পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের দাবিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩৭ হাজার চাকরি প্রার্থী। গতকাল রোববার বিভিন্ন জেলা থেকে আসা এসব প্রার্থীরা রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয়ে মানববন্ধনের পাশাপাশি বিক্ষোভ করছেন। অতীতের মতো প্যানেল গঠন করে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
বিক্ষোভকারীদের অনেকে জানান, মামলা জটিলতার কারণে ২০১৪ সালের পর থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রাথমিকে কোনো শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। আর এই দীর্ঘ সময়ে নিয়োগ বন্ধ থাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে চরমভাবে শিক্ষকের সঙ্কট তৈরি হয়। শিক্ষকের এই সঙ্কট বর্তমানে আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে।
বিক্ষুব্ধরা বলেন, অনেক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সঙ্কটের কারণে দেশের ভবিষ্যত কর্ণধার শিশুদের পাঠদান কার্যক্রমই মুখ থুবড়ে পড়েছে। এই অবস্থায় ২০১৮ সালে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও সরকার আমাদের নিয়োগ দিচ্ছে না। আমরা চাই প্যানেল গঠন করে অতীতের মতো আমরা যারা ৩৭ হাজার একশ’ ৪৮ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি তাদের মধ্য থেকে নিয়োগ দেয়া হোক।
‘প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগে প্যানেল চাই’ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের জানান, ২০১৮ সালের প্রাইমারি নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় আমরা যারা উত্তীর্ণ হয়েছি এবং ভাইভা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি তাদের মধ্যে থেকে নিয়োগ দেয়া হোক। অতীতের বছরগুলোর মতো প্যানেল গঠন করে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনারও দাবি জানান তিনি।
‘প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগে প্যানেল চাই’-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল বাতেন রাজিব জানান, প্যানেল গঠন করে শিক্ষক নিয়াগের নজির নতুন নয়। এর আগেও ২০১০, ২০১২, ২০১৩ ও ২০১৪ সালেও প্যানেল গঠন করে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এবছর এমনিতেই যেহেতু চার বছর পর এই নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া হয়েছে তাই বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করে দেখা দরকার। কারণ এবছর নিয়োগ না পেয়ে অনেক প্রার্থীরই বয়স আর থাকবে না। এছাড়া যেহেতু শিক্ষকেরও প্রচন্ডভাবে সংকট রয়েছে তাই আমরা চাই আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে অতি দ্রুত প্যানেল গঠন করে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্য থেকে নিয়োগ দেয়া হোক।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন প্রায় ২৪ লাখ প্রার্থী। সেখান থেকে উত্তীর্ণ হন মাত্র ৫৫ হাজার ২৯৫ জন। কিন্তু এই ৫৫ হাজারের মধ্যেও সবাই আবার ভাইভা পরীক্ষায় অংশ নেননি। কারণ অনেকের অন্যত্র চাকরি হয়ে গেছে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে ভাইভাতে অংশ নেয়া সবাইকে নিয়োগর জন্যই আমরা একটি প্যানেল গঠনের জোর দাবি জানাচ্ছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।