মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জেএফ-১৭ থাণ্ডার ব্লক-থ্রি প্রজন্মের জঙ্গি বিমানটি ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম আকাশে ওড়ে এবং এর মাধ্যমে পাক-চীন যৌথভাবে নির্মিত এই জঙ্গি বিমান নিজের শক্তি ও শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিয়েছে। চেংদু এয়ারক্র্যাফট ইন্ডাস্ট্রি গ্রুপের (সিএআইজি) ফ্যাসিলিটিতে প্রথমবারের মতো প্রটোটাইপ বিমানের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন করা হয়, যেটিতে জে-২০ জঙ্গি বিমানে ব্যবহৃত বেশ কিছু প্রযুক্তি সংযোজন ও বড় ধরনের আপগ্রেড করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস এই আপগ্রেডের মধ্যে আগের জেএফ-১৭ থান্ডার বিমানের ইলেক্ট্রনিক গেজেটগুলোর আপডেট করা হয়েছে, যেগুলো এই বিমানের আকাশে যুদ্ধ সক্ষমতা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়িয়ে দিয়েছে। জেএফ-১৭ যৌথভাবে তৈরি করেছে চীন ও পাকিস্তান, যেটা প্রধানত পাকিস্তান ব্যবহার করছে।
চীন ও পাকিস্তান জেএফ-১৭ বিমানটি আপডেট করার জন্য যৌথভাবে কাজ করছে এবং এটাকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে তারা যাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের তৈরি বিশ্বসেরা জঙ্গি বিমানগুলোর সমপর্যায়ে পৌঁছে যায় এটা।
জঙ্গি বিমানটির নতুন এয়ার ইনলেট থেকে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে, এতে নতুন ইঞ্জিন সংযোজন করা হয়েছে। সম্ভবত উন্নততর আরডি-৩৩এমকে ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে, যেটা রাশিয়ান মিগ-৩৫-এর সাথে রয়েছে। সেই সাথে ব্যাপক অত্যাধুনিক সক্ষমতা বাড়ানোর কারণে জেএফ-১৭ থাণ্ডার ব্লক-থ্রি বিমানটি অপ্রতিরোধ্য নৌ অ্যাটাক বিমানে পরিণত হয়েছে।
জেএফ-১৭ বিমানের কাঠামো তৈরি করা হয়েছে উচ্চ মানের জঙ্গি বিমানের চাহিদা মাথায় রেখে। উড্ডয়ন মহড়া এবং এয়ার-ফ্রেম ডিজাইনের ক্ষেত্রে এটার উপযুক্ততা প্রমাণিত হয়েছে কিন্তু এটাতে যদি আধুনিক ইলেক্ট্রনিক্স গেজেটগুলো সংযুক্ত করা হয়, তাহলে এটাকে সহজেই আরও উন্নত করে তোলা সম্ভব।
অ্যারোস্পেস নলেজ ম্যাগাজিনের চিফ এডিটর ওয়াং ইয়ানান জানান, ‘জে-১০ ও জে-২০ জঙ্গিবিমানের উন্নয়ন ও আপগ্রেডের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বড় ধরনের অর্জন করেছে চীন। এ জন্য তাদেরকে উচ্চমানের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। জেএফ-১৭ প্রকল্পে যদি এটাকে ব্যবহার করা হয়, তাহলে বিমানটি আকাশে শ্রেষ্ঠত্বের জায়গায় চলে যাবে এবং পাইলটের উপর বোঝা অনেক কমে যাবে।’ জেং এমনকি এটাও বলেন যে, চীনের আগে থেকে তৈরি প্রযুক্তি যদি কাজে লাগানো হয়, তাহলে ব্যায়ের দিক থেকেই সাশ্রয়ী হবে জেএফ-১৭।
২০০৩ সালের আগস্টে পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে জেএফ-১৭ থাণ্ডার বিমান যুক্ত হয়, এফসি-১ নামের একটি প্রটোটাইপ বিমান পাকিস্তানকে দেয়া হয়। জঙ্গি বিমানটি মে মাসে প্রস্তুত হলেও এর প্রথম ফ্লাইট পরিচালনা করা হয় ২০০৩ সালের আগস্টে। নতুন আপগ্রেডেড ভার্সান জেএফ-১৭ থাণ্ডার ব্লক-থ্রি, পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে শিগগিরই যুক্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সূত্র: এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।