নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দেশের নারী ফুটবল লিগ দীর্ঘদিন মাঠে গড়ায়নি। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ব্যবস্থাপনায় এই লিগ এবার আলোর মুখ দেখার অপেক্ষায় থাকলেও যেন অন্ধকারেই থেকে যাচ্ছে। এক দফা পিছিয়ে নারী ফুটবল লিগ শানিবার থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা আর হচ্ছেনা। দ্বিতীয় দফা পিছিয়ে নতুন দিনক্ষণ অনুযায়ী এই লিগ মাঠে গড়াবে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে। বহুল কাক্সিক্ষত নারী ফুটবল লিগ শুরুর নতুন তারিখ প্রসঙ্গে বাফুফে সাধারন সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেন,‘ক্লাবগুলোর আবেদনের প্রেক্ষিতে লিগের খেলা পেছানো হয়েছে। ২২ ফেব্রুয়ারি খেলা শুরু হবে বলে আমরা আশাবাদি।’
দীর্ঘ ছয় বছর পর লিগ বলেই বেশ আগ্রহ দেশের নারী ফুটবলারদের। এবারের লিগে ৮টি দল খেলছে। যদিও এর মধ্যে একটি মাত্র দল হচ্ছে ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খেলা বসুন্ধরা কিংসের। বাকি সাত দল অপরিচিতই দেশের ফুটবলপ্রেমীদের কাছে। বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা নারী লিগ শিরোপা জেতার জন্যই এবার দল গড়েছে। অন্যরা খেলতে হবে বলেই খেলছে! এবারের নারী লিগে অংশগ্রহণকারী দলগুলো হচ্ছে- বসুন্ধরা কিংস, এসি উত্তরবঙ্গ, বেগম আনোয়ারা স্পোর্টিং ক্লাব, নাসরিন স্পোর্টিং ক্লাব, কাচারিপাড়া একাদশ, কুমিল্লা ইউনাইটেড, স্বপ্নচূড়া অ্যান্ড আক্কেলপুর ফুটবল একাডেমি এবং স্পার্টান এমকে গ্যালাকটিকো সিলেট এফসি। নারী লিগ শুরুর সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত হওয়ার পর প্রথমদিকে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেছিল বিপিএলের অন্য দুই ক্লাব শেখ জামাল ধানমন্ডি ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। কিন্তু শেষ দিকে এসে নাম প্রত্যাহার করে নেয় তারা। তাদের এমন সিদ্ধান্তে কিছুটা হোঁচট খেলেও লিগ শুরুর ব্যাপারে বদ্ধপরিকর বাফুফে। তাই অধিকাংশ অপরিচিত দল নিয়েই লিগ শুরু করতে যাচ্ছে তারা।
পুরুষ দলের পাশাপাশি এবার নারী লিগেও চ্যাম্পিয়ন হতে চায় বসুন্ধরা কিংস। যে কারণে দলবদলে দেশের নামী-দামী এবং তারকা নারী ফুটবলারদের নিজেদের তাবুতে টেনেছে ক্লাবটি। তাই খেলা শুরুর আগেই কাগজে কলমে শক্তিশালী দল বলা যায় বসুন্ধরাকে। দলটির ফুটবলাররা যখন মাঠে খেলতে উদগ্রীব ঠিক তখনই আরেক দফা পেছালো লিগ। দু’দফা দলবদল করেও যথাসময়ে খেলা মাঠে গড়াতে পারেনি বাফুফের মহিলা উইং। বিশ্বস্ত সুত্র জানায়, ১২ ফেব্রুয়ারি বর্ধিত দলবদলের সময় শেষ হলেও নিজেদের প্রস্তুত করতে বেশ ক’টি ক্লাব আরো সময় চেয়েছে। যার প্রেক্ষিতে সাতদিন পেছানো হল এই লিগ।
সোহাগ আরো বলেন, ‘বেশ ক’টি ক্লাব নিজেদের প্রস্তুত করতে আমাদের কাছে একমাস সময় চেয়ে আবেদন করেছে। তবে আমরা মাঠে খেলা গড়ানোর স্বার্থে একমাস না হলেও এক সপ্তাহ সময় দিয়েছি তাদের। ফলে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকেই খেলা শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।