নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা খেলছেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। টানা দেড় মাসের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পর পাকিস্তান সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। খটকা ছিল পাকিস্তান সফরে ফের টেস্ট খেলতে যাওয়ার আগে প্রস্তুতি ঠিক মতো হবে কিনা। কিন্তু সেই সংশয় কেটে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) মধ্য দিয়ে। গতকাল শেষ হওয়া ম্যাচ দুটোতে তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ, মুমিনুল হকের পর সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান লিটন দাসও। স্পিনার নাঈম হাসান ছয় উইকেট ও তাইজুল ইসলাম পাঁচ উইকেট নিয়ে তাদের প্রস্তুতিটাও ভালোই রাঙিয়েছেন। তাতে বলা যায়, রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের আগে পাকিস্তানকে প্রচ্ছন্ন এক হুমকি দিয়েই আজ সন্ধ্যায় পাকিস্তান যাচ্ছেন তামিম-মুমিনুলরা।
তামিমের ট্রিপল সেঞ্চুরির ম্যাচে মধ্যাঞ্চলকে ইনিংস এবং নয় রানের ব্যবধানে হারিয়েছে প‚র্বাঞ্চল। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে মধ্যাঞ্চল অলআউট হয়েছে ৩৩৩ রানে। প‚র্বাঞ্চলের স্পিনার নাঈম হাসান নেন ছয় উইকেট। আগের দিন তিন উইকেটে ১১৫ রান করা মধ্যাঞ্চল এদিন এগিয়ে গিয়েছে মোহাম্মদ মিঠুন ও তাইবুর রহমানের ব্যাটে ভর করে। দুজন মিলে গড়েছেন ১১৩ রানের জুটি। প্রথম ইনিংসে মধ্যাঞ্চল অলআউট হয় ২১৩ রানে। সাইফ হাসানের ৫৮ এবং তাইবুর রহমানের ৪৬ রানের ইনিংসটি ছাড়া উল্লেখযোগ্য আর কোনো ইনিংস ছিল না মধ্যাঞ্চলের।
প‚র্বাঞ্চলের স্পিনার তাইজুল নেন পাঁচ উইকেট। দুটি করে উইকেট নেন আবু জায়েদ রাহি ও নাঈম হাসান। জবাবে প‚র্বাঞ্চলের নিজেদের প্রথম ইনিংসে দুই উইকেটে ৫৫৫ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে। তামিম ইকবাল করেন অপরাজিত ৩৩৪ রান। মুমিনুল হক করেন ১১১ রান।
আরেক ম্যাচে জিততে হলে চতুর্থ ইনিংসে করতে হতো ৪৫৪ রান। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বিসিএলের তৃতীয় দিন শেষে উত্তরাঞ্চল বিনা উইকেটে ২২ রান তুলেছিল। জয়ের জন্য বাকি রান করতে হতো চতুর্থ দিনে। কিন্তু উত্তরাঞ্চল সেই অসম্ভব লক্ষ্য তাড়া করার পথে হাঁটেনি। বরং তারা ড্রকেই লক্ষ্য বানিয়ে এগিয়েছে। শেষ অবধি উত্তরাঞ্চল ৪ উইকেটে ২৭৮ রান তুলতে পেরেছে। ফলে ম্যাচটি ফলাফল ছাড়াই নিষ্পত্তি হয়েছে।
চতুর্থ ইনিংসে উত্তরাঞ্চলের হয়ে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েয়েছেন লিটন দাস। তিনি ১৬৮ বলে ১০৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। ড্র হওয়া এ ম্যাচে বড় প্রাপ্তি পাঁচ সেঞ্চুরি। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণাঞ্চল অলআউট হওয়ার আগে তুলেছিল ২৬২ রান। সেঞ্চুরি করেছিলেন ফজলে রাব্বি (১২৫)। জবাবে ২০৭ রানেই গুটিয়ে যায় উত্তরাঞ্চল। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৫৮ রান করেন আরিফুল হক। ৪০ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন শফিউল ইসলাম। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটে ৩৯৮ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণাঞ্চল। সেঞ্চুরির দেখা পান শাহরিয়ার নাফিস (১১১), শামসুর রহমান (১০৯) এবং মাহমুদউল্লাহ (১০০*)।
সংক্ষিপ্ত স্কোর ৪র্থ দিন শেষে
উত্তরাঞ্চল-দক্ষিণাঞ্চল, চট্টগ্রাম
দক্ষিণাঞ্চল : ২৬২ ও ২য় ইনিংস : ৩৯৮/৩ (ডিক্লে.)। উত্তরাঞ্চল : ২০৭ ও ২য় ইনিংস : (লক্ষ্য ৪৫৪) ৮১ ওভারে ২৭৮/৪ (আগের দিন ৬ ওভারে ২২/০) (রনি ৭২, জুনায়েদ ৬১, লিটন ১০৩*, নাঈম ৪৩; শফিউল ০/৫৭, আল আমিন ১/৩৯, রাজ্জাক ২/৬৬, মাহমুদউল্লাহ ১/১৫)।
ফল : ড্র। ম্যাচসেরা : শফিউল ইসলাম।
পূর্বাঞ্চল-মধ্যাঞ্চল, মিরপুর
মধ্যাঞ্চল : ২১৩ ও ২য় ইনিংস : ১০৯.২ ওভারে ৩৩৩ (আগের দিন ১১৫/৩) (সাইফ ৩৩, শান্ত ৫৪, রকিবুল ২৯, শহিদুল ১৬, মিঠুন ৮৩, তাইবুর ৬২, শুভাগত ৩৫; আবু জায়েদ ১/৬৭, তাইজুল ২/৮২, রুবেল ১/৫৫, নাঈম ৬/৮৫)।
পূর্বাঞ্চল ১ম ইনিংস : ৫৫৫/২ (ডিক্লে.)।
ফল : পূর্বাঞ্চল ইনিংস ও ৯ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা : তামিম ইকবাল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।