পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এখন ‘ওয়ান ইলেভেন’-এর কুশীলবরা এবং বিএনপি-জামাত চক্র একত্রিত হয়েছে। রাষ্ট্রকে বিরাজনীতিকরণের অপচেষ্টার অংশ হিসেবে সেদিন এক-এগারো সৃষ্টি করা হয়েছিল। সেই অপচেষ্টায় যারা যুক্ত ছিল, তারা এখনও সক্রিয়। আজকেও সু²ভাবে সেই অপচেষ্টা আছে।
গতকাল রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী’র ‘আমার দেখা ওয়ান ইলেভেন’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে এটি প্রমাণিত যে, শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কৌশল, নেতৃত্বের গুণাবলী, সাহস ও দূরদৃষ্টির কাছে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ প্রচন্ডভাবে পরাজিত। বিএনপি এবং তার দোসরেরা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে। সে কারণেই তারা ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে। রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে তারা ‘ওয়ান ইলেভেনে’র কুশীলবদের সাথে হাত মিলিয়ে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
‘ওয়ান ইলেভেন’ সংঘটনের কারণ চিহ্নিত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানত: দুটি কারণে ওয়ান ইলেভেন হয়েছিল। একটি হচ্ছে বিএনপির লাগামহীন দুর্নীতি, সরকার পরিচালনায় প্রচন্ড অব্যবস্থাপনা, হাওয়া ভবন তৈরি করে সমান্তরাল সরকার ব্যবস্থাপনা তৈরি করা এবং আরেকটি হচ্ছে দেশে জঙ্গিবাদের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা। এসমস্ত কারণে দেশে যে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তারা তৈরি করেছিল, সেটিরই সুযোগ গ্রহণ করেছিল যারা বিরাজনীতিকরণ করতে চায়।
ড. হাছান আরো বলেন, বাংলাদেশে একটি পক্ষ আছে যারা মনে করে, যারা রাজনীতি করে, তারা লেখাপড়া কম জানে, অনেকেই দুর্নীতিগ্রস্ত। এমন মনোভাব যাদের মধে আছে, তাদের সবসময় একটি চেষ্টা থাকে বিরাজনীতিকরণের জন্য। এটি পাকিস্তান আমলেও ছিল, পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খান মার্শাল ল’ জারি করেছিল। কিন্তু তা কোনোভাবেই গণতন্ত্রের সাথে যায়না।
সাংবাদিক লেখক সৈয়দ বোরহান কবীরের সভাপতিত্বে গ্রন্থকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোদাচ্ছের আলী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, কলামিস্ট সুভাষ সিংহ রায়, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব ডা. এম এ আজিজ, কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ সাপোর্ট ট্রাস্টের জাতীয় সমন্বয়ক ডা. শাহানা পারভীন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব শাবান মাহমুদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।