Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পিঠায় সচল ফিরোজার সংসার

নজির হোসেন নজু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৭ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

সারা দেশের ন্যায় সৈয়দপুর উপজেলায় তীব্র শীত পরার সাথে সাথে পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে গেছে। শীত মৌসুমের পুরোটাই চলে পিঠা খাওয়ার ধুম। অবস্থা সম্পন্ন ধনী পরিবারের মধ্যে রকমারী পিঠা খাওয়া চললেও দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের পরিবারের লোকজনদের শীত আসলে পিঠা খাওয়ার ধুম আর হয়ে ওঠে না। রকমারী পিঠার সরঞ্জাম যেমন, চিনি, গুড়, খেজুরের পাটালী রস, দুধ ইত্যাদি অধিকতর মূল্য হওয়ায় তাদের পক্ষে সেগুলো কিনে খাওয়া প্রায় স্ব্েপ্নর মতো। দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষের পিঠা খাওয়ার জন্য শহরের বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে প্রায় শতাধিক পিঠার দোকান। এ সমস্ত ভাসমান পিঠার দোকানের অধিকাংশ মালিকরাই হলো হতদরিদ্র পরিবারের গৃহবধূরা। স্বচ্ছলতা ফেরাতে স্বামীর সংসারে অর্থের যোগান দিতে তারা রাস্তার পাশে তেল পিঠা ও ভাপা পিঠা তৈরি করে বিক্রি করছে। প্রতিটি পিঠা ৩ টাকা থেকে ৫ টাকায় বিক্রি করছে তারা। রিক্সাচালক, দিনমজুর, পথচারী ও শিক্ষার্থী এ সমস্ত পিঠা দোকানের প্রধান ক্রেতা। ক্রেতারা নিজেরা খায় এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্যও নিয়ে যায়। সকাল সন্ধ্যা শহরের দারুল-উলুম-মাদরাসা মোড় এলাকায় আধুনিক সৈয়দপুর প্লাজা মার্কেট, জিকরুল হক সড়ক সংলগ্ন, গোস্ত হাটি সড়ক সংলগ্ন, ১ও ২নং রেলগেট সংলগ্ন, বিজলী সিমেনা হল, তামান্না সিনেমা হল ও রেলওয়ে স্টেশন মোড়ে প্রতিদিন পিঠার দোকান বসে। শীত আসলেই এসব পিঠার দোকানের ওপর প্রায় ৫শ’ পরিবারেরও বেশি পরিবার নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।
ভাসমান দোকানদারদের মধ্যে একজন হলো হতদরিদ্র রিক্সাচালক হাসানুরের স্ত্রী ফিরোজা। যে দারুল-উলুম-মাদরাসার মোড় এলাকার রাস্তার পাশে ভাসমান দোকান দিয়ে পিঠা বিক্রি করেন। তার পিঠা বিক্রি করে তার সংসার চলে। আর এতে তার পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে।
রিক্সাচালক হাসানুরের স্ত্রী ফিরোজা জানায়, তিনি পিঠা বিক্রি করে প্রতিদিন ২শ’ থেকে ৩শ’ টাকা আয় করে থাকেন। এ কারণে শীত মৌসুমে তাদের সংসারে অভাব একে বারেই থাকে না। ফিরোজা মূলত ভাপা পিঠা তৈরি করে বিক্রি করে। এতে থাকে নারিকেল, খেজুর গুড় ও বাদাম এবং খেতেও সুস্বাদু। আর এ কারণেই সৈয়দপুর শহরের সবাই বলেন, ফিরোজার তৈরি পিঠা খেতে বড়ই মিঠা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পিঠা

২৭ ডিসেম্বর, ২০২০
৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
২৪ জানুয়ারি, ২০২০
১৭ জানুয়ারি, ২০২০
১৬ জানুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ