মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্যারিস-ভিত্তিক সন্ত্রাস বিরোধী অর্থায়ন নজরদারীর প্রতিষ্ঠান ফিনান্সিয়াল অ্যাকশান টাস্ক ফোর্স পাকিস্তানকে যে ৪০টি সুপারিশ করেছিল, এর মধ্যে মাত্র একটি পূরণ করে পাকিস্তান সফলভাবে নিজেদের অবস্থানকে সুরক্ষা করতে পেরেছে, যেটা ভারতের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার উপর একটা আঘাত হেনেছে। পাকিস্তানী দৈনিক দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে।
অক্টোবরে এফএটিএফ ইসলামাবাদকে তাদের সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের জন্য ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়। এ সপ্তাহে বেইজিংয়ে এফএটিএফের বৈঠকে পাকিস্তান নিজেদের অবস্থানকে ব্যাখ্যা করছে। এ বিষয়টি নিশ্চিত হলে, সেটা ভারতের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার উপর বড় ধরণের আঘাত হবে কারণ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য ভারত অব্যাহতভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
পাকিস্তান এফএটিএফের পরামর্শগুলো বাস্তবায়নের জন্য যা করেছে, সেগুলোর ব্যাপারে বেইজিংয়ের বৈঠক থেকে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে, যেটার কারণে পাকিস্তানকে ‘ধুসর তালিকা’ থেকে স্বাভাবিক ‘সাদা তালিকায়’ ফিরিয়ে আনা হতে পারে। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রী হাম্মাদ আজহারের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল বিগত বেশ কিছু দিন ধরে বেইজিংয়ে অবস্থান করছে এবং ৩৯ সদস্যের গ্রুপের বিভিন্ন সদস্যদের সাথে লবিং চালিয়ে যাচ্ছে।
সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধুসর তালিকা থেকে বেরিয়ে এসে সাদা তালিকায় জায়গা পাওয়ার জন্য ৩৯ সদস্যের এফএটিএফের পূর্ণাঙ্গ বৈঠকে পাকিস্তানকে ১২ ভোট পেতে হবে। ২০২০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি প্যারিসে এফএটিএফের ওই পূর্ণাঙ্গ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। জানা গেছে, ভারত একমাত্র নিঃসঙ্গ দেশ হিসেবে পাকিস্তানের অতীত রেকর্ড নিয়ে অভিযোগ করেছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয় ইউনিয়ন এবং অন্যান্যরা ভারতকে কোন সমর্থন দেয়নি।
পাকিস্তানী সূত্রকে উদ্ধৃত করে নিউজ ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, ‘পাকিস্তানী টিম তাদের অবস্থানকে সংহত করার জন্য সেখানে উপস্থিত আছে। এফএটিএফের যৌথ গ্রুপের যদি অতিরিক্ত কোন দলিলপত্রের প্রয়োজন হয়, কোন বারতি তথ্যের প্রয়োজন হয়, তাহলে পাকিস্তান সেটা সরবরাহের জন্য সেখানে প্রস্তুত থাকবে।’
কালোতালিকাভুক্তি এড়ানোর জন্য পাকিস্তানের তিনটি দেশের সমর্থন প্রয়োজন। ধুসর তালিকা থেকে বেরিয়ে সাদা তালিকায় আসার জন্য তাদের ৩৯ সদস্যের মধ্যে ১২টি ভোটের প্রয়োজন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘তৃতীয় আরেকটি সম্ভাবনা রয়েছে যে, পাকিস্তান হয়তো আরও তিন থেকে ছয় মাস ধুসর তালিকাতে থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পাওয়ার পর, এখন এই সম্ভাবনাটা তৈরি হয়েছে যে, পাকিস্তান ধুসর তালিকা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে।’ সূত্র: এসএএম।
পাকিস্তান, এফএটিএফ
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।