Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দৌলতপুরে অ্যালকোহল পানে ৩ জনের মৃত্যু : অসুস্থ ৩

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিষাক্ত অ্যালকোহল পানে ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং অসুস্থ হয়েছে ৩ জন। নিহতরা হলেন, উপজেলার হোসেনাবাদ এলাকার সফের মিয়ার ছেলে খায়ের কসাই (৫৫), একই এলাকার এজবার আলীর ছেলে মফিজুল ওরফে মুক্তি (৩৪), ফিলিপনগর ইউনিয়নের বাহিরমাদি মসজিদপাড়া এলাকার চুন্নু কসাই (৪৫)। অসুস্থদের মধ্যে হোসেনাবাদ এলাকার জিল্লু (৪৪) ও হান্নান (৪২) কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং লিপু নামের অপর এক যুবক অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে রয়েছেন।

স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতে দৌলতপুর উপজেলার হোসেনাবাদ বাজারের রাসেল ফার্মেসী থেকে ৭ জন মাদকাসক্ত ব্যক্তি স্পিরিট বা বিষাক্ত অ্যালকোহল কিনে পান করেন। পরে এদের মধ্যে খায়ের কসাই গভীর রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাতেই ঢাকায় নেয়ার পথে মফিজুল ওরফে মুক্তি মারা যান। ভোর রাতে নিজ বাড়িতে মারা যান বাহিরমাদি মসজিদপাড়া এলাকার চুন্নু কসাই।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হান্নানের চাচা ময়েন উদ্দিন জানান, চিকিৎসাধীন দু’জনই চোখে ঝাপসা দেখছেন। এদের অবস্থা ভালো নয় বলেও তিনি জানান। এদিকে বিষাক্ত অ্যালকোহল পানে পর্যায়ক্রমে নিহত ৩ জনের দাফন গতকাল রোববার সম্পন্ন করা হয়েছে।

মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার নাসির উদ্দিন জানান, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে স্পিরিট খেয়ে অসুস্থ হলে কুষ্টিয়ায় হাসপাতালে নেয়ার পথে খায়ের কসাই মারা যায়। আর ঢাকায় মারা গেছে মফিজুল ওরফে মুক্তি। এ ঘটনার পর থেকেই রাসেল ফার্মেসী বন্ধ করে ফার্মেসীর মালিক রাসেল পালিয়ে গেছে বলে স্থানীয়রা জানান। তবে রাসেল ফার্মেসীর পিছন থেকে শতাধিক স্পিরিটের বোতল উদ্ধার করেছে দৌলতপুর থানা পুলিশ।

দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিসক ডা. সবুজ জানান, অ্যালকোহোল পান করে একজন দৌলতপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি গত শনিবার বিকেলে ভর্তি হয়েছেন। তবে অসুস্থ হয়ে কে কে এসেছিলেন তা জানাতে পারেননি তিনি।

দৌলতপুর থানার ওসি এস এম আরিফুর রহমান জানান, আমরা খবর পেয়ে খায়ের কসাইয়ের বাড়িতে যায়। তার পরিবার হৃদরোগে মারা যাবার সনদ দেখিয়েছেন। বাকি আরও দু’জন নিহত হওয়ার খবর শুনেছি। তবে কেউ অভিযোগ কনেনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ