পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারের পক্ষ থেকে ওয়াজ মাহফিলে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এমন অভিযোগ বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদের। এতে ঘোর আপত্তি জানিয়েছেন সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা। এমনকি সংবিধানে বিসমিল্লাহির রহমানের রাহিমের উল্লেখ নিয়ে তিনি (হারুণ) ভুল ব্যাখা দিয়েছেন বলে তাদের দাবি। এনিয়ে সংসদ অধিবেশনে কিছু সময়ের জন্য উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সংসদ অধিবেশনে অনির্ধারিত আলোচনা চলাকালে এই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বেশ কিছু সময় ধরে হৈ-হট্টগোল চলে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ আলোচনার সূত্রপাত করতেই সরকার দলীয় সদস্যদের তোপের মুখে পড়েন। হট্টগোলের মধ্যে তার বক্তব্যের জবাব দেন সরকার দলীয় সদস্য সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ ও বর্তমান হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।
আলোচনার সূত্রপাত করে হারুনুর রশীদ বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি সংশোধিত সংবিধানের পূর্বে সর্বশক্তিমান আল্লাহ’র প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসী হবে এবং যাবতীয় কাজের ভিত্তি এটিই হবে। তবে নতুন সংশোধিত সংবিধান থেকে এটা উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম হিসেবে রাখা হয়েছে। সংবিধানের প্রস্তাবনায় পূর্বে ছিলো ‘বিসমিল্লাহির রহমানের রাহিম’, সেটির পরিবর্তে সংযোজিত হয়েছে দয়াময় পরম দয়ালু আল্লাহ’র নামে / পরম করুনাময় সৃষ্টি কর্তার নামে। বিষয়টিতে আপত্তিকর। সংবিধানে বিসমিল্লাহির রহমানের রাহিমের প্রকৃত অর্থ সংযোজিত হওয়া উচিত।
বিরোধী দলীয় ওই সদস্য আরো বলেন, কয়েক দিন ধরে সংসদে প্রেসিডেন্টের ভাষণের ওপর আলোচনায় একটা বিষয় নিয়ে বির্তক করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন তাফসির মাহফিলে যে আলোচনা হচ্ছে, কোরআন হাদিসের আলোকে আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন তাফসিরগণ আলোচনা করছেন। সেই সমস্থ আলোচনা নিয়ে আপত্তিজনক অসংলগ্ন কথা বার্তা বলা হচ্ছে। এটা ঠিক হচ্ছে না। তিনি বলেন, দেশে হিন্দু- বৌদ্ধ -খ্রিষ্টানরা সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তারা তাদের কর্মকান্ড চালাচ্ছে। অথচ ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা তাফসির মাহফিল করতে গেলে নিষেধাজ্ঞা আসছে। এতে মুসলমানদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে।
তার বক্তব্যের জবাব দিয়ে সাবেক প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজ বলেন, দেশের সমস্থ জায়গায় জেলা-উপজেলা জেলা পর্যায়ে ওয়াজ মাহফিল হচ্ছে, সেখানে আল্লাহ রসুলের কথা বলা হচ্ছে, শুধুমাত্র জামাতিপন্থায় মানুষ যাতে শিক্ষা দিক্ষা না নেয় যাতে দেশটাকে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত না করে, সেই দিকটাকে আমরা অনেক সময় বলে থাকি। এক্ষেত্রে ইসলামী কার্যকলাপে কোন বাধা সৃষ্টি হচ্ছে না। তিনি বলেন, ওনি (হারুন) জামাতপন্থিদের কথা মতো এখানে কিছু কথা উত্থাপন করেছেন। মুষ্টিমেয় কয়েক জন মানুষ জামাতিদের পক্ষে। দেশের ১৬ কোটি মানুষ তাদের বিরোধীতা করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই দেশকে জঙ্গি রাষ্ট্রে রূপান্তিরিত করা থেকে রক্ষার চেষ্টা চলছে। তবে ইসলাম আছে, ইসলাম থাকবে, বাংলাদেশ চিরদিন মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষা করে চলবে।
হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, ওনি (হারুন) সংবিধানের উদ্ধৃতি দিয়ে পূর্বের ন্যায় ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করলেন। তিনি বিসমিল্লাহির রহমানের রাহিমের ব্যাখা হিসেবে অপব্যাখা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। এটি উদ্দেশ্যে প্রণোদিত এবং তাদের চিরাচরিত একইরাজনীতি। তাদের বলেন, যে ধানের শীষে ভোট দিলে বেহেস্তের টিকিট পাওয়া যাবে, নৌকায় ভোট দিলে ইসলাম থাকবে না, বৌ তালাক হয়ে যাবে। তিনি বলেন, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ঢাকার মানুষকে বিভ্রান্ত করতে হটাৎ এমন একটি বিষয় উত্থাপন করা হয়েছে। যার সঙ্গে সংসদের কার্যক্রমের কোন সম্পর্ক নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।