্যতা মঙ্গলগ্রহে বিদ্যমান ছিল। কিন্তু তা ধ্বংস হয়ে গেছে। ব্রান্ডেনবার্গ বলেন, কোনো বিশেষ গোষ্ঠী বা মহাজাগতিক আক্রমণের মাধ্যমে মঙ্গলগ্রহে জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটেছে। পৃথিবী থেকে পাঠানো মঙ্গলগ্রহে অভিযান পরিচালনাকারী কিউরিসিটি রোভার এর পাশে বিভিন্ন গর্তের উপস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, এসব গর্ত কি বড় ধরনের পারমাণবিক হামলায় সৃষ্টি হয়েছে?
অনেক প্রকৃতিবিদ মনে করেন, গ্রহাণুর আঘাতের ফলে অনেক আগেই মঙ্গলে জীবনের সমাপ্তি ঘটেছে। কিন্তু ব্রান্ডেনবার্গ দাবি করেন, অন্য কোনো সভ্যতা অথবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন যন্ত্রের আক্রমণে গ্রহটির জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে গেছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, হয়তো পৃথিবীর এই মানবসভ্যতা ধ্বংসের সেই পথেই হাঁটছে। বিজ্ঞানীদের গবেষণায় মহাবিশ্বে অন্য কোনো বুদ্ধিমান প্রাণীর উপস্থিতি বা তাদের পাঠানো কোনো সিগন্যাল এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি, তার মানে কি তারা ধ্বংস হয়ে গেছে? এ প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, আসলে মহাজাগতিক সেই শক্তি আমাদের চূড়ান্তভাবে সতর্ক করছে আর তারা আমাদের এই পৃথিবী পর্যবেক্ষণ করছে।
তিনি আরও জানান, জ্যোতির্বিজ্ঞানী অ্যাডওয়ার্ড হ্যারিসন পরামর্শ দিয়েছেন, রেডিও সিগন্যালের মাধ্যমে কোনো সভ্যতা যদি অন্য কোনো সভ্যতার উপস্থিতি নিশ্চিত হয়, তাহলে তারা সেই সভ্যতাকে ধ্বংস করে দেয়। পরবর্তীতে যেন নিজেরাই আক্রমণের শিকার না হয়, সেজন্যই তারা ধ্বংসাত্মক এ পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়। সৌরজগতের নিকটবর্তী নক্ষত্রম-লেই পৃথিবীর মানবসভ্যতার ধ্বংস করার শক্তি বিরাজমান বলে ধারণা করা হয়। অ্যালিয়েন অথবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন যন্ত্র ধ্বংসাত্মক এসব শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।
ব্রান্ডেনবার্গের পরামর্শ, বুদ্ধিমান প্রাণীর জন্য সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হিসেবে বিবেচিত হয় অন্য কোনো বুদ্ধিমান প্রাণীর উপস্থিতি। মঙ্গলে জীবনের অস্তিত্ব ধ্বংসে কারা জড়িত ছিল -বিষয়টি জানতে পারলে পৃথিবীতে সম্ভাব্য সেই আক্রমণ প্রতিহত করার একটা উপায় হয়তো বের করা সম্ভব।
মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব বিদ্যমান ছিল এবং তা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে- এমন আবিষ্কার আমাদের স্মরণ করে দেয় মহাকাশ বিপজ্জনক একটি স্থান এবং আমাদের এই সভ্যতা টিকিয়ে রাখার জন্য আরও সতর্ক হতে হবে। তা না হলে আমরাও একইভাবে ধ্বংস হয়ে যাব। লেখক নিজেল ওয়াটসন বলেন, মঙ্গলগ্রহ পারমাণবিক বোমার আঘাতে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে- এ তথ্য ব্রান্ডেনবার্গ প্রথম দেন নাই। বাইবেলে উল্লেখিত মহাকাশ সম্পর্কিত বিভিন্ন ঘটনা এ বিষয়টি তুলে ধরেছে। হাজার-হাজার বছর আগেও পৃথিবীতে মহাকাশচারী ছিলেন এমন ধারণার প্রবক্তাও নিজেল ওয়াটসন। নিজেল ওয়াটসন বলেন, ওল্ড টেস্টামেন্টের (বাইবেলের সবচেয়ে পুরনো সংস্করণ) বুক অব জেনেসিস এ বলা হয়েছে, স্রষ্টা আকাশ থেকে সাদুম ও গোমারাহ শহরে (মৃত সাগর) সালফার ও আগুনের বৃষ্টি বর্ষণ করলেন (সমকামিতার শাস্তিস্বরূপ)। ওয়েবসাইট।
মেক্সিকোয় গুজম্যানের দলের বিরুদ্ধে অভিযানে নিহত ২
ইনকিলাব ডেস্ক : মেক্সিকোর যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তের কাছে দেশটির সবচেয়ে শক্তিশালী অপরাধী চক্র সিনালোয়ার একটি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে দলটির ২২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবারের এ অভিযানে দলটির দুই সদস্য নিহত হন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর কর্মকর্তারা। অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্রও উদ্ধার করা হয়। গত রোববার এক বিবৃতিতে মেক্সিকোর কেন্দ্রীয় পুলিশ জানায়, যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তের কাছে ছোট একটি মেক্সিকান শহরের কাছাকাছি মরুভূমির মধ্যে আস্তানা গেড়ে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী মাদক ও মানব পাচার করে আসছিল। কেন্দ্রীয় পুলিশ সেখানকার একটি ভবন ঘিরে ফেললে চক্রের দুই সদস্য পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে, পুলিশের পাল্টা গুলিতে ওই দুজন নিহত হন। যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত গোপনীয়তা রক্ষা করে এই অভিযানটি পরিচালনা করে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)। সিনালোয়ার প্রধান কুখ্যাত অপরাধী জোয়াকুইন ‘এল চ্যাপো’ গুজম্যানকে গ্রেপ্তার করার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চালানো এ অভিযান চক্রটির জন্য ‘বড় ধরনের আঘাত’ হয়ে দেখা দেবে বলে দাবি করেছেন অভিযানের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা। ছয় মাস আগে ‘এল চ্যাপো’ জেল থেকে পালানোর পর সম্প্রতি ফের তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিবিসি, রয়টার্স।
ভিক্ষুকের আছে নিজস্ব ওয়েবসাইট ব্যবহার করেন ক্রেডিট কার্ডও
ইনকিলাব ডেস্ক : তিনি ভিক্ষুক। তার কোন বাড়ি-ঘর নেই। থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রোয়েটের রাস্তায়। এভাবেই কেটে যাচ্ছে তার এক দশক। ভিক্ষা করলে কি হবে তার রয়েছে নিজস্ব ওয়েবসাইট। আছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম লিঙ্কডইন-এ একাউন্ট। আর ভিক্ষা নেন ক্রেডিট কার্ডে। অদ্ভুত এই ভিক্ষুকের নাম আবে হ্যাগেনস্টোন (৪২)। এক দশক আগে ডেট্রোয়েটে ব্যস্ত মার্কেটের পাশে সড়কে একটি ফাঁকা জায়গা দেখে সেখানে বসে পড়েন তিনি। সেই থেকে সেখানেই তার ঘরবাড়ি। সেখানে বসেই ভিক্ষা করে যাচ্ছেন। যেহেতু তিনি ভিসা, মাস্টার কার্ড, আমেরিকান এক্সপ্রেসের মাধ্যমে ভিক্ষার অর্থ গ্রহণ করেন, আছে নিজের ওয়েবসাইট তাই তাকে কেউ কেউ ডিজিটাল ভিক্ষুক হিসেবে অভিহিত করেন। ভিক্ষায় তিনি ব্যবহার করেন মোবাইল ফোনও। এর মাধ্যমে কার্ডের অর্থ প্রক্রিয়াজাত করেন। ক্রেডিট কার্ডকে পড়তে পারে এমন একটি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে তিনি দান করা অর্থ নিজের ব্যাংক একাউন্টে জমা করেন। তার ফোনের নাম দিয়েছেন ওবামাফোন। এ ফোনটি তাকে সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের লাইফলাইন অ্যাসিসট্যান্স প্রোগ্রাম। এখানেই শেষ নয়। তিনি দান করা অর্থ সংগ্রহ করেন লিঙ্কডইন পেজ ও তার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। ওয়েবসাইতে তিনি বিজ্ঞাপন দিয়েছেন ছোটখাটো কাজ হলেও তিনি করতে চান। এ সাইটের মাধ্যমে তিনি নতুন পরিকল্পনা করছেন। গৃহহীন মানুষের জন্য তিনি একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করতে চান, যারা ছোটখাটো কাজ খুঁজে ফিরছেন। এসব মানুষকে যেন তাদের পছন্দমতো কাজ জুটিয়ে দেয়া যায় সে জন্য তার এ লক্ষ্য। তিনি বলেন, আমার কাজকর্ম হলো গৃহহীন মানুষদের নিয়ে। যদি বছরের প্রতিদিন প্রতিজন পূর্ণ বয়স্ক মার্কিনির অর্ধেক এক পেনি করে দান করেন তা দিয়েই এটা করা সম্ভব। নিজের ব্লগে তিনি লিখেছেন, আমি নিজে যদি নিজেকে রাজপথ থেকে স্থায়ীভাবে প্রত্যাহার করতে পারি তাহলে আমি আরও একজনকে সহায়তা করতে পারবো। তারপর আরও একজনকে। তিনি এখানেই থেমে থাকেননি। এমন একটি অ্যাপ বানাচ্ছেন যা ভুয়া গৃহহীন মানুষকে সনাক্ত করতে পারবে। সনাক্ত করতে পারবে যে তারা আসলেই বেকার, তাদের মাথার ওপর ছাদ আছে কিনা। এ অ্যাপ ব্যবহার করে তিনি প্রকৃত ও ভুয়া গৃহহীন মানুষের একটি ডাটাবেজ তৈরি করতে চান। রয়টার্স, ওয়েবসাইট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব নাশ হয় পরমাণু বোমায়!
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ