Inqilab Logo

রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মেসিকে ফেরানোর সমাবেশে ম্যারাডোনা-মাকরি

প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : অবেলিস্ক। আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সের সেন্ট্রাল এভিনিউতে অবস্থিত একটি স্মৃতিসৌধ। যেখানে ঐতিহ্যগতভাবে খেলাধুলার বিজয়কে উদযাপন করে থাকেন আর্জেন্টাইনরা। লিওনেল মেসিকে জাতীয় দলে ফেরাতে গেলপরশু সন্ধ্যায় সেই অবেলিস্কের সামনে জড়ো হয়েছিলেন তারা। সেখানে জনতার সঙ্গে কিংবদন্তি দিয়োগো ম্যারাডোনাকে নিয়ে হাজির হন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট মাউরিসিও মাকরিও। উপস্থিত জনতার একটাই দাবি, ‘অভিমান ভেঙে ফিরো এসো মেসি। এই মুহূর্তে জাতীয় দলকে ছেড়ে দিও না। তোমার অবসরের সিদ্ধান্ত অপ্রত্যাশিত! সাদা-আকাশী জার্সিতে তোমাকে আবারো দেখতে চাই।’ এক মেসি ভক্ত সান্তিয়াগো বারদারো বলেন, ‘আমি বলতে চাই, প্রত্যেক ৫০০ মিলিয়ন বছরে একজন মেসি জন্মায়। আমরা সেটাই উপভোগ করছি। বিধাতার কাছে এজন্য কৃতজ্ঞ যে আমরা সেই সময়টাতে বাস করছি।’
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট মাকরি একান্তভাবেই চাইছেন জাতীয় দলে ফিরে আসুন লিওনেল মেসি। লিওকে তিনি অনুরোধও করেছেন। তিনি আশা করছেন, অবসর ভেঙে মাঠে ফিরবেন মেসি। গোটা ফুটবল বিশ্ব ফের মেসি জাদুতে মোহিত হয়ে উঠবেন। তিনি বলেন, ‘ফের বলছি, মেসি ঈশ্বরের দান। আমরা ভাগ্যবান আমাদের দেশে বিশ্বের সেরা ফুটবলার রয়েছে। আমি আশাবাদী মেসি জাতীয় দলের হয়ে খেলবে। ও আমাদের ছেড়ে যাবে না।’ ডিয়েগো ম্যারাডোনা বলেন, ‘মেসি আবারও জাতীয় দলে ফিরবে। কেননা দলে তাকে খুবই প্রয়োজন। বিশ্বচ্যাম্পিন হতে রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলবে সে। এমনটাই আমার বিশ্বাস।’
২০০৭ সালে কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিলের কাছে ৩-০ ব্যবধানে পরাস্ত হয়েছিল আর্জেন্টিনা। ওটাই ছিল বড় কোনো আসরের ফাইনালে আর্জেন্টিনার হয়ে লিওনেল মেসির প্রথম হতাশা। এরপর ২০১৪ সালে ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনালে জার্মানির কাছে পরাজয়। ২০১৫ সালে কোপা আমেরিকার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে চিলির কাছে টাইব্রেকারে হার। বছর ঘুরতে একই ফল। ২০১৬ সালে টাইব্রেকারে সেই চিলির কাছে ধরাশায়ী হয়ে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে আর্জেন্টিনার। চারটা মেজর ফাইনালে এমন ফলে ভীষণ হতাশ দলীয় অধিনায়ক লিওনেল মেসি। কতটা কষ্ট পেলে মেসি এ কথা বলতে বাধ্য হন যে ‘আর্জেন্টিনার হয়ে ট্রফি আমার কপালে নেই!’ যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত সদ্য সমাপ্ত কোপা আমেরিকা ফাইনাল শেষে জাতীয় দলের জার্সি তুলে রাখার ঘোষণা দেন মেসি।
এদিকে, মেসি এমন আকস্মিক অবসর নেওয়ার পর তোপের মুখেই পড়েছে আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন (এএফএ)। অনেকেই অভিযোগ করছেন, এএফএর ভুল আর নানান ব্যর্থতার কারণেই অভিমানী মেসি এভাবে অল্প বয়সেই জাতীয় দলকে বিদায় জানিয়েছেন। এই অভিযোগকারীদের মধ্যে আর্জেন্টিনার বিশ্বখ্যাত তারকা কার্লোস তেভেজও রয়েছেন। তাদের দাবি, মেসির মতো একজন বিশ্বখ্যাত ফুটবলারকে কিভাবে ম্যানেজ করতে হয় তা জানা নেই এএফএর। নিজেদের স্বার্থ নিয়েই ব্যস্ত এএফএ কর্মকর্তারা। তাদের দুর্নীতি আর অযোগ্যতার কারণে আর্জেন্টিনা জাতীয় দল সত্যিকারভাবে একটি চ্যাম্পিয়ন দলে পরিণত হতে পারছে না। আর সেই ক্ষোভেই শেষ অব্দি নিজ দেশের জাতীয় দলকে বিদায় বলে দিয়েছেন মেসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মেসিকে ফেরানোর সমাবেশে ম্যারাডোনা-মাকরি
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ