পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো, তাজুল ইসলাম বলেছেন, রোহিঙ্গা শরনার্থীরা যাতে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সাথে মিশে যেতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তারা মিয়ানমারের নাগরিক।
গতকাল কক্সবাজারের উখিয়াতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। বিকালে মন্ত্রণালয় জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। তিনি বলেন, সেখান থেকে বাস্তুচ্যুত হওয়ার জন্য মানবিক কারণে আমরা সাময়িকভাবে তাদের আশ্রয় দিয়েছি। তাদের অবশ্যই মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয়রা মানসিক ও পারিবারিকভাবে বিপর্যস্ত। স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্তদর সার্বিক সহযোগিতার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ দেশি-বিদেশি এনজিওদের এগিয়ে আসতে হবে। মন্ত্রী রোহিঙ্গাদের দ্রæত মিয়ানমার ফেরত পাঠানোর জন্য উন্নয়ন সহযোগিদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জোরালো ভ‚মিকা রাখার আহŸান জানান।
মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদেরকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয় দিয়েছেন। রোহিঙ্গাদের এখানে অস্থায়ীভাবে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একজন মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচার জন্য যা প্রয়োজন তার ব্যবস্থা করা হবে। রোহিঙ্গা শরনার্থীরা যেন স্থানীয় জনগোষ্টীর সাথে মিশে না যায় সেই জন্য সরকার কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। রোহিঙ্গাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কক্সবাজারে পরিবেশ, পানি, জলাশয় এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে আরো বেশি কাজ করতে হবে। এসময় তিনি কুতুপালং এ রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশন এলাকায় বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক নির্মিত মিনিপাইপড পানি সরবরাহ ব্যবস্থার উদ্বোধন করেন এবং উখিয়ার ময়নার ঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১২এলাকায় আইএমও পরিচালনাধীন সুপেয়পানির পাম্প কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। তিনি ক্যাম্প-২০ এক্সটেনশন এলাকায় এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সহায়তায় ‘ইর্মাজেন্সী এসিসট্যান্স প্রকল্প’-র মাধ্যমে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃক নির্মিত ফুড ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টারসহ বেশ কিছু রাস্তা ও স্থাপনা উদ্বোধন করেন। এসময় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম রোহিঙ্গা শিবিরের বেশ কয়েকটি পরিবারের সাথে আলাপ করেন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরে প্রধান প্রকৌশলী সুশংকর চন্দ্র আচার্য্য, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো: সাইফুর রহমান, অতিরিক্ত শরনার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারদ্বয় শামসুদ্দোজা ও মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম সরওয়ার কামাল, উখিয়া উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা আমিমুল এহসান খানসহ বিশ্ব ব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, আইওএম, আইএমও, ইউনিসেফ ও অন্যান্য দাতা সংস্থার প্রতিনিধি, ক্যাম্প ইনচার্জ, এনজিও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।