পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কনে দেখতে গিয়ে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন দুই ভাই। এছাড়া পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন মামা-ভাগ্নে। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টা যাত্রাবাড়ী ও গতকাল দুপুর পৌনে দুইটার উত্তরা এলাকায় দুর্ঘটনাগুলো ঘটে।
নিহতরা হলেন, জুয়েল শেখ (৪০), লিটন শেখ (৩৫), আনোয়ার হোসেন (৪০) ও সালাউদ্দিন (২২)। তাদের মধ্যে জুয়েল ও লিটন আপন দুই ভাই। আর আনোয়ার ও সালাউদ্দিন সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে। তারা রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় বাসের ধাক্কায় নিহত হন। আর জুয়েল ও লিটন রাজধানীর উত্তরা এলাকায় বাসের ধাক্কায় নিহত হন। তারা ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার বড়ইকান্দি গ্রামের হারুন শেখের ছেলে।
লাশ সনাক্ত করেন নিহতদের আরেক ভাই সোহেল শেখ জানান, তাদের আরেক ছোট ভাই বাবুলের বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে সকালে গাজীপুর থেকে বাড্ডা যাচ্ছিলো জুয়েল ও লিটন। সেখানে যাওয়ার পথে উত্তরায় বাসের ধাক্কায় রাস্তায় ছিটকে পড়েন তারা। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
সোহেল শেখ আরো জানান, স্ত্রী ও এক মেয়ে এবং এক ছেলেকে নিয়ে গাজীপুর এলাকায় থাকতেন লিটন। সেখানে বালুর ট্রাকে কাজ করতেন। অন্যদিকে স্ত্রী ফরিদা ও দুই মেয়েকে নিয়ে রামপুরা মহানগর প্রজেক্ট এলাকায় থাকতেন জুয়েল। তিনি পাঠাও এর গাড়ি চালাতেন।
উত্তরা পূর্ব থানার এসআই আল আরাফাত জানান, উত্তরা পূর্ব থানার সামনে দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় অভি পরিবহনের একটি বাস তাদের ধাক্কা দেয়। এতে তারা ছিটকে পরে গুরুতর আহত হয়। পরে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। অভি পরিবহনের বাসটি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় বনানী এলাকা থেকে জব্দ করা হয়। এ সময় চালককে আটক করা হয়।
এদিকে, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে যাত্রাবাড়ী সাদ্দাম মার্কেট এলাকায় রাস্তা পারাপারের সময় বাসের ধাক্কায় নিহত হন আনোয়ার হোসেন ও সালাউদ্দিন। তারা সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহত আনোয়ারের স্ত্রী শাহেদা জানান, তারা দুই সন্তান নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর সাদ্দাম মার্কেট এলাকায় বসবাস করতেন। তার স্বামী মতিঝিল এলাকায় পানির ব্যবসা করত। গত শুক্রবার ব্যবসায়িক কাজ শেষে বাসা ফেরার পথে বাসের ধাক্কায় আহত হন তার স্বামী ও ভাগ্নে। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম জানান, সাদ্দাম মার্কেট এলাকায় দুর্ঘটনায় মামা-ভাগ্নে নিহত হয়েছেন। তাদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।