মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আবহাওয়া পরিবর্তন মোকাবেলায় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ১ লাখ কোটি গাছ লাগানোর উদ্যোগে যোগ দেবে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল ডাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) শীর্ষ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ঘোষণা দিয়েছেন। তবে তিনি পরিবেশবিদদের উদ্বেগকে ‘হতাশাবাদ’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
চলতি বছর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে সুইজারল্যান্ডের ডাভোসের আল্পাইন রিসোর্ট শহরে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ৫০তম শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রসহ ৮৫টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান যোগ দিয়েছেন। মোট ১১৮টি দেশের প্রায় ৩ হাজার অংশগ্রহণকারী এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। আরো আছেন জেপি মর্গান, ফেসবুক ও উবারের প্রতিষ্ঠাতা ও মালিকরা। এবারের সম্মেলনে মূল এজেন্ডা ছিল ছিল আবহাওয়া পরিবর্তন এবং গ্লোবাল ওয়ার্মিং।
রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী নেতাদের উদ্দেশে দেয়া বক্তব্যের শুরুতে ডোনাল্ড ট্রাম্প পরিবেশবাদীদের ‘ভাববাদী’ বলে অভিহিত করেন এবং তাদের সতর্কবাণীগুলো প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ‘ভয় এবং সন্দেহ ভাল চিন্তার প্রক্রিয়া নয়।’ বিষাক্ত গ্যাস নির্গমন নিয়ে উদ্বেগ সত্তে¡ও ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বের বৃহত্তম প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনকারী দেশ হিসাবে প্রশংসা করেছেন। বক্তৃতার আগে আবহাওয়া পরিবর্তনের বিষয়ে তার অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, ‘আমি পরিবেশে অনেক বড় বিশ্বাসী। পরিবেশ আমার পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
বক্তব্যে ট্রাম্প তার প্রশাসনের দেশীয় অর্থনৈতিক নীতির প্রশংসার দিকেই বেশি মনোনিবেশ করেছেন। তিনি বলেন, তার নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের সমৃদ্ধি ‘রেকর্ড গতি’তে ফিরে আসবে। একটি জাতির প্রধান দায়িত্ব তার জনগণের প্রতি, এই মন্তব্য করে ট্রাম্প বলেন, যখন সরকার শুধুমাত্র তার নাগরিকদের প্রথমে রাখবে, তখনই তারা জাতির ভবিষ্যতে অবদান রাখতে পারবে।’ ভাষণে ট্রাম্প আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়িক চুক্তিগুলো একবিংশ শতাব্দিতে বিশ্বের জন্য মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তিনি জানান, চায়নার সাথে পরবর্তী চুক্তিতেও বর্তমানে আরোপিত বেশিরভাগ শুল্কই বহাল থাকবে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৭ সালে প্যারিসের পরিবেশ রক্ষা সম্মেলন বয়কট করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
৩ বছরে মিথ্যা বলেছেন ১৬ হাজার বার
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত তিন বছরে ১৬ হাজারবার মিথ্যা বলেছেন অথবা বিভ্রান্তিকর কথা বলেছেন। এর মধ্যে মারাত্মক অবাস্তব কথাও রয়েছে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের মেয়াদের তিন বছর শেষে এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ওয়াশিংটন ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য হিল’।
এর ওয়েব সাইটে গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ট্রাম্প তিন বছরে প্রকাশ্যে যেসব কথা বলেছেন তার মধ্যে ১৬ হাজার ২৪১টি কথা মিথ্যাচার, অবাস্তবতা ও বিভ্রান্তিতে ভরপুর।
‘দ্য হিল’ আরও জানিয়েছে, গত তিন বছরের মধ্যে ২০১৯ সালে সবচেয়ে বেশি মিথ্যা বলেছেন ট্রাম্প। কেবল ২০১৯ সালে তার মিথ্যার সংখ্যা ছিল আট হাজার ১৫৫টি। এর আগে দুই বছরে মোট মিথ্যা বলেছিলেন আট হাজার ৬৮৮ বার।
মূলত গত তিনটি বছর ছিল ট্রাম্পের জন্য ছিল মিথ্যা, ভুল বিবৃতি ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের বছর। আর এসব মিথ্যা কথার বেশিরভাগই বলেছেন ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান, নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকা এবং সাবেক ফার্স্টলেডি ও ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন সম্পর্কে।
প্রতিদিনই একটার পর একটা টুইট করে মিথ্যার ঝড় তুলে যাচ্ছেন তিনি। তিন বছরের সব বিবৃতি ও বার্তা নিয়মিত বিশ্লেষণ করে যাচ্ছে মার্কিন পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্ট। সূত্র : ডয়েচে ভেলে, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।