পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই প্রার্থীদের অবিরাম প্রচার-প্রচারণা চলছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। চাইছেন নিজ নিজ প্রতীকে ভোট। ব্যতিক্রম নয় বিএনপি মনোনীত উত্তর ও দক্ষিণ সিটির মেয়র প্রার্থীরাও। প্রতিদিনই উত্তরের বিভিন্ন এলাকায় ছুটে বেড়াচ্ছেন তাবিথ আউয়াল এবং দক্ষিণে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। তবে ভোটের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই এই দুই প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা, ভয়-ভীতি প্রদর্শন, গ্রেফতার করা হচ্ছে এবং পোস্টা ছিড়ে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন। এসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন।
প্রচারনায় হামলা চালিয়ে ভোট থেকে বিএনপিকে সরানো যাবে না হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ইশরাক হোসেন বলেন, ইসলামপুরে ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণা চালাতে গেলে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়। আমি দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, যত ষড়যন্ত্রই হোক, যত কু-কর্মের পরিকল্পনা করা হোক, আমরা শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবো। জনগণের অধিকার, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাবো। বৃহস্পতিবার ভোটের প্রচারণার সপ্তম দিনে যাত্রাবাড়ির বিভিন্ন স্থানে প্রচারণাকালে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী এই হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি বলেন, আমাদের সাথে জনগণ আছে। ধানের শীষের গণজোয়ার দেখে ভীত হয়ে এখন সরকারি দলের লোকজন আমাদের ওপর বিভিন্ন স্থানে হামলা করছে, আমাদের প্রচারনায় বাঁধা দিচ্ছে, আমাদের পোস্টার ছিড়ে ফেলছে। ইশরাক অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়ে আমরা বিচার পাচ্ছি না। অভিযোগ করলে কোনো প্রতিকার নেই। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় দয়াগঞ্জ ব্রিজ থেকে গণসংযোগ শুরু করেন ইশরাক। যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা, উত্তর যাত্রাবাড়ী, ধলপুর, কাজলা প্রধান সড়ক, শনির আখড়া, মৃধাবাড়ী ক্যানেল রোয হয়ে কোনাবাড়ি পর্যন্ত প্রচারনা চালান তিনি। পায়ে হেটে অলিতে-গলিতে লিফলেট দিয়ে ভোট চান ইশরাক।
তিনি বলেন, আপনাদের কাছে এসেছি আপনাদের দোয়া নিতে। আমার বাবা আপনাদের সেবা করেছেন, আপনারা তাকে মেয়র করেছিলেন। তখন ঢাকা অবিভক্ত ছিলো। এখন আমি আপনাদের কাছে এসেছে একটি ভোট ধানের শীষের দেবে-এই কথা জানাতে। আপনার একটি ভোটে ধানের শীষের বিজয় হতে পারে, গণতন্ত্রের লড়াই বেগবান হতে পারে, দেশনেত্রী গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির পথ সুগম হতে পারে।
ইশরাক বলেন, ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ারে দেখে সরকার নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে, যেই মামলা নোটিসের জবাব না দেয়ার জন্য করা হয়েছে। ২০০৮ সালে সম্পদের বিবরণী চেয়ে যে নোটিশ দেয়া হয়েছিলো তার জবাব না দেয়ার হয়েছে। এই প্রচারনার সময়ে ইশরাকের পাশে আবদুল্লাহ আল নোমান, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারা অংশ নেন।
বিভিন্ন গলি দিয়ে যখন ইশরাক মিছিল নিয়ে মুহুর্র মুহুর্র শ্লোগান দিয়ে প্রচারনা, তখন রাস্তার দুই ধারে ছাড়াও উঁচু বিল্ডিংয়ের বারান্দা নারী শিশুদের দাঁড়িয়ে হাতে নেড়ে শুভেচ্ছা জানাতে দেখা গেছে। অনেকে ফুলের পাঁপড়ি ছিটিয়ে ইশরাককে শুভেচ্ছা জানায়। একজন শিশুকে কোলে নিয়ে শিশুদের বাসযোগ্য নতুন ঢাকার গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মেয়র পদে বিএনপির এই তরুন প্রার্থী।
পূজারদিন নির্বাচনের প্রতিবাদ ব্যালটে দেবেন: তাবিথ আউয়াল
ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারে জনগণ এখনও প্রস্তুত নয় মন্তব্য করে তাবিথ আউয়াল ব্যালটে ভোটগ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি ৩০ জানুয়ারি সরস্বতী পূজার দিনে নির্বাচন দেওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মনের ক্ষোভ ভোটে প্রকাশ করবেন বলে মনে করেন তিনি। বৃহস্পতিবার নির্বাচনী প্রচারের সময় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। সকালে পান্থপথ বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স থেকে নেতা-কর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ শুরু করেন। সেখানে তাবিথ আউয়াল বলেন, সকল পরিস্থিতি বিবেচনায় ইভিএম ব্যবহার করার মতো জনগণ প্রস্তুত নয়। নির্বাচন কমিশন নিজেই স্বীকার করছে, তাদের প্রশিক্ষিত জনবল নেই, সেনাবাহিনী থেকে ধার করতে হচ্ছে। আমরা সব সময় বলে আসছি, আমরা প্রযুক্তির বিপক্ষে নই, আমরা পদ্ধতির বিরোধিতা করছি। নির্বাচন কমিশন যদি একতরফাভাবে ইভিএম ব্যবহার করতেই চায়, তাহলে অনেক আগেই উচিত ছিল, জনগণকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার, তাদের সচেতন করার। কিন্তু তাদের সে ব্যবস্থা নেওয়ার ইচ্ছা নেই। এরপর গ্রিন রোড, আনন্দ সিনেমা হলের পাশ দিয়ে তেজগাঁও কলেজ, ইন্দিরা রোড, খামারবাড়ি, মনিপুরী পাড়া, আওলাদ হোসেন মার্কেট হয়ে আগারগাঁও এলজিইডি ভবন, ৬০ ফুট সড়ক ধরে পীরের বাগ, রোকেয়া স্বরণী, তালতলা স্টাফ কোয়ার্টার, পানির ট্যাংকি রোড, শ্যামলী ১ নং রোডে প্রচার চালান। শ্যামলী ২৮ নং ওয়ার্ডে গণসংযোগের মাধ্যমে আজকের কর্মসূচি শেষ হয়।
এদিনও গণসংযোগে জনতার ঢল নেমেছে। প্রচার মিছিলে অংশ নিয়েছেন অনেক সাধারণ মানুষ। দেখা গেছে অনেক বৃদ্ধকে। তাবিথ আউয়াল রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা উৎসুক জনতার সঙ্গে হাত মেলান। কুশল বিনিময় করে ভোট প্রার্থনা করেন। বয়োজ্যেষ্ঠরা তার মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করে দেন। বৃদ্ধারাও দোয়া করেছেন তাবিথকে। পথে পথে রিক্সাযাত্রী, দোকানি, পথচারীদের ভালোবাসয় সিক্ত হন তিনি। যেখানে যাচ্ছেন সেখানে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ বাড়ছে। নেতা-কর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তির ¯েøাগান এবং ধানের শীষের পক্ষে ভোট চান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদীন, আতাউর রহমান ঢালী, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, নাজিম উদ্দিন আলম, নিপুন রায় চৌধুরী, বজলুল বাসিদ আঞ্জু, সাইফুল আলম নীরব, সুলতানা আহমেদ, শফিউল বারী বাবু, আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, মোস্তাফিজুর রহমান, গোলাম সরোয়ার, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, এসএম জাহাঙ্গীর হোসেনসহ বিএনপি ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।