মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প যেন কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চাপিয়ে দিতে না পারেন, সে লক্ষ্যে আনা একটি প্রস্তাব মার্কিন সিনেটে পাস হয়েছে। বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের যুদ্ধ ক্ষমতা খর্বের এ প্রস্তাবটি ৫৫-৪৫ ভোটে অনুমোদিত হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা খর্বের এ প্রস্তাবে বেশ কয়েকজন রিপাবলিকান সিনেটর দলের অন্য সদস্যদের বিপক্ষে অবস্থান নেন; ট্রাম্পের নির্দেশে ড্রোন হামলায় ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার কাশেম সোলেমানিকে হত্যার কয়েক সপ্তাহ পর সিনেটে বিলটি পাস হল। ট্রাম্প বলেছেন, তিনি সিনেটের এ সিদ্ধান্তের বিপক্ষে ভিটো ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন। প্রেসিডেন্টের ভিটো উল্টাতে হলে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন লাগবে। বৃহস্পতিবার পাস হওয়া বিলটি তেহরানের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের অবস্থান নিয়ে ‘ভুল বার্তা’ দেবে বলে মন্তব্যও করেছেন কট্টর রিপাবলিকানদের কেউ কেউ। “আমাদের দৃঢ়তার বার্তা পাঠানো দরকার; দুর্বলতার নয়,” বলেছেন সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান জিম রিসচ। প্রস্তাবের উত্থাপক ডেমোক্রেট সিনেটর টিম কেইন বলেছেন, উচ্চকক্ষের এ ভোট কংগ্রেসের সামর্থ্য দেখাল; এতে সেনা মোতায়েনের যে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে কংগ্রেসের গুরুত্বও প্রতিফলিত হয়েছে। “বিলটি তার (ট্রাম্প) টেবিলে যাওয়ার অর্থই হচ্ছে, তাকে জানানো যে আমরা আমাদের সংসদীয় আসনের জনগণের কথা শুনছি। আমরা তাকে বলছি- নতুন একটি যুদ্ধে জড়ানোর পরিকল্পনা হবে সাংঘাতিক ভুল,” সিনেট ভোটের পর সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন কেইন। অপর এক খবরে বলা হয়, বিচার বিভাগ ও বিভিন্ন মামলা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একের পর এক টুইটে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার। প্রেসিডেন্টের টুইটের কারণে ‘কাজ করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছে’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। ট্রাম্পের সাবেক উপদেষ্টা রজার স্টোনের মামলায় বিচার বিভাগের ভ‚মিকা নিয়ে ব্যাপকতর তদন্তের মধ্যে বারের এ বিরল মন্তব্য এলো, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ট্রাম্প বিরোধীরাও দীর্ঘদিন ধরেই প্রেসিডেন্টের চাপে অ্যাটর্নি জেনারেল মাথা নত করে আসছেন বলে অভিযোগ করে আসছিলেন। “আমার মনে হয়, এখন সময় হয়েছে বিচার বিভাগের মামলাগুলো নিয়ে টুইট বন্ধ করার। (ট্রাম্পের) ধারাবাহিক ধারাবিবরণী আমাকে খাটো করছে, বিভাগের কাজগুলো করতে পারছি না আমি,” বলেছেন বার। সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের নেতা মিচ ম্যাককনেলেও অ্যাটর্নি জেনারেলের কথায় সমর্থন দিয়েছেন। “যদি অ্যাটর্নি জেনারেল বলে থাকেন যে তার কাজে সমস্যা হচ্ছে, তাহলে প্রেসিডেন্টের উচিত তার পরামর্শ মেনে চলা,” ফক্স নিউজকে এমনটাই বলেছেন প্রভাবশালী এ রিপাবলিকান নেতা। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।