পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বরিশাল মহানগরীর এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র হালিমা খাতুন বালিকা বিদ্যালয়ে অর্ধশতাধিক পরীক্ষার্থীকে ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে। গতকাল এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনের পরীক্ষা শেষ হবার পরে এ ভুল ধরা পড়ে। কেন্দ্রটির দুটি কক্ষে ভুল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়েছিল।
এ দুটি কক্ষে নগরীর জগদীশ সারস্বত বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা পরীক্ষা দেয়। ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা গ্রহণ করায় ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা ফল বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন। পরীক্ষা শেষে এ খবর জানাজানি হলে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ইউনুস কেন্দ্র পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পুরানো প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা গ্রহণের ঘটনায় কেন্দ্র সচিবসহ সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘটনার শিকার শিক্ষার্থীরা যাতে তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হন সে বিষয়টিও দেখবেন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। এ ব্যপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা বলেছেন বোর্ড চেয়ারম্যান।
গতকাল বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষায় হালিমা খাতুন বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রের দুটি কক্ষে পুরানো সিলেবাসের প্রশ্ন পেয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষা শেষে অন্য কক্ষের পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশ্ন মেলানো হলে ভুল প্রশ্নপত্র বিতরণের বিষয়টি ধরা পড়ে। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়ে ওই দুটি কক্ষের শিক্ষার্থীরা। কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করেন, শিক্ষকদের ভুলে তাদের সন্তানদের শিক্ষাজীবন হুমকিতে আছে। ওই কেন্দ্রের শিক্ষকদের গাফিলতির কারণেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তারা অভিযুক্ত শিক্ষকদের কঠোর বিচার দাবি করেন।
সারস্বত স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপাল মো. শাহে আলম জানান, হালিমা খাতুন বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের ভুলে তার প্রতিষ্ঠানের অর্ধশতাধিক পরীক্ষার্থী ২০২০ সালের সিলেবাস অনুযায়ী পরীক্ষা দিতে পারেনি। তাদেরকে ২০১৮ সালের অনিয়মত পরীক্ষার্থীদের সিলেবাসের প্রশ্নপত্র দেয়া হয়। কেন্দ্র সচিব ও হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস.এম ফখরুজ্জামান ভুল স্বীকার করে বলেন, ওই দুই কক্ষে পরিদর্শকের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদেরও গাফিলতি ছিল। পুরো বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।