পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসকন মন্দির ও ইসকনের অন্যান্য স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন জঙ্গি সংগঠন আনসার আল-ইসলামের ৫ সদস্য। কিন্তু পারেননি তারা। পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে রাজধানীতে একত্রিত হলে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) হাতে ধরা পড়তে হয় তাদের। গত রোববার দিনগত রাতে সবুজবাগের বালুর মাঠ এলাকা থেকে আনসার-আল ইসলামের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করে সিটিটিসি। গতকাল সোমবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান সিটিটিসির যুগ্ম কমিশনার ইলিয়াস শরীফ।
তিনি জানান, এসময় তাদের কাছ থেকে তিনটি চাপাতি, তিনটি ব্যাগ ও চারটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। আটকরা হলো- মো. নিজাম উদ্দিন, মো. রায়হান ভূঁইয়া, মো. হানিফ উদ্দিন সুমন, শেখ ইফতেখারুল ইসলাম ওরফে আরিফ ও মুফতি মুসলিম উদ্দিন। সংগঠনের দাওয়াতী শাখার প্রধান নাজমুল ওরফে উসমান গণি ওরফে আবু আইয়ুব আল আনসারীর মাধ্যমে আটক ৫জন আনসার-আল ইসলামে উদ্বুদ্ধ হন। তারা নিজেদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন গোপন অ্যাপসে যোগাযোগ করতেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ইসকন মন্দির ও ইসকনের অন্যান্য স্থাপনায় হামলাসহ বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই ৫জঙ্গি একত্রিত হয়েছিলেন। পরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয় জানান তিনি।
আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি বলেন, তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, টেলিগ্রাম, অনলাইন চ্যাট গ্রুপ ও ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে যোগাযোগ করতেন এবং সংগঠনের অর্থ সংগ্রহ করতেন। দাওয়াতী শাখার প্রধান নাজমুল ইতোপূর্বে জঙ্গিবাদবিরোধী চলচ্চিত্র নির্মাণ করায় চলচ্চিত্র নির্মাতা খিজির হায়াত খানকে হত্যাচেষ্টা ও পরিকল্পনার সমন্বয় করেছিলেন। তিনি কুয়েতে থাকাকালীন টেলিগ্রাফে ‘এসো কাফেলাবদ্ধ হই’ গ্রুপের মাধ্যমে এই হত্যাচেষ্টার পরিকলনায় নেতৃত্ব দেন। এ ঘটনায় ২০১৮ সালে এই সংগঠনের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করার পর নাজমুল দেশে ফিরে পুনরায় সংগঠনের সদস্যদের মাধ্যমে নাশকতামূলক কর্মকান্ড শুরু করেন। তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও ওই কর্মকর্তা জানান। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।