পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মৌলভীবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। এ ঘটনায় ৭ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শহরের এম সাইফুর রহমান সড়কের পিংকি সু স্টোর নামের একটি জুতার দোকানে সকাল পৌনে ১০টায় ভয়াবহ অগ্নিকাÐের সূত্রপাত ঘটে। তখন দোকানের সাটার বন্ধ ছিল। মূহূর্তের মধ্যে দোকান থেকে আগুন ছড়িয়ে পরে উপরের দেতলায় আধাকাঁচা ঘরে। দোতলায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন সুভাস রায়। এ সময় আগুনে পুড়ে মারা যান সুভাস রায় (৬০), তার মেয়ে পিয়া রায় (১৯) এবং বোন দিপা রায় (৩৫), ভাগনে দিপ্তি রায় (৪৫) ও বৈশাখী রায় (৩ বছর)। এ সময় এলাকাবাসী প্রণয় রায় মনা ও মিলনকে উদ্ধার করে।
মনা রায়কে প্রথমে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ফজলুর রহমান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানাস্তরিত করা হয়। মিলন প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। চিকিৎসাধীন প্রণয় রায় মনা জানান, তখন তিনি তাদের দোকানের ২য় তলায় ঘুমিয়ে ছিলেন। তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী আগুন বলে চিৎকার দিলে তিনি ঘুম থেকে উঠেন। কারেন্টের বোর্ড থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানান তিনি।
অগ্নিকাÐের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ৪টি ইউনিট প্রায় ২ ঘণ্টা কাজ চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে একে একে উদ্ধার করে ৫টি লাশ। মৌলভীবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ হারুন পাশা জানান, তাদের ধারণা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে প্রথমে অগ্নিকাÐের সূত্রপাত হতে পারে। ঘরের ভেতরে একটি গ্যাস রাইজার ছিলো, পরে ওই রাইজারে আগুন লাগে। দোতলায় এবং পেছনের বাসায় তারা থাকতেন। তাদের বের হওয়ার রাস্তা ছিলো দোকানের ভেতর দিয়ে।
জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন জানান, অগ্নিকাÐে ৫ জন নিহতের ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া সুলতানাকে প্রধান করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি ৩ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিবে।
মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জানান, এটি একটি মর্মান্তিক ঘটনা। তারা ঘটনাস্থলে আছেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তা করা হবে বলেও তিনি জানান। একই সাথে অগ্নিকাÐের বিষয়টি তদন্তও করা হবে।
মৌলভীবাজার সিআইডি ইন্সপেক্টর বিকাশ দাশ জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশের সাথে সিআইডির পুরো টিম উদ্ধার অভিযানে যোগ দেন। প্রাথমিকভাবে তারা জানতে পেরেছেন শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাÐের সূত্রপাত। পরে গ্যাসের রাইজার বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ছড়িয়ে পরে। তবে পরে তদন্ত সাপেক্ষে পুরো বিষয়টি জানা যাবে। লাশ উদ্ধার শেষে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকেলে শহরের সৈয়ারপুরস্থ শ্মশান ঘাটে দাহ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।