গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বিশেষ সংবাদদাতা : গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের কুতুবখালী প্রবেশমুখে যানজটে ভোগান্তি বেড়েছে। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে যানজট ততো বাড়ছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ফ্লাইওভারের প্রবেশমুখে বাস দাঁড় করানোর কারণেই এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। এ নিয়ে ফ্লাইওভার কর্তৃপক্ষের যেনো কোনো দায় নেই।
সরেজমিনে ফ্লাইওভারের কুতুবখালী প্রান্তে গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ধরে যেসব যানবাহন আসছে ফ্লাইওভারের প্রবেশমুখে সেগুলো যাত্রী ওঠানামা করানোর জন্য দাঁড়াচ্ছে। এতে করে ফ্লাইওভারের প্রবেশমুখে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। একই স্থানে আবার রাস্তা পারাপারের ব্যবস্থা থাকায় কিছুক্ষণ পর পর ফ্লাইওভারের কর্মীরা রাস্তা বন্ধ করে যাত্রী পারাপার করছে। তাতেও অনেক যানবাহন আটকা পড়ছে।
ভুক্তভোগী কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ফ্লাইওভারের মুখে বাস থামার কারণেই মূলত যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। বাসগুলো ফ্লাইওভারের মুখে না দাঁড় করালে এভাবে যানজটের সৃষ্টি হতো না। ফ্লাইওভারের কর্মীরা জানান, একটু সামনে বা পেছনে বাসগুলোকে দাঁড় করানো গেলে যানজট কমানো যেতো। কেনো তা করা হচ্ছে না জানতে চাইলে একজন কর্মী বলেন, আমাদেরকে এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। নির্দেশনা না পেলে আমরা তা করতে পারি না। নিয়মিত ফ্লাইওভার দিয়ে চলাচল করেন ব্যবসায়ী ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, শুরু থেকেই ফ্লাইওভারের আয়ের জন্য কর্তৃপক্ষ যাচ্ছে-তাই করছে। কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করছে না। কিছুদিন আগে ফ্লাইওভারের উপরে বাসস্টপেজ বানানো হয়েছিল। ফ্লাইওভারের মাঝখানে বাস দাঁড়াতে গিয়ে চলন্ত গাড়িগুলোর সমস্যা হতো। একটা গাড়ি ৬০ টাকা থেকে শুরু করে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত টোল দেয় সামান্য পথ নিরাপদে যাওয়ার জন্য। সেখানে মাঝপথে যানজটে আটকে থাকতে হবে এটা কেউ কী মেনে নিতে পারে। যাই হোক সেই স্টপেজ বন্ধ হয়েছে। তিনি বলেন, এখন ফ্লাইওভারের মুখে বাস দাঁড়ানোটা বন্ধ করতে হবে। ঈদ উপলক্ষে যানবাহনের ভিড়ে এখন এটাও একটা বড় যন্ত্রণা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আরেক যাত্রী বলেন, ইদানীং ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে দিব্যি মানুষজন চলাচল করে। হেঁটে এপাড় থেকে ওপাড় যায়। তাতে গাড়ি চালকদের বিপাকে পড়তে হয়। সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ও যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় দুটো সিঁড়ি লাগানো হয়েছে যাত্রীদের ওঠানামা করার জন্য। এটাও নিয়ম-বহির্ভূতভাবে করা হয়েছে। ডিএসসিসির উচিত এগুলো বন্ধ করে দেয়া। ফ্লাইওভার কর্তৃপক্ষ যা খুশি তাই করবে তা হতে পারে না বলে ওই ব্যক্তি মনে করেন।
জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে এসে হানিফ ফ্লাইওভারে ওঠার পর বাসগুলো প্রথমে কুতুবখালী প্রবেশ মুখে দাঁড়ায়। এরপর মাঝপথে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা বরাবর একটি দাঁড়ানোর জায়গা বেশ কিছুদিন আগে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এরপর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের কাছে বাসগুলো দাঁড়ায়। সেখান থেকে টিকাটুলি রাজধানী মার্কেটের কাছে একবার দাঁড়ায়। ফিরতি পথে প্রথমে টিকাটুলি, এরপর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, এরপর যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় বাস টেম্পুগুলো যাত্রী ওঠানামা করায়। এরপর পকেট গেইট নামক স্থানে যাত্রী ওঠানামা করানো হয়। এসব কারণে ফ্লাইওভার দিয়ে কোনো যানবাহনই নির্বিঘœ চলতে পারে না। বাধার মুখে পড়েত হয়। এ কারণে মানুষ আগে থেকেই হতাশ এবং ক্ষুদ্ধ। ভুক্তভোগীদের দাবি, নিয়ম মেনে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারকে যানজটমুক্ত করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।