Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সরকারি সুবিধাভোগীদের গ্রিনকার্ড উপেক্ষা করা যাবে

ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের রায়

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০৫ এএম

সুপ্রিম কোর্টের একটি বিভক্ত বেঞ্চ গত সোমবার ট্রাম্প প্রশাসনকে এমন এক নতুন বিধি প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে যা সরকারি খাদ্য, স্বাস্থ্য সহায়তা এবং আবাসন সহায়তা গ্রহণকারীদের স্থায়ী অভিবাসন মর্যাদা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। নতুন নীতিমালার আওতায় অভিবাসন কর্মকর্তারা সার্বজনীন সুবিধাগুলি ব্যবহারকারীদের বৈধতা দেয়ার ক্ষেত্রে গ্রিন কার্ড অস্বীকার করতে পারবেন।

বিচারপতিদের আদেশটি ৫-৪ ভোটে গৃহীত হয় এবং নিউ ইয়র্কের দ্বিতীয় মার্কিন সার্কিট কোর্ট অফ আপিলের রায়কে উল্টে দেয় যা এর বিরুদ্ধে মামলা মোকদ্দমার আগে নীতিমালাকে দেশব্যাপী ধরে রেখেছিল। আদালতের চারজন উদার বিচারপতি স্টিফেন ব্রেকার, রুথ বদার জিন্সবার্গ, এলেনা কাগান এবং সোনিয়া সোটোমায়োর এই নীতিটি কার্যকর হতে না দেয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছেন।

সান ফ্রান্সিসকো এবং ভার্জিনিয়ার রিচমন্ডের ফেডারেল আপিল আদালত এর আগে বিধি বিধানের বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করেছিল। ইলিনয়ে এ বিষয়ে একটি নিষেধাজ্ঞা কার্যকর রয়েছে, তবে তা কেবলমাত্র সেই রাজ্যেই প্রযোজ্য।

মামলাগুলি অব্যাহত থাকবে, তবে স্থায়ীভাবে আবাসনের জন্য আবেদনকারী অভিবাসীদের এখন অবশ্যই দেখাতে হবে যে, তারা পাবলিক চার্জ (সার্বজনীন সুবিধাগুলো) গ্রহণ করবে না বা দেশের জন্য বোঝা হবে না।

কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন স্কুলের অভিবাসন বিশেষজ্ঞ স্টিফেন ইয়েল-লোহর বলেন, ‘পাবলিক চার্জ বিধিটি হ’ল অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের যুদ্ধের সর্বশেষ হামলা’। “শ্রমজীবী শ্রেণীর লোকদের যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানো বা বসবাস করা শক্ত করে তুলতে এই নিয়মটি অদৃশ্য প্রাচীরের আরেকটি ইট যা এই প্রশাসন বৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে তৈরি করছে’।

প্রায় ৫ লাখ ৪৪ হাজার লোক বার্ষিক গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন করে। সরকারের মতে, ৩ লাখ ৮২ হাজার সেই বিভাগগুলোতে রয়েছে যেগুলি তাদের নতুন পর্যালোচনার আওতায় নিয়ে আসবে।

অভিবাসীদের একটি ক্ষুদ্র অংশ মাত্র সার্বজনীয় সুবিধা পায় তাদের অভিবাসন শর্তের মধ্যে সেসব সুবিধা না থাকার কারণে।

পৃথক মতামতে বিচারপতি নেইল গোরসাচ তার সহকর্মীদের দেশব্যাপী তথাকথিত নিষেধাজ্ঞাগুলির ‘প্রকৃত সমস্যা’ মোকাবিলার আহ্বান জানান, একক বিচারপতির যে আদেশটি সর্বত্র প্রয়োগ হয়। এ ক্ষেত্রে, প্রশাসন ১৪টি রাজ্যের আওতাধীন দুটি আপিল আদালতে রায় জিতলেও তার নীতি কার্যকর হতে পারেনি।

গোরসাচ জাস্টিস ক্লারেন্স থমাসের সাথে যোগ দিয়ে একটি মতামত লিখেছিলেন, ‘এই গেমসম্যান্টশিপ এবং বিশৃঙ্খলার মধ্যে আমরা কিসের জন্য গর্ব করতে পারি’?

হোমল্যান্ড সিকিউরিটির ভারপ্রাপ্ত উপ-সচিব কেন কুকিনেল্লি উচ্চ আদালতের আদেশের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, ‘এটা খুব স্পষ্ট যে, আইন প্রয়োগের পরিবর্তে তাদের নীতিগত পছন্দকে আরোপ করার চেষ্টা করছেন যেসব বিচারক তাদের আদেশ-নিষেধে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট বিরক্ত হয়েছেন’। সূত্র : টাইম ম্যাগাজিন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ট্রাম্প


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ