মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের বিশিষ্ট সাংবাদিক ও প্রাক্তন রাজ্যসভা সদস্য প্রীতীশ নন্দী বলেছেন, ভারতে হিন্দুত্ব বলে এখন যেটাকে চালানো হচ্ছে, তার সঙ্গে হিন্দুইজম বা হিন্দু ধর্মের কোনও মিল তো দ‚রের কথা, যোগাযোগও নেই বিন্দুমাত্র। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের হিন্দুত্ব আসলে ওয়েপনাইজ্ড ভার্সান অফ হিন্দুইজম। আর সেটাকে কার্যকর করতে গিয়ে রাজনীতির দেদার দুর্বৃত্তায়ন (লুম্পেনাইজেশন) হচ্ছে। আর তাকে বৈধতা দেওয়া হচ্ছে (লেজিটিমাইজ্ড)। এটা হাস্যকর। এখন হিন্দু ও মুসলিমের মধ্যে কাটাকাটি, খুনোখুনির যত ঘটনা ঘটে চলেছে, দেশভাগের ঠিক পরেও সেই ভয়াবহতা ছিল না। থাকলে মুসলিমরা কবেই ভারত ছেড়ে পাকিস্তানে চলে যেত! বরং এ দেশে মুসলিমরা স্বাধীনতার পর রাজখাতিরই পেয়েছেন। এখনও পান, সেটা নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের পছন্দ না-ও হতে পারে। প্রীতীশ মনে করেন, ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করতে নামলে পিছনে সমর্থনের একটা সুন্দর ইজিচেয়ার থাকে। যেটা মট করে ভেঙে যায় না। তবে এর অত্যন্ত বিপজ্জনক দিকটা হল, এতে দেশের অভ্যন্তরীণ ক্রেতাবাজারটা খন্ডবিখন্ড হয়ে যায়। তার ফলে, বিনিয়োগে উৎসাহ হারিয়ে ফেপেলেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। তার কথায়, ‘‘সেটা হতে শুরুও করেছে। বিদেশি বিনিয়োগ বাড়া তো দ‚রের কথা, বরং কমছে।’’ তিনি বলেন, জাতপাতের রাজনীতির চেয়েও ভয়ঙ্কর ধর্ম নিয়ে রাজনীতি। জাতপাতের রাজনীতির ক্ষতি করার ক্ষমতা কম। কিন্তু ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করোনাভাইরাসের মতো। শক্তিশালী তো বটেই। তার সংক্রমণটা হয় খুব দ্রুত। তা অপ্রতিরোধ্যও। ভারতের বিশিষ্ট সাংবাদিক ও প্রাক্তন রাজ্যসভা সদস্য প্রীতীশ নন্দী এ কথা বলেছেন। আনন্দবাজার ডিজিটালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলছেন। জাতপাতের রাজনীতি তো ভারতে নতুন নয়। স্বাধীনতার পর থেকেই শুরু হয়েছে। চলছে, চলবেও। স্পষ্টবাক বলে সুপরিচিত ও ‘নিন্দিত’ (!) প্রীতীশ কিন্তু মনে করেন, তেমন একটা সর্বগ্রাসী ক্ষমতা নেই জাতপাতের রাজনীতির। শুনে খটকা লাগতে পারে। কারণ, শুধুই গোবলয়ে নয়, দেশের প্রায় সর্বত্রই জাতপাতের রাজনীতি করে টিকে থাকতে দেখা যায় রাজনৈতিক দলগুলিকে। ভেলা ভাসাতে হয় ভোট বৈতরণী পেরোতে। প্রীতীশ মনে করেন, ক্ষমতার নিরিখে জাতপাতের রাজনীতি দুর্বলই। কারণ, এ দেশে বিভিন্ন জাতের (কাস্ট) মধ্যেও যথেষ্ট বিভাজন রয়েছে। সাব-কাস্ট রয়েছে। জাতপাত-নির্ভর আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের সংখ্যা উত্তরোত্তর বেড়ে ওঠায় সেই বিভাজনরেখা গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে ক্রমশ। বিভাজন থেকেই বিরোধের স‚ত্রপাত হয়। ‹কলিশন› (সংঘর্ষ) হয়। তাই জাতপাতের রাজনীতি কিছুতেই শক্তপোক্ত, মজবুত হয়ে উঠতে পারে না। ভিতরে ভিতরে তা ফোঁপরা হয়ে যায়। সাব-কাস্টগুলির রেষারেষি, ধাক্কাধাক্কিতে। এটা অতীতে বহু বার প্রমাণিত হয়েছে। আগামী দিনে আরও হবে। প্রীতীশের মতে, এর ফলে, জাতপাতের ভোটের শতাংশের হিসাবটা এলোমেলো হয়ে যায়। কমে, বাড়ে। ধর্ম নিয়ে রাজনীতিতে যেটা একেবারেই হয় না। কারণ, কোনও ধর্মীয় স¤প্রদায়ের মধ্যে সেই বিভাজনরেখা থাকে না বললেই চলে। ধর্মের নামে সকলকে একই দিকে ছোটানো যায়। একবগ্গা। যুক্তি-তক্কোর পরোয়া না করে। খ্রিস্টানে বড়জোর দু’টো ভাগ। ক্যাথলিক, প্রোটেস্টান্ট। ইসলামেও তাই। শিয়া ও সুন্নি। হিন্দুদের মধ্যে সেই বিভাজনরেখাটা যদিও বা কিছু থেকে থাকে, রেষারেষি, মারামারি, কাটাকাটি নেই অন্তত। হিন্দুত্বের ছাতাটা ক্রমশই বড় হচ্ছে! হিন্দু বলে বোঝাতে হিন্দুত্বের ছাতাটাও কি বড় করা না হচ্ছে না ইচ্ছাকৃত ভাবে? উত্তরোত্তর। প্রীতীশ মনে করেন, সেটা খুবই দৃষ্টিকট‚ ভাবে হচ্ছে এখন ভারতে। বিভিন্ন তফশিলি জাতিকেও হিন্দু বলে চালানো হচ্ছে। শিখ, বৌদ্ধ, জৈনদেরও আনা হচ্ছে হিন্দু ছাতার তলায়! এখনও ছাতার বাইরে থাকা তফশিলি জাতিগুলিকে সেই ছাতার তলায় আনারও চেষ্টা চলছে। এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।