পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে রাজধানীতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। গত মঙ্গলবার থেকে এ অভিযান শুরু হয়েছে। নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। তবে এ অভিযান অব্যাহত থাকলে ভোটের আগে যেন গ্রেফতার ভীতি না ছাড়ায় সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই পুলিশ কাজ করছে বলে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
গতকাল বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়াদী উদ্যানে একুশে বই মেলার প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে বহিরাগতদের উপর নজরদারি রাখলেও গ্রেফতার আতঙ্ক ছড়াতে চাই না।
বুধবার রাতে বিভিন্ন স্থানে বিএনপির প্রার্থী ও নেতা-কর্মীদের ধরতে অভিযান চালানো হয় বলে দলটি অভিযোগ করেছে। এছাড়া ঢাকার বাইরে থেকে আসা মানুষও রয়েছেন শঙ্কায়। দুই প্রধান রাজনৈতিক দলই পরস্পরের বিরুদ্ধে বহিরাগত আনার অভিযোগ তুলেছে। এ ব্যাপারে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বাহির থেকে যে মানুষ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা চালানো এবং নানাবিধ কাজের জন্য এসেছে, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। আমরা এসব লোকজন সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিচ্ছি এবং কোন এলাকা থেকে এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কোনো অভিযোগ আছে কি না, কোনো মামলা আছে কি না, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করতে পারলে সে সমস্ত জায়গায় অভিযান করব। কারণ গণ কোনো অভিযান করে মানুষের মনে ভীতি ছড়াতে চাই না। তবে গত বুধবার রাতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
জানা গেছে, নির্বাচন সামনে রেখে গত মঙ্গলবার থেকে বহিরাগতদের ধরতে রাজধানীতে বিশেষ অভিযানে নেমেছে পুলিশ। ঢাকার প্রবেশপথ, বস্তি, আবাসিক হোটেল ও মেসগুলোতে অভিযান চলবে। ঢাকার ভোটার নন বা রাজধানীতে অবস্থানের যৌক্তিক কারণ নেই, এমন কাউকে পেলে গ্রেফতার করা হবে। এ ধারাবাহিকতায় গত বুধবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৪৫ জনকে আটক করা হয়।
বই মেলায় থাকবে চার স্তরের নিরাপত্তা : এবারের অমর একুশে বইমেলায় চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও মেলা প্রাঙ্গণ ও তার আশপাশ এলাকায় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মোহা. শফিকুল ইসলাম। গতকাল বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়াদী উদ্যানে একুশে বই মেলার প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে এ কথা জানান তিনি।
তিনি জানান, টিএসসি ও দোয়েল চত্বর দিয়ে মেলায় প্রবেশ করা যাবে। আর্চওয়ে, মেটাল ডিডেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। ডিএমপি ও সিটি এসবির সদস্যরা সাদা পোশাকে মেলা ও আশপাশে অবস্থান করবেন। সাম্প্রদায়িক উস্কানি কিংবা ধর্ম অবমাননাকর বইয়ের বিষয়ে পুলিশের ভূমিকা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি অনেক কঠিন কাজ। আমরা বাংলাএকাডেমিবে অনুরোধ করেছি, এসব বই প্রকাশে যেন সতর্ক থাকে।
তিনি আরো বলেন, প্রতিটা বই বাংলা একাডেমি অথবা পুলিশ পড়ে দিতে পারলে ভালো হত। তবে সে সুযোগ নেই। আমরা চাই না বই পড়ে মানুষের মনে কিংবা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হোক। মেট্রোরেলের কাজ চলায় মেলায় আগতদের চলাফেরায় একটু কষ্ট হবে জানিয়ে তা স্বীকার করে নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। তবে ধুলোর দূষণের কারণে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি এড়াতে মেলায় আগতদের মাস্ক পরার আবোন জানান তিনি।
কমিশনার বলেন, টিএসসি, দোয়েল চত্ত্বর, শহীদ মিনার, নীলক্ষেত, শাহবাগ এলাকায় আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। মেট্রোরেলের কাজ চলাতে রাস্তা অনেক সংকীর্ণ হয়েছে। বইমেলায় দর্শনার্থীদের সুষ্ঠুভাবে প্রবেশ ও বাহির করাটা আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ। প্রত্যেক দর্শনার্থীকে আর্চওয়ে দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে হবে। পুরো বইমেলা এলাকা থাকবে সম্পূর্ণ সিসিটিভির আওতায়। সন্দেহজনক কোন কিছু দেখলে দেহ তল্লাশী করতে নারী ও পুরুষ পুলিশের টিম থাকবে। মেলার চারপাশে থাকবে মোটরসাইকেলে পুলিশের টহল ব্যবস্থা। পোশাকে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। আমরা আশা করি এই বইমেলাটি অত্যন্ত আনন্দমূখরভাবে সম্পন্ন করতে পারবো। তিনি আরো বলেন, মেলা প্রাঙ্গণে ও তার আশপাশে কোন ভাসমান দোকান বা হকার বসতে দেওয়া হবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।