Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অবরুদ্ধ পাকিস্তানের লাল মসজিদ, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৫৬ পিএম

পাকিস্তানের ঐতিহাসিক লাল মসজিদ দখলে নেয়া মাওলানা আবদুল আজিজ ও সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে অচলাবস্থা এখনো অব্যাহত রয়েছে। মাওলানা আজিজ এই মসজিদের বরখাস্ত হওয়া খতিব। তিনি সম্প্রতি দলবল নিয়ে মসজিদটি নিজের দখলে নিয়ে নিজেকে খতিব দাবি করছেন। তাকে সমর্থন দিয়ে ভিতরে সমবেত হয়েছে বিপুল সংখ্যক অনুসারী। শনিবার বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মসজিদটি ঘিরে ফেললেও তার অনুসারীরা ¯েøাগান দিতে থাকে। মাওলানা আজিজ নিজে মসজিদটির ভিতরে অবস্থান নিয়েছেন। ভিতরে রয়েছেন তার বেশ কিছু ছাত্রী। চারদিকে ব্যারিকেড ও কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে মসজিদটি ও এর আশপাশের এলাকা অবরুদ্ধ করে রেখেছে পুলিশ।
এখনও এ বিষয়ে কোনো সমাধান দৃশ্যমান না হওয়ায় উভয় পক্ষই কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এক পক্ষ অন্য পক্ষের ওপর অব্যাহতভাবে যতটা বেশি সম্ভব চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
আজ রোববার মসজিদটির বাইরে অবস্থান নিয়েছেন ইসলামাবাদের সহকারী কমিশনার (সিটি)। তিনি মাওলানা আজিজের অনুসারী ও পুলিশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করেন। মসজিদ ও চারপাশের এলাকা জনসাধারণের জন্য বন্ধ করে দেয়ার ফলে শনিবার সন্ধ্যায় আবপাড়া থেকে মেলোডি রোড পর্যন্ত প্রধান সড়কের ওপর নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে মাওলানা আজিজের প্রায় দুই ডজন সমর্থককে। নামাজ শেষে কিছু নারী মুসল্লি মসজিদটির সীমান্ত দেয়ালের দিকে অগ্রসর হয়ে ¯েøাগান দেয়া শুরু করে। এ সময় রাস্তার ওপর নামাজ আদায়কারী মুসল্লিরাও তাদের ¯েøাগানের সঙ্গে সুর মিলান। এক পর্যায়ে পুলিশের উপস্থিতি বাড়ার ফলে কয়েক মিনিটের মধ্যে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। অল্প সময়ের মধ্যে নারী মুসল্লিরা মসজিদের ভিতর প্রবেশ করেন।
অনলাইন ডনকে এ বিষয়ে মন্তব্য দিয়েছেন মাওলানা আজিক। এ সময় এই অচলাবস্থার জন্য তিনি ইমরান খান নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) সরকারকে দায়ি করেন। তিনি বলেন, সামরিক সাবেক স্বৈরাচার জেনারেল পারভেজ মোশাররফের শাসনের চেয়েও খারাপ ইমরান খানের সরকার। বর্তমান সরকারকে তিনি শুধু অদক্ষই বলেন নি। একই সঙ্গে তাদেরকে উচ্চ মাত্রার অত্যাচারী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। বলেন, এই সরকার সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে পুরোপুরি দিকহারা। তারা ভঙ্গুর অবস্থার সৃষ্টি করে। মাওলানা আজিজ বলেন, ২০০৭ সালের অক্টোবরে তখনকার প্রধান বিচারপতি ইফতিখার চৌধুরী সুপ্রিম কোর্টে যে রায় দিয়েছিলেন তার ভিত্তিতেই তিনি সব দাবি করছেন। আমরা ১৩ বছর ধৈর্য্য ধরেছি। কিন্তু সরকার আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি। কোনো সমাধান বের করার চেষ্টা করে নি।
উল্লেখ্য, মাও. আব্দুল আজিজকে ২০০৪ সালে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ফতওয়া দেয়ার অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়। তার সাম্প্রতিক কর্মকান্ডকে অনেকে জোরপূর্বক মসজিদের পদ দখলের কারণ বলে মনে করছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাকিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ