বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চলমান নদীর মধ্যে কালভার্ট নির্মাণ করে অভিনব প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন বড়পাঙ্গাসী ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির। নির্মিত ওই কালভার্টটি জনগণের কোন কাজে লাগাতো দূরের কথা উল্টো সেটি স্বাভাবিক নৌ চলাচল ব্যহত হচ্ছে।
অভিনব এমন উন্নয়ন হয়েছে উল্লাপাড়া উপজেলার বড় পাঙ্গাসী ইউনিয়নের সৈয়দপুর পাঙ্গাসী কবরস্থানের পাশে বিল সূর্য শাখা নদীতে। মানুষের চলাচলের রাস্তা তৈরি না করেই কেবল ব্যক্তি স্বার্থে চলমান নদীর মধ্যে কালভার্ট নির্মাণ করে সরকারি কোষাগার থেকে প্রায় ২ লাখ টাকা অপচয়ের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে ঐ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে এলজিএসপি-২ প্রকল্পের আওতায় বড় পাঙ্গাসী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ওই কালভার্টটি নির্মাণ করে ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির লিটন। স্থানীয়রা জানান, ওই নদীর ওপারে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি থাকায় তিনি রাস্তা নির্মাণ না করেই কালভার্ট নির্মানের উদ্যোগ নেন। কালভার্টটি নদীর মধ্যে স্থাপন করে এরপর আর সেখানে মানুষের চলাচলের জন্য কোন সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়নি। এতে কালভার্টটি মানুষের চলাচলের জন্য কোন কাজেই আসছে না। অথচ ব্যক্তি সুবিধার্থে ইউপি চেয়ারম্যান অপরিকল্পিত এমন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নামে সরকারি কোষাগারের টাকা পানিতে ফেলে দিয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিল সূর্য নদীর শাখা খালে কোন রাস্তা ছাড়াই পানির মধ্যে অপরিকল্পিত ভাবে এই কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়েছে। এর দু’পাশে কোন রাস্তাই তৈরি করা হয়নি। বর্তমানে কালভার্টটির চারিদিকে পানি ও কাঁদায় পরিপূর্ণ। নদীটির পাড় দিয়ে এলজিইডি থেকে পাকা রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে।
নদী ভাঙন থেকে রাস্তাটি রক্ষায় এর একপার বক দিয়ে ভাঙন রোধ করা হয়েছে। এখানে কালভার্ট নির্মাণ করায় নৌকা চলাচল ব্যহত হয়। চলমান নদীর মধ্যে কী উদ্দেশ্যে এভাবে কালভার্ট নির্মাণ করা হলো তা স্থানীয়দের বোধগম্য নয়।
এ প্রসঙ্গে মুঠোফোনে জানতে চাইলে বড়পাঙ্গাসী ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির লিটন উত্তেজিত হয়ে জানান, আমি ইউপি চেয়ারম্যান। কোথায় প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে, না হবে, সেটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আপনি যা দেখেছেন তাই লিখতে পারেন।
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃআরিফুজ্জামান জানান, অপরিকল্পিত ভাবে চলমান নদীর মধ্যে কালভার্ট নির্মাণ করার বিষয়টি শুনেছি। তদন্তপূর্বক সত্যতা পেলে ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া সহ প্রকল্পের অর্থ ফেরত নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।