পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের সকল প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের সমস্ত আয়োজন থাকছে প্রথম পর্বের মতোই। আগামীকাল থেকে দ্বিতীয় পর্ব শুরুর কথা থাকলেও ইতোমধ্যে ময়দানে সমবেত মুসল্লিদের উদ্দেশে আজ বাদ মাগরিব থেকে আম বয়ান শুরু হবে। চন্দ্র মাসের হিসেবে আজ সন্ধ্যার পর থেকেই শুক্রবার গণনা করা হয় বলে জানান দ্বিতীয় পর্বের আয়োজক কমিটি। আগামী রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা।
প্রথম পর্বের ন্যায় দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। স্থানীয় প্রশাসন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ইতোমধ্যে ইজতেমা ময়দানের ভেতর এবং বাহিরের আয়োজন সম্পন্ন করেছেন। গত রোববার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে প্রথম পর্ব শেষ হওয়ার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইজতেমা মাঠ খালি করে দেয়া হয়। পরবর্তী চারদিন ময়দানের আবর্জনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়। দ্বিতীয় পর্ব আয়োজনের নেতৃত্বে রয়েছেন ভারতের সা’দ কান্ধলভির অনুসারীদের অন্যতম মুরুব্বি ওয়াসেকুল ইসলাম ও শাহাবউদ্দিন নাসিম গং। প্রথম পর্বের মতোই আমল, আখলাক, দুনিয়া ও আখেরাতে সুখ-শান্তির লক্ষ্যে দিনরাত বয়ান চলবে।
দ্বিতীয় পর্ব সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ইজতেমা ময়দানে মুরুব্বিদের সঙ্গে স্থানীয় এমপি, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বৈঠক করেন। বৈঠকে মন্ত্রী বলেন, প্রথম পর্বের ন্যায় সমস্ত সুযোগ সুবিধা দ্বিতীয় পর্বেও থাকবে। মুসল্লিরা যাতে আসা-যাওয়ায় কোন ধরনের সমস্যায় না পড়েন সে ব্যাপারে সব সংস্থাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ইজতেমায় মুসল্লিদের আসা-যাওয়ার জন্য সড়ক, নৌ ও ট্রেন পথে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রথম পর্বের পর মাঠের ভেতরে যেসব ময়লা আবর্জনা জমা হয়েছিল তা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাড়ে ৪০০ পরিচ্ছন্ন কর্মী এবং ২৯টি বর্জ্য পরিবহণের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়। মাঠে জমে থাকা ময়লা পানি নিষ্কাশন করে ৫০০ ট্রাক বালু ফেলা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্বের জন্য ইজতেমা ময়দান পুরোপুরি প্রস্তুত।
দ্বিতীয় পর্বেও থাকছে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রথম পর্বের ন্যায় দ্বিতীয় পর্বেও র্যাব, পুলিশ ও সাদা পোশাকে থাকছে প্রায় ৮ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। পুরো ময়দান জুড়ে সিসিটিভি, ওয়াচ টাওয়ার ও মেটাল ডিটেক্টরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। মুসল্লিদের পানির সুবিধার্থে প্রতিদিন ৩ কোটি গ্যালন পানি উত্তোলনের সুবিধা থাকছে ইজতেমা ময়দানে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।