মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যৌন চিকিৎসা ও শিক্ষার ক্ষেত্রে বড় ধরনের সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বৃটেন। যৌন স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা দেশটির প্রথম সাড়ির দুটি দাতব্য সংস্থা বিষয়টি তুলে ধরে বৃটিশ সরকারের প্রতি অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে। এখনি যৌন চিকিৎসার জন্য আরো হাসপাতাল ও মানুষকে এ বিষয়ে যথাযথ তথ্য দিতে যৌন শিক্ষার জন্য বিনিয়োগ করার আহবান জানিয়েছে তারা। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, বৃটেনে এসটিআই বা যৌন রোগে আক্রান্তদের অর্ধেকেরই বয়স ২৫ এর নিচে। অবস্থা এতটাই ভয়াবহ যে প্রতি ৭০ সেকেন্ডেই দেশটিতে নতুন করে একজন যৌন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে দ্য টেরেন্স হিগিনস ট্রাস্ট ও বৃটিশ এসোসিয়েশন ফর সেক্সুয়াল হেলথ অ্যান্ড এইচআইভি। তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে বৃটিশ সরকার যৌন চিকিৎসায় ব্যায়ের পরিমাণ শতকরা ২৫ ভাগ কমিয়ে এনেছে।
তবে প্রতিবেদনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলো বৃটেনজুড়ে যৌন রোগের ভয়াবহতা বৃদ্ধি। এতে দেখা যায়, গত এক দশকে বৃটেনে শুধুমাত্র গনোরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যাই বেড়ে ২৪৯ শতাংশ। অপরদিকে সিফিলিসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৬৫ শতাংশ।
গবেষণায় আরেকটি বিষয় লক্ষ্য করা গেছে যে, আক্রান্তদের মধ্যে একটি বড় অংশ পুরুষ সমকামী। সিফিলিসে আক্রান্তদের ৭৫ শতাংশ ও গনোরিয়ায় আক্রান্তদের ৫০ শতাংশই তারা। এরমধ্যে আবার কৃষ্ণাঙ্গ ক্যারিবিয় ও কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকানদের মধ্যে এ হার বেশি।
গবেষণায় আরেকটি বিষয় দেখতে পাওয়া যায়। তা হলো, মানুষ যৌনবাহিত রোগ নিয়ে হাসপাতালে যেতে আগ্রহী নয়। যদিও তারা এ নিয়ে আতঙ্কিত। অ্যালেক্স জর্জ বলেন, একটি জিনিস আমাদের মনে রাখা উচিৎ যে নিজের শরীরের দেখাশুনা করা আমাদেরই দায়িত্ব। তাই হাসপাতালে এসে এ নিয়ে অসস্থি বোধ করার কিছু নেই।
গত কয়েক বছর ধরেই যৌনবাহিত রোগ সিফিলিস ও গনোরিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে। যুক্তরাজ্যে ২০১৬ সালের তুলনায় সিফিলিস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে গনোরিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ২২ শতাংশ।
এর আগের বছরও একই হারে দেশটিতে গনোরিয়া ও সিসিলিস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। দেশটিতে যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে গনোরিয়া ও সিলিস রোগ ছড়িয়ে পড়ায় অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই পরিস্থিতিতে গনোরিয়া শনাক্তকরণ পরীক্ষা চ্যালমাইডিয়া কমে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণদের গনোরিয়া ও সিসিলিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার সবচেয়ে বেশি। যেসব তরুণরা সমকামীতায় লিপ্ত, তাদের মধ্যে যৌনবাহিত রোগ আরও বেশি। শুধু যে শ্বেতাঙ্গরাই এ রোগে আক্রান্ত তা নয়, কৃষ্ণাঙ্গ ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকেরাও এর ভয়াবহতার শিকার। যৌনবাহিত রোগ এসটিআই এ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়েছে। তাদের ৪৮ শতাংশ-ই ২০১৭ সালে আক্রান্ত হয়েছেন।
২০১৭ সালে দেশটিতে ৭ হাজার সিফিলিস আক্রান্ত রোগী ক্লিনিকগুলোতে এসেছে। অন্যদিকে গনোরিয়া আক্রান্ত রোগী এসেছে ৪৬ হাজার। যুক্তরাজ্যের পাবলিক হেলথ বিভাগের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ কনডম ব্যবহারের জন্য তরুণদের উৎসাহিত করে আসছে। সূত্র: বিবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।