Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ব্যয় আছে গবেষণা নেই

বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা

ফারুক হোসাইন | প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রাথমিক লক্ষ্যই হলো গবেষণা করা। গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন জ্ঞানের সৃষ্টি ও শাখার উদ্ভাবন করা। উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা, তত্ত্ব উদ্ভাবনা করেন, আবিস্কার করে দেশকে নতুন পথ দেখানো এবং জাতিকে জ্ঞান-বিজ্ঞানের উচ্চ শিখরে আসীন করার কথা। অথচ অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই এই লক্ষ্য পূরণ করতে পারছে না। বিশ্ববিদ্যালয় আইনে গবেষণা বাধ্যতামূলক করা হলেও তা মানছেনা বেশিরভাগ সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে গবেষণা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর করুণ চিত্র ফুটে ওঠেছে।
২০১৮ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ৭৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে) কোন গবেষণা হয়নি। এর মধ্যে ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার জন্য কোন বরাদ্দই রাখা হয়নি। শিক্ষার্থী ভর্তি, ক্লাস-পরীক্ষা আর সার্টিফিকেট প্রদান করেই দায় সারছে এসব বিশ্ববিদ্যালয়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন (২০১০) অনুযায়ী সব ক’টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবছর বাজেটে গবেষণা খাতে একটি অংশ বরাদ্দ রেখে তা খরচ করার কথা। কিন্তু কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অধিকাংশই এটি অনুসরণ করে না। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা খাতে খরচ দেখালেও ওই অর্থ প্রকৃতপক্ষে গবেষণা প্রকল্পে ব্যয়ও হয় না।

ইউজিসি সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১৩৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ৭৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন গবেষণা হয়নি। এর মধ্যে ৩০টি সরকারি এবং ৪৫টি বেসরকারি। ১৪টি বেসরকারি ও ৮টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা খাতে কোন বরাদ্দই রাখেনি। আর বাকী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণায় ব্যয় দেখালেও একটি প্রকাশনাও প্রকাশ করতে পারেনি। এর মধ্যে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ২২টি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ৩১টি। এসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই এক বছরে কোন ধরণের প্রকাশনা, প্রবন্ধ ও সাময়িকী প্রকাশিত হয়নি। বাকীরা নামেমাত্র গবেষণা খাতে বরাদ্দ রেখে দায় সেরেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণার এমন বেহাল দশাকে উদ্বেগজনক মনে করছেন প্রবীণ শিক্ষাবিদরা। প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কাজ দুটি। প্রথমত, শিক্ষাদান, দ্বিতীয়ত, শিক্ষাদানের জন্য নতুন নতুন জ্ঞানের উদ্ভাবন। একটিকে বাদ দিয়ে আরেকটি চলে না। এ জন্য শিক্ষকদের গবেষণা করতে হবে। তাঁরা প্রতিনিয়ত সেসব প্রকাশ করবেন, প্রবন্ধ লিখবেন, সেমিনার করবেন।

ইউজিসির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালে ৯৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে গবেষণায় বরাদ্দ রাখেনি এবং ব্যয় দেখিয়েও কোন কাজ হয়নি ৪৫টিতে। ২০১৫ সালে ৮৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এই সংখ্যা ছিল ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয় ও ২০১৪ সালে ছিল ২৭। অন্যদিকে ৮টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণায় বরাদ্দই রাখেনি এবং ব্যয় দেখিয়ে কোন প্রকাশনাও প্রকাশ করতে পারেনি ২২টি।

যদিও ইউজিসি বলছে- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের নিজের পাঠানো প্রতিবেদনে বলেছে ৭৭টি গবেষণা খাতে কম-বেশি অর্থ ব্যয় করেছে। আগের বছরের তুলনায় এবার গবেষণা খাতে ব্যয় বেড়েছে দাবি করে কমিশন বলছে, এটি ইতিবাচক। তবে ইউজিসি আশা প্রকাশ করে, উচ্চশিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের পাশাপাশি জাতীয় উন্নয়নের কথা বিবেচনা করে পরবর্তী শিক্ষা বছর থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়মিতভাবে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনায় প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ ও ব্যয় করবে।

গবেষণা নেই ১৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে: বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজেদের পাঠানো তথ্য থেকেই জানা যায় ১৪টিতে গবেষণার জন্য কোন বরাদ্দই রাখা হয়নি। এসব বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে- দি পিপল’স ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, পুন্ড ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া, ফার্স্ট ক্যাপিট্যাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, জেড এইচ সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, টাইমস ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, রাজশাহী সাইন্স এন্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি (আরএসটিইউ), বাংলাদেশ আর্মি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (বিএআইইউএসটি) কুমিল্লা, দি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স, রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া, সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি, আনোয়ারা খান মডার্ন ইউনিভার্সিটি। অন্যদিকে গবেষণায় ব্যয় করেনি ৮টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়।

ব্যয় আছে প্রকাশনা নেই ৩১টির : গবেষণা ব্যয় দেখানোর পরও ৩১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোন প্রকাশনা পর্যন্ত প্রকাশিত হয়নি। এমন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে- সেন্ট্রাল উইমেন’স ইউনিভার্সিটি, দি পিপল’স ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, সিটি ইউনিভার্সিটি, পুন্ড ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি, দি মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, নর্থ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, ফার্স্ট ক্যাপিট্যাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, চিটাগাং ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, টাইমস ইউনিভার্সিটি, নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, রাজশাহী সাইন্স এন্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি (আরএসটিইউ), কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়, জার্মান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (বিএইউএসটি) সৈয়দপুর, দি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া, ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি চট্টগ্রাম, সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি, ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজ, আনোয়ারা খান মডার্ন ইউনিভার্সিটি।

এমন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ২২টি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়।

এ বিষয়ে ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. একে আজাদ চৌধুরী বলেন, গবেষণা ছাড়া কোয়ালিটি ধরে রাখা খুব কঠিন। গবেষণার জন্য টাকা দরকার এটা কে শুনে? সরকার বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকরা যদি না শুনে এখানে মঞ্জুরি কমিশনের কী করার আছে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যে বরাদ্দ দেয়া হয়, তার ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ টাকা চলে যায় শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বরাদ্দ বাবদ। এরপর অবকাঠামোসহ মৌলিক কিছু কাজ করতে হয় প্রতি বছর। তাছাড়াও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চাপ প্রয়োগ করা যায় না অর্থ সংক্রান্ত আইনের কারণে। আর এ নিয়ে সংসদে একটি আইন পাস করার জন্য উদ্যোগ নেয়া হলে এমপিদের তোপের মুখে কয়েকবার বাদ পড়েছে।

প্রকল্প দেখিয়ে ব্যয়: ইউজিসির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি চিটাগাং গবেষণা খাতে বরাদ্দ দেখিয়েছে ৩৫ লাখ ২৫ হাজার ৩৯৭ টাকা। তবে এই টাকায় কতটি গবেষণা প্রকল্প পরিচালিত হয়েছে তার কোন উল্লেখ নেই। সাফল্য বলতে বিদেশী সাময়িকীতে প্রকাশিত একটি নিবন্ধ। একইভাবে গবেষণায় বরাদ্দ দেখিয়েছে কিন্তু কয়টি প্রকল্প কিংবা কি বিষয়ে গবেষণা হবে তার উল্লেখ নেই- সেন্ট্রাল উইমেন’স ইউনিভার্সিটি, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ। সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে একটি গবেষণা প্রকল্পের জন্য ব্যয় দেখানো হয়েছে ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ৩২ লাখ ৫৮ হাজার ৯৩৪ টাকা, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি ১ কোটি ৯৪ লাখ ৪৭ হাজার ৯০৪ টাকা, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ৬০ লাখ, নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটিতে ৫ লাখ ৮৮ হাজার ৭০৮ টাকা।

স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ৩টিতে ৫০ লাখ টাকা, শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজিতে দুটি প্রকল্পের ব্যয় ৭৫ লাখ ৪৩ হাজার ৩২০ টাকা, আশা ইউনিভার্সিটিতে ২টির ৮ লাখ ৬৫ হাজার ১০ টাকা, উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে ৪টির ৭৩ লাখ ৪৪ হাজার ৬৫১ টাকা, সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে ৬টিতে ৪ কোটি ৮২ লাখ ৪১ হাজার টাকা, ফেনী ইউনিভার্সিটিতে ৪টিতে ১ কোটি ২৪ লাখ। আবার অন্যদিকে এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩ প্রকল্পে ব্যয় মাত্র ৪৭ হাজার ৯৩০ টাকা।

ব্যয় আছে প্রকল্প নেই: কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণায় ব্যয় দেখানো হয়েছে, কিন্তু কোন গবেষণা প্রকল্প নেই। এর মধ্যে- প্রাইম ইউনিভার্সিটি প্রকল্প নেই ব্যয় দেখিয়েছে ৫ লাখ ৪৬ হাজার ৩৫ টাকা, দি মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি ৭৯ হাজার, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি ৩৫ লাখ ১৮ হাজার ৭০২ টাকা, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি এক কোটি ৯ লাখ ৩৩ হাজার, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটিতে ৫২ হাজার ১৪৫ টাকা, ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি এন্ড সায়েন্সেস ১৩ লাখ ১০ হাজার ৯০২ টাকা, রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা ৩ লাখ ৫৫ হাজার, অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২ লাখ ৫০ হাজার, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৭২৫ টাকা, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে ১৩ লাখ ৮৪ হাজার ৬৪৪ টাকা, হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৬৮০ টাকা, নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি খুলনার ৬ লাখ ৮ হাজার ৯৩০ টাকা, খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ লাখ ৮০ হাজার ৬২৫ টাকা, ব্রিটানিয়া ইউনিভার্সিটিতে প্রকল্প নেই ব্যয় ৮১ হাজার, পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ১ কোটি ১০ লাখ, চিটাগাং ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে ৩৪ লাখ, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ৮ হাজার ৫০০ টাকা, রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ হাজার ৫০০ টাকা, জার্মান ইউনিভার্সিটিতে ২ লাখ ৫০ হাজার ৮৯০ টাকা, গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ১৬ লাখ ৬১ হাজার ৪৩ টাকা, সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯ লাখ ২০ হাজার, বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (বিএইউএসটি) সৈয়দপুর ৭৮ হাজার, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ১ লাখ ৫০ হাজার ২৩৪ টাকা, এনপিআই ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ১ লাখ ৯৮ হাজার, ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি চট্টগ্রাম ২ লাখ ৪৯ হাজার এবং ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজ প্রকল্প নেই ব্যয় ১০ লাখ টাকা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, যে সকল শিক্ষক দলীয়ভাবে নিয়োগ পাচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে দেখায় তারা গবেষণার যোগ্য না। এই কারণে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কমে যাচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে শিক্ষার্থীদের উপর। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে তিনি বলেছেন, একটি শিক্ষক একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেয়। ফলে অর্থ বরাদ্দ থাকলেও তারা গবেষণার কাজ করার সুযোগ পায় না। শুধু গবেষণায় নয়, বর্তমানে শিক্ষার মান নিয়েই প্রশ্ন উঠছে উঠছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেছিলেন, শিক্ষাদান ও নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করাই হলো উচ্চ শিক্ষা। এই দুটি বিষয় নিশ্চিত করতে দরকার প্রচুর গবেষণা। কিন্তু বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষায় গবেষণা অবস্থা খুবই খারাপ। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণা নেই বললেই চলে। গবেষণা ছাড়া একটি বিশ্ববিদ্যালয় চিন্তাই করা যায় না। নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করতে না পারলে প্রাইমারি, মাধ্যমিক স্কুলে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন তফাত থাকে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিশ্ববিদ্যালয়


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ