Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আনোয়ারায় বোরো আবাদে ব্যস্ত কৃষক

নুরুল আবছার তালুকদার, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

আনোয়ারায় বোরো ধান রোপনে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কৃষকরা। প্রচন্ড শীত ও ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে মাঠে কাজ করে যাচ্ছে তারা। এ বছর উপজেলায় ৬ হাজার ৩ শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে ৩৪ হাজার ৯ শ’ ২৫ মেট্টিকটন বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে কৃষি অফিস জানিয়েছেন। উপজেলা কৃষি অফিস ১৫০ পরিবারকে বিনামূল্যে উন্নতমানের বীজ সহায়তা ও ৭৫০ কৃষককে ভর্তুকি কার্ড সুবিধা দিয়েছেন।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে বোরো রোপনের কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। এ বছর নতুন জাতের ধান ব্রি-৮৯ ও ব্রি-৮১, ডায়বেটিস-১৬, হাইব্রিড-১২০৩, বিনা-১০ ও বিনা-১৪ জাতের বীজ কৃষকদের বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ব্রি-২৬, ২৮, ২৯ ব্রি হাইব্রিড, বিআর ৩, বিআর ১৪ জাতের ধান রোপন করছে কৃষকেরা।পুরাতন জাতের মধ্যে ব্রি-৩৯, ব্রি-২২ রয়েছে। এদিকে নানা সমস্যার মধ্যেও বোরো চারা রোপনের জন্য কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন কৃষকেরা। গভীর নলক‚পের মাধ্যমে সেচ দিয়ে ধানের চারা রোপনের কাজ চলছে। তবে অধিকাংশ এলাকার সেচ পাম্পগুলোতে এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় বোরো চাষ শুরু সম্ভব হয়নি। তাই কৃষকদের মাঝে হতাশাও রয়েছে।
সরজমিনে দেখা যায়, এ এলাকার কৃষক এখন বোরো ধান রোপন নিয়ে সবাই ব্যস্ত সময় পার করছে। উপজেলার রায়পুর, বৈরাগ, বারশত, চাতরী, আনোয়ারা সদর, বারখাইন, বরুমচড়া, বটতলী, জুঁইদন্ডি, পরৈকোড়া ও হাইলধর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বোরোর আবাদ করা হয়। তবে কৃষি উপকরণের দাম বাড়ার ফলে চাষিরা ক্ষতির ভয়ে আবাদের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন। অপর দিকে ধানের দাম না থাকায় সবচেয়ে বিপাকে আছেন বর্গচাষিরা।
বারখাইনের শোলকাটা এলাকার চাষি মো. শাহাদাত (৪৫) জানান, তিনি ৭ কানি জমিতে বোরোর চাষ করেন। প্রতি কানিতে তার শ্রমিক, বীজ ও কীটনাশক মিলে খরচ পড়ে ৭ হাজার টাকা। এ বছর তিনি হাইব্রিড-১২০৩, সত্যতেজ-২৮, কেয়ার-২৬ জাতের ধানের চাষ করছে বলে জানান। কৃষি কার্ড থাকলেও কোনো সুবিধা পাননি বলে অভিযোগও করেন এ কৃষক।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ৬ হাজার ৩শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে ৩৫ হাজার মেট্টিকটন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। বিআর-২৮, ২৯, ব্রি-৮৯, ৮৮, ৮১ জাতের পাশাপাশি এ বছর ডায়াবেটিস-১৬ জাতের নতুন জাতের ধানের চারা লাগানো হচ্ছে। আনোয়ারা উপক‚লে লবনাক্তের পরিমাণ বেশি হওয়ায় এসব নতুন জাতের ধানে ফলন ভালো হবে বলে আশা করেন তিনি।
তিনি আরও জানান, এ বছর ৭৫০ জন কৃষক পরিবারকে কৃষি কার্ডের মাধ্যমে কৃষি উপকরণে ভর্তুকি প্রদান করা হয়েছে। মাঠকর্মীরা কৃষকদের সব ধরণের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কৃষক


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ