নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : প্রিমিয়ার হকি লীগে চলছেই জিমি যাদু। বলতে গেলে একাই টেনে নিয়ে যাচ্ছেন ক্লাব মোহামেডানকে। গতকাল শো’য়ের কাছেই হেরে গেলো বাংলাদেশ স্পোর্টিং ক্লাব। জিমির ডাবল হ্যাটট্রিকের সুবাদে মোহামেডান জেতে ৭-৬ গোলের ব্যবধানে। তবে মোহামেডানের গোলহজমেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে ম্যাচটি। দিনের অন্য ম্যাচে ঢাকা ওয়ান্ডারার্সকে ২-৪ গোলে হারায় আবাহনী লিমিটেড। অভিযোগের এক দিন ছিল কাল। প্রথম ম্যাচে আবাহনী হারায় ওয়ান্ডারার্সকে। ওই ম্যাচ নিয়ে বাংলাদেশ এসসির অভিযোগ ছিল, পঞ্চমস্থানে থাকতেই ওয়ান্ডারার্সকে দু’গোল করার সুযোগ করে দেয় আবাহনী। অন্যদিকে ওয়ান্ডারার্সের অভিযোগ, আমাদেরকে ষষ্ঠস্থানে ঠেলে দিতেই মোহামেডান ছয় গোল হজম করেছে বাংলাদেশ স্পোর্টিং ক্লাবের কাছে। তবে সূত্রে জানা গেছে, মোহামেডান, ঢাকা মেরিনার, বাংলাদেশ স্পোর্টিং এবং ওয়ারী- এই চার ক্লাবের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক শফিউল্লাহ মুনীর নিজেই। তাই বাংলাদেশ এসসিকে পঞ্চমস্থানে রাখতেই নাকি মোহামেডানের খেলোয়াড়দের প্রতি তার নির্দেশনা দেয়া ছিল।
শিরোপা রেসে হয়তো মোহামেডান নেই। কিন্তু নিজের আপন গতিতেই খেলেছেন জিমি। চলতি লীগে জাতীয় দলের এই ফরোয়ার্ড একের পর এক গোল উৎসব করেছেন। হ্যাটট্রিক করেছেন ছয়টি। প্রথম পর্বে দু’টি এবং সুপার সিক্স পর্বে চারটি। তার গোল সংখা ৩৭। এটা কাগজে কলমের হিসাব। আর জিমির হিসাব হচ্ছে হ্যাটট্রিক সাতটি এবং গোল ৩৮টি। দীর্ঘদিন পর ঢাকার প্রিমিয়ার হকি লীগে একজন ফরোয়ার্ড এত সংখ্যক গোল করলেন। এর পেছনের কারণ জানতে চাইলে জিমির কথা, ‘আমাকে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় স্ত্রী ফারজানা আক্তার লাকি মাথা গরম না করার জন্য কসম দেয়। আমিও ম্যাচে নেমে চেষ্টা করি নিজের দেয়া কসম টিকিয়ে রাখতে। তাই ঠাÐা মাথায় খেলেই গোলের পর গোল পেয়েছি। তবে এর মধ্যে দু’দিন আমার দেয়া ওয়াদা রাখতে পারিনি।’ ইডেন কলেজে পড়া নিজের স্ত্রী সম্পর্কে জিমি বলেন, ‘আমার খেলার প্রতি বেশ যতœবান লাকি। পত্রিকায় আমার খবর কিংবা ছবি দেখলেই তা কাটিং করে রাখে। বলতে গেলে বাবার পর লাকিই আমার খেলায় প্রেরণা যোগায়।’
তবে ম্যাচে ৬-২ গোলে মোহামেডান এগিয়ে থাকার পর যা ঘটলো, তাতে অবাক হওয়া ছাড়া কিছুই ছিল না। কারণ বাংলাদেশে স্পোর্টিং ক্লাবের দেয়া প্রত্যেকটি গোল হজমের পরেই মোহামেডানের খেলোয়াড়দের মুখে হাসি ছিল। মনে হচ্ছিল ইচ্ছে করেই তারা গোল হজম করছে। তবে এ বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সাদা কালো শিবিরের খেলোয়াড়রা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।