মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আল আমিন ম-ল, গাবতলী (বগুড়া) থেকে
পবিত্র ঈদুল ফিতর কে সামনে রেখে বগুড়া শহরসহ গাবতলী উপজেলায় কেনাকাটার ধুম পড়েছে। ক্রেতাদের সমাগমে জমে উঠেছে ঈদবাজার। গ্রাম্যঞ্চলের হাটবাজারের বিপণিবিতানসহ মার্কেটগুলোতে ঈদ কেনাকাটায় ভিড় বাড়ছে। ঈদুল ফিতরের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে দোকানপাটগুলোতে বিক্রি বাড়ছে। জানা যায়, বগুড়া জেলার সকল মার্কেটসহ গাবতলী পৌর এলাকায় ও ১১ ইউনিয়নে মার্কেটগুলোতে হাজারো তরুণ-তরুণী প্রতিদিন কেনাকাটা করছে। অনেকেই পরিবার-পরিজনদের জন্য নতুন কাপড়, জুতা, গহনা, শিশুদের পোশাক কিনছে। আবার কেউ কেউ ছুটছে শহরের বড় বড় মার্কেটগুলোতে। নিম্নবিত্ত মানুষ ছুটছে ফুটপাতের দোকানগুলোতে। এই ঈদে পুরুষদের চেয়ে নারীদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। গতবছরের চেয়ে এ বছরে পোশাক ও ঈদসামগ্রীর দাম বেড়েছে। টেইলার্সগুলোতে অর্ডার নেওয়া ইতোমধ্যে বন্ধ হয়েছে। দর্জিপাড়ায় বাড়ছে কারিগরদের ব্যস্ততা। ফলে নতুন জামাকাপড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন দর্জিরা। দিনরাত কাপড় সেলাই মেশিনে বসে কাজ করছেন তারা। তবে রেডিমেইট পোশাকের চাইতে অনেকের পছন্দ বানোনো কাজ ব্যবহার করার। এবছরে দর্জিদের কদর বেড়েছে। রংধনু কালেকশন ও ইউনিক টেইলার্স এন্ড ফেব্রিক্স প্রোপাইটার মোঃ আব্দুল মালেক মালু জানান, এবারে ঈদে বেশ অর্ডার পেয়েছি। দম ফেলানোর সময় নেই। সবচেয়ে বেশি কাজ করতে হচ্ছে কারিগরদের। দিনরাত সমান তালে কাজ করছেন তারা। দোকানে নারী-পুরুষদের পাশাপাশি হুজুররা অর্ডার দিয়েছে। তরুণ ক্রেতা অহেদুল ইসলাম খোকন জানান, নতুন রেডিমেইট পোশাক কিনেছি। দামটা একটু বেশি। তবুও এ ঈদে নতুন পোশাক চায়। কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থী নিপা ও মাহি জানান, এবার ঈদে লং ড্রেস কিনেছি। তবে কসমেটিক্সের পাশাপাশি মেহেদী রং কিনতে হবে। ইউপি সদস্য মোছাঃ মাজেদা বেগম টুনি জানান, দ্রব্যসামগ্রীর দাম বৃদ্ধি হওয়ায় কেনাকাটা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবুও হতদরিদ্র মানুষের পাশে থেকে সহযোগিতা করছি। আশরাফুল গিফট হাউস প্রোপাইটার মোঃ মিঠু জানান, এ ঈদে বেচাকেনা নেই। ফলে অলস সময় কাটাচ্ছি। বিপণি দোকান মালিক মাহবুর, সুলতান, মিজান, পায়েল, লজিক ও কসমেটিক্স দোকান মালিক জাকির, রুহুল আমীন জানান, ঈদে বিক্রি ভালো হচ্ছে। ঈদের সময় যতই এগিয়ে আসছে বিক্রি ততই বাড়ছে। ঈদে কিশোর-কিশোরীরা নতুন পোশাক বেশি কিনছে। তবে তরুণদের পাঞ্জাবি, পায়জামা, শার্ট, টিশার্ট, জিন্স প্যান্ট, ফতুয়া। আর তরুণীরা কিনছে থ্রি-পিছ, সালোয়ার কামিজ, ওড়না, শাড়ি, কসমেটিক্স, জুতা সেন্ডেলসহ সকল প্রয়োজনীয় ঈদসামগ্রী। এছাড়াও পরিবারের প্রধান কর্তাগণ কিনছেন লাচ্ছা সেমাই, চিনি, কিসমিস, বাদাম, দুধ, পাউডার, লুডুলস, আতপ চাল ও মসলা সামগ্রী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।