মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গত ৬ জানুয়ারি পাকিস্তানের বালুচিস্তানের ঝব শহরের (আফগান সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত) বাবু মহল্লার একটি ছোট্ট কম্পাউন্ডে শতাধিক লোক সমবেত হয়। অতিথিদের জন্য মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়, নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ঝব মসজিদের প্রধান ইমাম মাওলানা আল্লাহ দাদ কাকার ভবনটির চাবি শহরের হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের কাছে হস্তান্তর করেন। এই ভবনটি ছিল হিন্দু মন্দির। ৭২ বছর আগে ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ বিভক্তির সময়ও এই মন্দিরটির অস্তিত্ব ছিল।
বালুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটা নগরী থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঝব একটি ঐতিহাসিক শহর। ব্রিটিশ রাজের সময় ফোর্ট স্যান্ডেম্যানের জন্য বিখ্যাত ঝব শহরে অনেক হিন্দু বাস করত। ১৯৪৭ সালের ভারতবর্ষ ভাগের সময় অনেক হিন্দু অঞ্চলটি ত্যাগ করে। তবে কিছু হিন্দু পরিবার থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। অবশ্য ২০০ বছরের পুরনো হিন্দুদের প্রধান মন্দিরটি বন্ধ হয়ে যায়। ৩৫ বছর আগে ভবনটিকে একটি স্কুলে রূপান্তরিত করা হয়। এদিকে ঝবের হিন্দুরা মাটি দিয়ে একটি অস্থায়ী উপাসনা স্থান নির্মাণ করেছিল। এটি যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে।
গত সপ্তাহে এই শহরে একটি দর্শনীয় আন্তঃধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়। সাধারণভাবে রক্ষণশীল শহর হিসেবে এটি পরিচিত হলেও হিন্দুদের সম্পত্তিটি তাদের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। স্কুলটি শহরের অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ঝবের ডিসি তাহা সালিম মন্দিরটি হস্তান্তরে ৭০ বছর দেরি হওয়ার জন্য হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
হিন্দু বল্মিক ব্রাদারহুড ঝবের চেয়ারম্যান সলিম জান বলেন, ঝবে প্রায় ৬০টি হিন্দু পরিবার বাস করে। ভারতবর্ষ বিভক্তির আগেই আমাদের পূর্বপুরুষেরা এখানে বসতি স্থাপন করেছিল। তারা বিভক্তির পরও এখানে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
অনুষ্ঠান শেষ হওয়া মাত্র অসাধারণ একটি ঘটনা শিরোনাম তৈরী করে। পাকিস্তানি মিডিয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মিডিয়াতেও হিন্দু মন্দিরকে হস্তান্তরের ঘটনাটি ফলাও করে প্রচার করা হয়। পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের মধ্যে এই ঘটনা বেশ স্বস্তি এনে দিয়েছে। এমনকি প্রতিবেশী ভারতেও ঘটনাটি ফলাও করে প্রচার করা হয়।
এই ঘটনাটি বিশেষ গুরুত্ব পাওয়ার কারণ হলো, পাকিস্তানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা চাপে থাকে বলে অতীতে ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়েছে। দেশটির মোট জনসংখ্যার ৯৬ ভাগ মুসলিম। হিন্দুরা মাত্র ১.৬ ভাগ। অনেক হিন্দু এখনো পাকিস্তান ত্যাগ করে ভারতে যাচ্ছে।
ধর্মীয় রক্ষণশীল দল জেইউআইএফের ঝব শাখার প্রধান মাওলানা সারোয়ার খান দি ডিপ্লোম্যাটকে বলেন, সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা আমাদের ইস্তেহারের অংশবিশেষ। এ কারণেই তারা মন্দিরটি হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে হস্তান্তর অনুষ্ঠানকে সমর্থন করেছে। তিনি বলেন, ইসলাম অমুসলিমদেরকে তাদের ধর্ম পালন করার অনুমতি দিয়েছে। তাহলে আমরা কেন তা বন্ধ করতে যাব। সূত্র: এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।