পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় গ্রন্থমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তৃতীয় স্মৃতি কথামূলক গ্রন্থ ‘আমার দেখা নয়াচীন’-এর মোড়ক উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উন্মোচন শেষে বইয়ের বিশদ বর্ণনা দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, চীনে যাওয়ার আগে পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে নানাভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করেছে। তারপরও তিনি চীনে গিয়ে নিজের দেশের দুর্নাম করেননি। এখন তো অনেকে বিদেশে গিয়ে যা ঘটেছে তার চেয়ে আরও বেশি করে বদনাম গায়।
তিনি বলেন, কারাগারে খাতা সেন্সর করে দেওয়া হতো। সেই সেন্সরের সিল থেকে আমরা জানতে পারি ১৯৫৪ সালে বইটি লেখা। মলাটটি অনেকটা চীনা অক্ষরের মতো করে লেখা। মনোগ্রামটি পিকাসোর তৈরি করা।
মোড়ক উন্মোচনকালে অনুষ্ঠানের সঞ্চালক রামেন্দ্র মজুমদার বলেন, বঙ্গবন্ধুকে লেখালেখিতে সবসময় উদ্বুদ্ধ করেছেন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে ইতোমধ্যে জাতি হাতে পেয়েছে অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও কারাগারের রোজনামচা। আমার দেখা নয়াচীন তাঁর তৃতীয় স্মৃতি কথা।
উল্লেখ্য, ১৯৫২ সালে পিকিংয়ে শান্তি সম্মেলনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে পূর্ববঙ্গ থেকে আমন্ত্রিত প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে অংশ নেন। সেখানে যাবার পথটি, কীভাবে গিয়েছেন তার বিস্তারিত বর্ণনা আছে বইটিতে। বিশেষভাবে লক্ষণীয়, এই বইতেই লেখা আছে তিনি শান্তি সম্মেলনে বাংলা ভাষায় বক্তৃতা দিয়েছিলেন। মনোজ বসু তার বইতে একথা লিখেছেন। এসবই এই বইতে পাওয়া যাবে। স্মৃতিনির্ভর নয়াচীন কাহিনী ১৯৫৪ সালে কারাগারে থাকাকালীন লেখেন বঙ্গবন্ধু। বইটিতে অসাম্প্রদায়িক ভাবাদর্শ, বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার প্রকাশ পেয়েছে। নিজ দেশকে গড়ার সংগ্রামী প্রত্যয় ফুটে উঠেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।