মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জাতিসংঘ ও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকায় সহজে কোনো অস্ত্র কিনতে পারে না ইরান। এমনকি কোনো দেশ চাইলেও তাদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করতে পারে না। কিন্তু রাশিয়া সব নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কিংবা চলতি বছর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর পরই তাদের কাছে ‘এস-৪০০’ ক্ষেপনাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিক্রি করতে পারে।
কাসেম সোলাইমানি হত্যার পর থেকে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এছাড়া পরমাণু কর্মসূচি ইস্যুতে ইসরায়েলের সঙ্গেও চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে ইরানের। সবমিলিয়ে যে কোনো সময় তিনটি দেশের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিমানবাহিনী শক্তিশালী হলেও ইরানের বিমানবাহিনী ততটা শক্তিশালী নয়। এ কারণে নিজেদের সুরক্ষার জন্য ভূমিতে স্থাপিত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ধারণা করা হয় ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি ক্ষেপনাস্ত্র ব্যবস্থা রয়েছে যার মান রাশিয়ার ‘এস-৩০০’ ব্যবস্থার কাছাকাছি। তবে তার থেকেও আরও আধুনিক ও অনেক বেশি শক্তিশালী ‘এ-৪০০’ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইরান হাতে পেলে মধ্যপ্রচ্যে ক্ষমতার ভারসাম্যে পরিবর্তন আসতে পারে। আর এই ক্ষেত্রটিতে ইরানের পাশে দাড়াতে পারে রাশিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এএল মনিটর সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সঙ্গে উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ায় ইরানের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি করবে রাশিয়া। ইরানের সম্পূর্ণ আকাশ সুরক্ষিত করার জন্য এসব ক্ষেপণাস্ত্র দেয়া হবে। দুই দেশের মধ্যে অস্ত্র সহযোগিতার কারণে উভয় দেশই লাভবান হবে বলে মনে করছে মস্কোর শীর্ষ অনেক রাজনীতিবিদ।
ইরানের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির ব্যাপারে জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি রাশিয়ার শীর্ষ রাজনীতিবিদ ভ্লাদিমির জিরিনোভস্কি বলেন, ইরানকে একটি সামরিক সহযোগিতা চুক্তির প্রস্তাব দেওয়া উচিত, যেন জরুরি ভিত্তিতে তাদের কাছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির অস্ত্র বিক্রি করা যায়। এতে ইরানের দিকে কোনো কিছু ছোড়ার সাহস পাবে না কেউ। তিনি আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলেন, রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ কিংবা এস-৫০০ ইরানের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য যথেষ্ট। এগুলো ইরানের পুরো আকাশসীমার সুরক্ষা দিতে পারবে। সূত্র: এএল মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।