পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
লক্ষীপুরে আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মান্নান ভ‚ঁইয়াকে গলা কেটে হত্যার দায়ে তিনজনের মৃত্যুদন্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শাহেনূর এ রায় দেন।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কফিল উদ্দিন, আবদুর রহমান ও মো. জয়নাল। যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. জুলফিকার, খোরশেদ আলম, ইয়াসিন আরাফাত রাফি, মো. মুক্তার ও মো. শাহজালাল।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা মান্নান হত্যা একটি নৃশংস ঘটনা। রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি কফিল উদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী একেএম হুমায়ুন কবির বলেন, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আসামিদের মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। হত্যার সঙ্গে আসামিরা জড়িত আছে বলে আদালতে প্রমাণ হয়নি। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
আদলত সূত্রে জানা যায়, নিহত আবদুল মান্নান ভ‚ঁইয়া সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ২০১৪ সালের ২১ মে রাতে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে মান্নানকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। রাতেই বাড়ির পাশে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। চারদিন পর নিহতের স্ত্রী আঞ্জুম আরা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।
২০১৫ সালের ২ জুন জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তদন্ত করে আটজনের বিরুদ্ধে আদলতে চার্জশিট দাখিল করেন। দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি শেষে হত্যাকান্ডের সঙ্গে আসামিরা জড়িত বলে আদালতে প্রমাণিত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।