মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তৃতীয় ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন নিউক্লিয়ার সিকিউরিটি (আইকনস) উপলক্ষ্য সোমবার পাকিস্তান যে পুস্তিকা প্রকাশ করেছে, সেখানে দেশটির পারমাণবিক নিরাপত্তা সম্পর্কিত তথ্য দেয়া হয়েছে। অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনাতে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ) এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পাকিস্তানের পারমাণবিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে এই পুস্তিকা প্রকাশ করা হয়েছে।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘পারমাণবিক নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী করার জন্য ইসলামাবাদ যে সব পদক্ষেপ নিয়ে থাকে, সেগুলোর তথ্য প্রকাশ এবং পাকিস্তানে পারমাণবিক নিরাপত্তার বিষয়টি কতটা উচ্চ পর্যায়ের মনোযোগ পেয়ে থাকে, সেটি প্রকাশের প্রচেষ্টা হিসেবে এই পুস্তিকা প্রকাশ করা হয়েছে।’
এই পুস্তিকার কপি আইকনসের অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়, যার একটি কপি আনাদোলু এজেন্সি হাতে পেয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, পাকিস্তান একটি ‘সমন্বি ‘ ও ‘কার্যকর’ জাতীয় পারমাণবিক নিরাপত্তা সিস্টেম গড়ে তুলেছে, যেটা আন্তর্জাতিক মান ও নীতিমালা মেনে করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘এই সিস্টেমের মধ্যে রয়েছে বিশদ আইনি ও রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক – যেটা দ্বারা পারমাণবিক দ্রব্যাদি, রেডিওঅ্যাকটিভ বস্তু, এ সংশ্লিষ্ট্র ফ্যাসিলিটি এবং কর্মকাণ্ডের নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রিত হয়। এর সাথে রয়েছে শক্তিশালি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা এবং এ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, সম্পদ ও প্রশিক্ষিত জনশক্তি যারা এটা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করে।’
এতে ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে, ‘পারমাণবিক নিরাপত্তা বিষয়ক সেন্টার অব এক্সেলেন্সে আমাদের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ এবং পারমাণবিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চর্চা বিনিময়ের কেন্দ্রে পরিণত করা হয়েছে। পাকিস্তানের পারমাণবিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ কিছু আন্তর্জাতিক উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞ দ্বারা স্বীকৃত।’
এই পুস্তিকাটি ‘পাকিস্তানের নিউক্লিয়ার সিকিউরিটি রেজিম’ নিয়ে প্রকাশিত দ্বিতীয় পুস্তিকা। ২০১৬ সালের আইএইএ যে দ্বিতীয় ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন নিউক্লিয়ার সিকিউরিটি সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন, সেখানে ব্রশিউর আকারে প্রথম পুস্তিকাটি প্রকাশ করা হয়েছিল।
ভারত পাকিস্তানের অনেক আগে ১৯৭৪ সালে পারমাণবিক ক্লাবে যুক্ত হয়। ফলে ইসলামাবাদ দ্রুত এই সক্ষমতা অর্জনের ব্যবস্থা নেয়। আশির দশকে পাকিস্তান নিরবে নিজেদের পারমাণবিক সক্ষমতা অর্জন করে, যখন আফগান যুদ্ধে নড়বড়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপক্ষে তারা যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ছিল। সূত্র: এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।