Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জামিয়ায় পুলিশি তান্ডব : হাইকোর্টের রোষানলে কেন্দ্রীয় সরকার ও পুলিশ; ক্ষতিপূরণের নির্দেশ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৪:৪৯ পিএম

দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির ভেতরে ১৫ ডিসেম্বর রাতে তান্ডব চালায় পুলিশ। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে এবার হাইকোর্টের রোষানলে পড়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও দিল্লি পুলিশ। দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে অশান্তি সৃষ্টির দরুন জামিয়া কর্তৃপক্ষকে ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে দিল্লি পুলিশ।
১৫ ডিসেম্বর পুলিশের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি। আহত হন বহু ছাত্র। সেই ঘটনার জেরেই এবার ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছে পুলিশকে।
১৫ ডিসেম্বর রাতে জামিয়া মিলিয়ার লাইব্রেরির ভিতরে দিল্লি পুলিশের তান্ডব চালানোর সময় পুলিশের লাঠির ঘায়ে আহত হন শায়ন মুজিব নামের এক ছাত্র। আঘাত লাগে শায়নের পায়ে।
জানা গেছে, প্রায় ২ লাখ টাকা খরচ করে পায়ের চিকিৎসা করাতে হয় শায়নকে। রবিবার মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে জামিয়া মিলিয়া ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে ১৫ ডিসেম্বর রাতের একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করা হয়। সেই ফুটেজে দেখা যায়, উর্দি পরা কিছু পুলিশ লাঠি হাতে ভাঙচুর চালাচ্ছে লাইব্রেরির ভেতরে। ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে পুলিশ এলোপাথারি লাঠি চালাচ্ছে ছাত্রদের ওপর। ১৫ ডিসেম্বর রাতে পুলিশ ও সিআরপিএফের তান্ডব চালানোর ভিডিও দেখা যায়, পুলিশ ক্যাম্পাসের ভেতরে থাকা বাসগুলিতে নির্বিচারে আগুন লাগাচ্ছে। তবে, ছাত্রদের মারধরের সময় পুলিশের মুখ কাপড় ও রুমালে ঢাকা থাকায় তাদের চেনা সম্ভব হয়নি।
জামিয়ার ঘটনার পর থেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ উঠলেও লাঠি চালানোর ও ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে দিল্লি পুলিশ। এমনকি রবিবারের ভাইরাল ভিডিও দেখেও তারা দাবি করেন, এই ভিডিওটি 'সম্পাদিত'। তবে, ফুটেজটির সত্যতা যাচাই করতে এই ফুটেজটিকে বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থার কাছে পাঠানো হয়।
জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাজমা আখতার জানান, ১৫ তারিখ রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রবেশের আগে পুলিশ ও সিআরপিএফ কোনোরকম অনুমতি নেয়নি। সেদিন রাতে ক্যাম্পাসে থাকা ছাত্রদের ওপর লাঠিচার্জের পাশাপাশি টিয়ার গ্যাসও ছোঁড়ে পুলিশ। পুলিশের লাঠির আঘাতে প্রায় শতাধিক ছাত্র আহত হন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ