পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
১৪৪১ হিজরির হজ টিকিটের ওপর আকাশচুম্বি ভাড়ার প্রস্তাব আসছে। হজ টিকিটের মূল্য প্রতি বছরই বাড়ছে। পাশ্ববর্তী দেশ ভারত, মালয়েশিয়া, পাকিস্তানের হজ টিকিটের চেয়ে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া দ্বিগুণ। আগামীকাল রোববার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে হজ টিকিটের ভাড়া নির্ধারণী সভায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স গত বছরের হজ টিকিটের ভাড়ার চেয়ে এবার জনপ্রতি প্রায় ২৭ হাজার টাকা অতিরিক্ত ভাড়া নির্ধারণের চিন্তাভাবনা করছে।
বিমান এবার হজ টিকিটের ভাড়া জনপ্রতি প্রায় ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব উত্থাপন করতে যাচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিমানের একটি সূত্র এতথ্য জানিয়েছে। উল্লেখিত সভায় বিমানের হজ টিকিটে অযৌক্তিক ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে ধর্ম মন্ত্রণালয়, হাব ও বিমানের মধ্যে তুমুল বাগি¦তন্ডার আশঙ্কা রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিমান কর্তৃপক্ষ ২০১৯ সনে হজ টিকিটের ভাড়া ছিল ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছিল।
কিন্ত ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ ও হাবের সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিমের তুমুল আপত্তির মুখে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মো. মাহবুব আলী হজ টিকিটে দশ হাজার টাকা কমিয়ে ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করেন। এবার ধর্ম মন্ত্রণালয় ও হাব হজ টিকিটের মূল্য যৌক্তিক কারণে জনপ্রতি ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় নির্ধারণের প্রচেষ্টা চালাবে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী হজ টিকিটের অযৌক্তিক মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব কোনো মতেই পাশ হতে দেবেন না বলেও মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হজ) এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী বৃহস্পতিবার হজ টিকিটের ভাড়া চূড়ান্তকরণ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া এখনো নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।
হাবের একটি সূত্র জানায়, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি না পেলেও বিমান অযৌক্তিভাবে প্রতি বছর হজ টিকিটের মূল্য বাড়াচ্ছে। ২০০১ সালে ৪৩ হাজার ৩৫৮ জন হজযাত্রী হজে গিয়ে ছিলেন। ওই সময়ে হজ টিকিটের নীট ভাড়া ছিল জনপ্রতি ৭৫০ মার্কিন ডলার। ২০০৬ সালের জানুয়ারি মাসের হজে ৫২ হাজার৪৯৭ জন হজযাত্রীর হজ টিকিটের নীট ভাড়া ছিল ১০৫০ মার্কিন ডলার। একই বছর ডিসেম্বর মাসের হজের টিকিটের নীট ভাড়া ছিল ১২০০ মার্কিন ডলার। ২০১১ সালে ১ লাখ ৭ হাজার ৩৭২ জন হজযাত্রীর নীট ভাড়া ছিল ১৪৬৫ মার্কিন ডলার। ২০১২ সালে ১ লাখ ৯ হাজার ৬৬০ জন হজযাত্রীর হজ টিকিটের নীট ভাড়া ছিল ১৪৭৫ মার্কিন ডলার। ২০১৭ সালে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রীর হজ টিকিটের ভাড়া ছিল ১ লাখ ২৪ হাজার ৭২৩ টাকা । ২০১৮ সালে ১ লাখ ২৬ হাজার ১৮৩ জন হজযাত্রীর হজ টিকিটের ভাড়া ছিল ১ লাখ ৩৮ হাজার ১৯১ টাকা এবং গত বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ১৫২ জন হজযাত্রীর জনপ্রতি টিকিটের ভাড়া ছিল ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা।
বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ওমরাহ টিকিটের দাম (সউদী আসা যাওয়া ) ট্যাক্সসহ ৫২ হাজার ২০০ টাকা আর সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের ওমরাহ টিকিটের দাম ৪৭ হাজার ১৫২ টাকা।
চলতি বছরের দ্বি পাক্ষিক হজ চুক্তিতে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহর আন্তরিক প্রচেষ্টায় রাজকীয় সউদী সরকার বাংলাদেশের হজযাত্রীর কোটি আরো দশ হাজার বৃদ্ধি করেছে। ফলে আগামী হজে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী হজে যেতে পারবেন।
হাবের ইসির অন্যতম সদস্য আতাউর রহমান হজ টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির পাঁয়তারায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হজযাত্রীদের প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক। হজযাত্রীরা আল্লাহর মেহমান। হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া অস্বাভাবিক বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী কোনো দিন বাস্তবায়ন হতে দেবেন না বলেও হাবের ইসির সদস্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।