মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অবশেষে এলো সে বহুল প্রতীক্ষিত মুহ‚র্ত। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের আনুষ্ঠানিক বিদায়ের ঘণ্টা বেজেছে। ইউরোপীয় সময় শুক্রবার রাত ১১টা (বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোর ৪টা) সেই ঘণ্টা বাজা মাত্রই বিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়েছে। ৪৭ বছরের মেলবন্ধন ছিঁড়ে নিজপথে ব্রিটেনের যাত্রা শুরু হয়েছে। সাড়ে তিন বছরেরও বেশি সময় আগে অনুষ্ঠিত গণভোটের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়েছে। ব্রেক্সিটপন্থিরা নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিচ্ছেদের মুহ‚র্তকে উদযাপন করেছে। অন্যদিকে, বিক্ষোভ করেছে ব্রেক্সিট-বিরোধীরা। ইইউ থেকে বিদায়ের দিনে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বিভক্ত দেশকে ঐক্যবদ্ধ করে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্রেক্সিট সম্পন্নের কিছুক্ষণ আগে দেয়া এক পোস্টে তিনি লিখেন, অনেকের জন্য এটা আশার অত্যাশ্চর্যীয় এক মুহ‚র্ত, যেটা তারা ভেবেছিল, কখনোই আসবে না। আবার, অনেকেই দুশ্চিন্তা ও হারানোর অনুভ‚তি অনুভব করছেন। জনসন আরো জানান, অনেকে ভেবেছিল ব্রেক্সিট নিয়ে রাজনৈতিক কোলাহল কখনোই শেষ হবে না, কিন্তু দেশকে এগিয়ে নেয়া তার কাজ ছিল। ১৯৭৩ সালের ১লা জানুয়ারিতে ইইউতে যোগ দিয়েছিল ব্রিটেন। জোটটি থেকে বিদায়ে জনসন দেশকে নেতৃত্ব দিলেও এর শুরু তার হাতে হয়নি। এ পর্যন্ত আসতে ব্রিটেনকে অনেক চড়াই-উতরাই পার হতে হয়েছে। তিন বছরের ব্রেক্সিট জটিলতায় ব্রিটেন দুই প্রধানমন্ত্রীর বিদায় দেখেছে। আড়াই বছরেরও কম সময়ে দুটি জাতীয় নির্বাচন দেখেছে। সৃষ্টি হয়েছে আধুনিক ব্রিটেনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকট। পদ হারিয়েছেন বা পদত্যাগ করেছেন ৮০ জনের বেশি সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী। এদিকে, ব্রেক্সিট উদযাপনে আলোয় জ্বলে উঠেছিল ১০ ডাউনিং স্ট্রিট বা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। নাম ও প্রতীক পাল্টে গেছে বৃটিশ সরকারের ইইউ প্রতিনিধিদের ভবনে। নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে কিছু জায়গায় বিক্ষোভ দেখা গেছে। স্কটল্যান্ডে ইইউপন্থিদের আবেগঘন মুহ‚র্ত দেখা গেছে। অনেকে শোক যাপনের মতো ইইউ থেকে ব্রিটেনের বিদায়কে স্মরণ করতে মোমবাতি জ্বালিয়েছেন। দেশটির ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জন বিদায়ের মুহ‚র্তে টুইটারে ইইউ’র একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আমরা ইউরোপের হৃদয়ে ফিরে যাবো। বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।