Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাগদাদে পৃথক বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দুই শতাধিক

প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ইরাকের রাজধানী বাগদাদে আইএসের পৃথক বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দুই শতাধিকে দাঁড়িয়েছে। গত রোববারের ওই হামলায় দুশোরও বেশি মানুষ আহত হয়েছিল বলে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এদের মধ্য থেকে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এদিকে পুলিশ ও মেডিকেল সূত্র সোমবার জানায়, এ ঘটনায় আরও ৩৫ জন নিখোঁজ রয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে লাশ উদ্ধার করার পর নিহতের সংখ্যা বেড়ে গেছে। এ উদ্ধার অভিযান এখনো চলছে। নিহত ছাড়া অনেককে আহত অবস্থায়ও উদ্ধার করা হয়েছে। এ বছর ইরাকে এটাই সবচেয়ে বড় ধরনের হামলা।
খবরে বলা হয়, রোববার ভোররাতে ও সকালে চালানো হামলা দুটির প্রথমটি ছিল আত্মঘাতী গাড়িবোমা হামলা। বাগদাদের কেন্দ্রীয় এলাকা কারাদার একটি ব্যাস্ত এলাকায় এ হামলায় দেড় শতাধিক নিহত এবং দুশোরও বেশি মানুষ আহত হয়।
কারাদার ঘটনার পরপরই বাগদাদের উত্তরাঞ্চলে একটি শিয়া এলাকার আল শাব বাজারে ভোররাতের দিকে আরেকটি বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ৪ জন নিহত হয় বলে পুলিশ ও চিকিৎসা কর্মীরা জানিয়েছে।
আইএস তাদের ওয়েবসাইটে এসব আত্মঘাতী হামলার দায় স্বীকার করেছে। ভোররাতে সেহরি খাওয়ার ব্যস্ত সময়ে রেস্তোঁরায় গাড়িবোমা বিস্ফোরণ ঘটায় আত্মঘাতী হামলাকারী। এতে প্রধান সড়কে বড় ধরনের একটি আগুনের কু-লি তৈরি হয়।
এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বিস্ফোরণে অন্তত চারটি ভবন ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অথবা আংশিক ধসে পড়েছে। ভবনগুলোর মধ্যে একটি শপিং মলও রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, শপিং মলটিই হামলার লক্ষ্য ছিল।
ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনী আইএস-এর দখল থেকে ফালুজা পুনরুদ্ধারে এক সপ্তাহ পর এ হামলা দুটি হলো। ফালুজার ঘাঁটি থেকে আইএস সদস্যরা বাগদাদে বোমা হামলা চালাতো বলে জানিয়েছিলো ইরাকি কর্তৃপক্ষ।
ইরাক ও সিরিয়ায় সরকারি বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত বিদ্রোহীদের অভিযানের মুখে চাপের মধ্যে রয়েছে আইএস। তবে চাপের মধ্যে থাকলেও তারা এখনও দেশ দুটির বিশাল এলাকা দখল করে রেখেছে। আইএস দখলকৃত এলাকাগুলোর মধ্যে ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুলও আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় গত মাসে ইরাকে আইএসের শক্ত ঘাঁটি ফালুজার নিয়ন্ত্রণ নেয় ইরাকি বাহিনী। ওই সময় ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদি বলেছিলেন, ফালুজা থেকেই বাগদাদে হামলা চালায় আইএস। হামলা বন্ধে তিনি পশ্চিমের শহরটি থেকে আইএস নির্মূলের অভিযান শুরুর নির্দেশ দিয়েছিলেন। এক মাস অভিযানের পর ২৬ জুন ইরাকি বাহিনী ফালুজা পুনরুদ্ধারের ঘোষণা দেয়।
ফালুজা পুনরুদ্ধারের পরও বাগদাদে বোমা হামলার ঘটনায় আবাদিকে স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। খবরে আরও বলা হয়, রোববার ভোরে বোমা হামলার পর আবাদি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে স্থানীয়রা প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর লক্ষ্য করে পাথর ও পানির বোতল ছুঁড়ে মারে।
সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও বাগদাদের নিরাপত্তা বিশ্লেষক জসিম আল-বাহাদলি বলেন, আইএস সদস্যরা ফালুজায় হেরে যাওয়ার কারণে এখন এ ধরনের আত্মঘাতী হামলা চালানোর চেষ্টা করছে। শুধুমাত্র একটি এলাকা থেকে বোমা হামলা পরিচালিত হতো, এমন চিন্তা করা সরকারের ভুল ছিল। বরং স্লিপার সেল সব জায়গায় ছড়িয়ে আছে এবং তারা স্বাধীনভাবেই হামলা পরিচালনা করছে। বিবিসি, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাগদাদে পৃথক বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দুই শতাধিক
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ