মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তানের অধিকাংশ মানুষের প্রধান খাবার বলা যায় রুটি। সেই রুটি খাওয়া নিয়ে শঙ্কা! আকাশচুম্বী আটার দাম ভাবিয়ে তুলেছে পাকিস্তান সরকারকেও। এছাড়া দাম বেড়েই চলেছে। এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে কেজিতে প্রায় ২০ রুপি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থনীতি ভালো থাকলে দামটা খুব বেশি সমস্যা করতো না। কিন্তু, পাকিস্তানের অর্থনীতির অবস্থা অনেক দিন ধরেই ভালো যাচ্ছে না। বর্তমানে ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানি মুদ্রার বিনিময় হার ১৫৪ রুপির উপরে। এ নিয়ে মহা চিন্তায় ইমরান খানের সরকার। তার মধ্যে আবার এসে জুটেছে নতুন সমস্যা। পাকিস্তানের আটার আকাশছোঁয়া দামে চিন্তিত সরকার। কিছুদিন আগে পর্যন্ত টমেটো পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগেছেন পাকিস্তানের জনগণ। এবার আলোচনার কেন্দ্রে আটা। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, ইমরানের দেশের বেশিরভাগ জায়গায় এক কিলো আটার দাম ৬২ টাকা। গত এক সপ্তাহেই আটার দাম কিলো প্রতি বেড়েছে পাঁচ টাকা।
পাকিস্তানের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গত এক সপ্তাহেই আটার দাম কেজি প্রতি বাড়ে পাঁচ রুপি। মাসখানেক আগেও করাচিতে ১০ কেজি আটার দাম ছিল ৪৫০ রুপি (কেজিপ্রতি ৪৫ রুপি)। এখন সেখানে ১০ কেজি আটার দাম ৬২০ থেকে ৭০০ রুপি।
বিক্রেতারা বলছেন, গমের দাম হঠাৎই বেড়েছে। তাই আটার দামও বেড়েছে। ফ্লোর মিল অ্যাসোসিয়েশন কেজি প্রতি আটার দাম ৬ রুপি বাড়িয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। দাম কবে কমবে সে ব্যাপারেও কোনও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না।
তবে ইমরান খান সরকার বলছে, গমের দাম বাড়ার খবর ভুয়া। সরকারি গুদামে চার মিলিয়ন টন গম মজুত রয়েছে। ফলে এমনভাবে লাফিয়ে দাম বাড়ার কোনও যুক্তি নেই।
শনিবার ইমরান খান রাজ্য সরকারকে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধিতে লাগাম টানার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এদিকে রেস্তোরাঁ ও ধাবা মালিকরা আজ থেকে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সরকারের কাছে তাদের দাবি, পুরনো মূল্যে আটা সরবরাহ করতে হবে। না হলে রুটি ও নানের দাম অস্বাভাবিক বাড়িয়ে দিতে বাধ্য হবেন তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।