পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার শান্ত সাগরের বিশালতা মুগ্ধ করেছে শিক্ষা সফরে আসা হাজারো শিশু শিক্ষার্থীদের। সৈকতে কখনও দৌড়াদৌড়ি আবার কখনও বা শান্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থেকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন তারা। এছাড়া সব বয়সের পর্যটকদের সাথে ওইসব শিশু শিক্ষার্থীরা সাগরে নেমে নির্বিঘেœ গোসল করছে।
প্রতিদিন শতশত স্কুলগামী শিশু শিক্ষার্থীরা শিক্ষা সফরে বা ভ্রমণে আসেন এখানে। প্রশাসনের কড়াকড়ি, সৈকতে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও নৌ-পুলিশের বাড়তি সতর্কতায় কুয়াকাটা সৈকত এখন স্কুলগামী শিশু-কিশোরদের ভালোলাগার অন্যতম স্পট এমনটাই মনে করছেন শিক্ষার্থীদের সাথে আসা একাধিক শিক্ষক ও অভিভাবকরা।
শিক্ষা সফরে আসা নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাত আরা তুলির সাঁতার শেখা হয়নি। কিন্তু শান্ত সাগরের তীরে ঢেউয়ের ঝাপটায় সে সৈকতে হাঁটছে আপন মনে। তার সঙ্গী বিন্দু ও নাইমা সাগরের তীরে হাঁটুসমান পানিতে হাঁটছে। তাদের সাথে কথা হলে জানান, বন্ধুদের কাছে অনেক শুনেছি কুয়াকাটার কথা। এখানে এসে সত্যিই তাদের চোখে দেখা সৌন্দর্যের বিবরণ বাস্তবে উপভোগ করলাম। সাঁতার না জানলেও তারা শুনেছেন কুয়াকাটায় চোরাবালি নেই। নেই সাগরের গভীর ঢেউয়ের টান। তাই সাঁতার না জানলেও সাবধানে হাঁটছেন তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নভেম্বর মাস থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দল বেঁধে শিক্ষা সফরে আসতে শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি দেশি-বিদেশি পর্যটকদেরও ব্যাপক সমাগম ঘটে। এর ফলে রাখাইন মহিলা মার্কেট, ঝিনুকের দোকান, খাবারঘর, চটপটির দোকানসহ পর্যটন নির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো মুখরিত হয়ে ওঠে।
স্কুলশিক্ষক কবিতা জানান, শিক্ষা সফরে স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এখানে এসেছি। শিশু-কিশোররা এখানে ইচ্ছেমতো ঘুরছে। এখানে সবকিছুই ছবির মতো সাজানো গোছানো। কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সিনিয়র এএসপি জহিরুল ইসলাম জানায়, সৈকতে নিরাপদে ভ্রমণের জন্য সব বয়সী পর্যটকের নিরাপত্তায় তারা মনোযোগী। সাগরে সাঁতার করা কিংবা নৌযানে ভ্রমণের ব্যাপারে তারা লাইফ জ্যাকেট ছাড়া কাউকেই উৎসাহী করছেন না। তবে কুয়াকাটা সৈকতের বালুকাবেলা নিরাপদ হলেও এখানে ভ্রমণে এসে পর্যটকরা যাতে কোন বিপদের সম্মুখীন না হয় সে ব্যাপারে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও পর্যটক গাইডরা সজাগ রয়েছেন বলেও জানান তিনি।