মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মিয়ানমারের নিপীড়নে পালিয়ে আসা সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ায় সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন গাম্বিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিচারমন্ত্রী আবুবকর মারি তামবাদু। ভয়েস অব আমেরিকায় জানানো এক প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার তিনি ওই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রাখাইনে রোহিঙ্গা গণহত্যা বন্ধ এবং এ জাতিগোষ্ঠীর সুরক্ষার জন্য মিয়ানমারকে গত বৃহস্পতিবার চার দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নের আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত (আইসিজে)। রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে গাম্বিয়ার করা মামলার শুনানিতে দেশটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আইসিজে এ আদেশ শোনান।
মামলায় গাম্বিয়া মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ১৯৮৪ সালের আন্তর্জাতিক জেনোসাইড কনভেনশন ভঙ্গের অভিযোগ এনেছে। এর পরই এক প্রতিক্রিয়ায় গাম্বিয়ার বিচারমন্ত্রী আবুবকর মারি তামবাদু বলেন, ‘আমার এবং গাম্বিয়াবাসীর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
এই পুরো প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে আমাদের সমর্থন দিয়েছেন তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।'
বিচারমন্ত্রী আরও বলেন, 'শুধু আমাদেরই নয়, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের যেভাবে বাংলাদেশ সহায়তা দিয়েছে তার জন্যও আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা আশা করি এই সহায়তা অব্যাহত থাকবে এবং আমরা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জীবনে পরিবর্তন আনতে পারব।
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা জোরদার করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। দেশটির সেনাবাহিনী রাখাইনে হত্যাকান্ড, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ শুরু করলে জীবন বাঁচাতে নতুন করে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।
গত বছরের নভেম্বরে আইসিজেতে মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে আফ্রিকার ক্ষুদ্র রাষ্ট্র গাম্বিয়ার এই বিচারমন্ত্রীই আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। এই মামলায় গত বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক আদালতের অনর্বতীকালীন আদেশে বলা হয়, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো নির্যাতন গণহত্যার শামিল।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তিনি মন্তব্য করেছিলেন, রুয়ান্ডার গণহত্যার সঙ্গে তিনি রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতার মিল খুঁজে পাচ্ছেন। কাজেই মিয়ানমারকে আদালতে নেয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।
রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মিয়ানমারকে দোষী সাব্যস্ত করতে আবুবকর মারি তামবাদু ও গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মামাদু তাঙ্গারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।