Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ভারতেও ছড়িয়ে পড়তে পারে চীনের নতুন ভাইরাস

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ জানুয়ারি, ২০২০, ১:৪৪ পিএম

সম্প্রতি নতুন এক ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে চীনে। এই ভাইরাসের কারণে ইতোমধ্যে দেশটিতে দুজন মারা গেছে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে আরো কয়েক হাজার মানুষ। এটি করোনাভাইরাসের সম্পূর্ণ নতুন সংস্করণ। ভাইরাসটির উৎস চীনের উহান শহর। আর এই ভাইরাসটি ভারতেও ছড়িয়ে পড়তে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে। লেখাপড়ার সূত্রে চীনের উহান শহরে বহু ভারতীয় ছাত্রের বসবাস। চীনা নববর্ষ উপলক্ষে আপাতত ছুটির আবহ চলছে সেখানে। এ সময়টা দেশে ফিরবেন ছাত্ররা। ওই ছাত্রদের মাধ্যমে ভারতে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আশঙ্কা, যদি ছাত্রদের কেউ ওই ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে ভারতে আসেন এবং তা থেকে তার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে পরিস্থিতি সামলানো কঠিন হতে পারে।
চীনে রোগ নির্ণয়ের পদ্ধতি অক্ষরে অক্ষরে মেনে এগোচ্ছেন চিকিৎসকরা। প্রতিবারই ডায়াগনসিসে মিলছে 'নিউমোনিয়া। কিন্তু কারণ খুঁজতে গিয়ে হতভম্ব চিকিৎসকরা। দেশটিতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত দুজনের মৃত্যু হয়েছে ইতিমধ্যে। শনিবার আবার চীনে নতুন করে ৪ জনের নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার খবর মেলে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা, এর নেপথ্যেও নয়া করোনাভাইরাস। এ ছাড়া অসমর্থিত সূত্রে সাংহাই ও শেনঝেনেও তিন জনের সংক্রমণের খবর মিলেছে। চীনের বাইরে থাইল্যান্ড ও জাপানে আগেই তিনজনের সংক্রমণের খবর মিলেছিল। সব মিলিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে সর্বত্র। কারণও রয়েছে।
২০০২-২০০৩ সালে সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম বা সার্সের সংক্রমণে বিশ্বজুড়ে প্রায় ৮০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তার পেছনেও ছিল করোনাভাইরাস।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নতুন সংস্করণ সেই সাবেক করোনাভাইরাসেরই জ্ঞাতি। তবে এখনই নয়া ভাইরাসটিকে সার্সের মতো বিপজ্জনক ভাবার কারণ নেই বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। তাহলে এত আশঙ্কা কেন?
ভাইরাসটির গঠনগত বৈশিষ্ট্য, অভিযোজনের ক্ষমতা বা সংক্রমণের মাধ্যম, কিছুই জানা নেই। ফলে সেটিকে প্রতিহত করা যাবে, সে ব্যাপারেও অন্ধকারে রয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রাথমিক ধারণা, এর সঙ্গে সামুদ্রিক খাবারের বাজারের সম্পর্ক থাকলেও থাকতে পারে। অগ্রিম সতর্কতাই তাই অবলম্বন। চীন থেকে আগত বিমান যাত্রীদের জন্য তাই থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের বন্দোবস্ত করেছে মুম্বাই বিমানবন্দর। অভিবাসন সংক্রান্ত চত্বর পর্যন্ত পৌঁছনোর আগেই থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের মধ্যে দিয়ে তাঁদের যেতে হবে বলে জানিয়েছে এয়ারপোর্ট হেলথ অর্গানাজেশন (এপিএইচও)। যদি কারও মধ্যে রোগের উপসর্গ মেলে, সেক্ষেত্রে তাঁকে আইসোলেশন হাসপাতালে পাঠানো হবে।
এদিকে, চীন-সফরে যাওয়া ভারতীয়দের জন্য নির্দেশিকাও জারি করেছে সরকার। হাতধোয়া, শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা হলে সে সংক্রান্ত আচরণবিধি মেনে চলা ও সর্বোপরি কাউকে দেখে অসুস্থ বলে মনে হলে তাঁর থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে। রান্না না করা মাংস খেতে ও খামারে যেতেও বারণ করা হয়েছে যাত্রীদের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভাইরাস

১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২৬ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ