Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘লক্ষ্য মোদের ২ দশমিক ৫ লাখ’

২০১৯ সালে ওয়ালটনের এসি বিক্রিতে ২১৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ জানুয়ারি, ২০২০, ৫:৪৬ পিএম

সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, উচ্চমান, কম বিদ্যুৎ খরচ, সাশ্রয়ী দাম, সহজ কিস্তি সুবিধা, সহজলভ্য ও দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবার নিশ্চয়তা। এসব বৈশিষ্ট্যের কারণে সারা দেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে ওয়ালটন ও মার্সেল ব্র্যান্ডের এয়ার কন্ডিশনার বা এসি। ফলে, এসি বিক্রিতে গত বছর এই দুটি দেশীয় ব্র্যান্ড ২১৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। বাংলাদেশের বাজারে পেয়েছে শীর্ষস্থান। এরই ধারাবাহিকতায় ওয়ালটন গ্রুপ এ বছর আড়াই লাখ ইউনিট এসি বিক্রির টার্গেট নিয়েছে। আগের বছরের তুলনায় যা প্রায় ১৮৭ শতাংশ বেশি।

২০১৯ সালে এসি বিক্রির সাফল্য উৎযাপন উপলক্ষ্যে রাজধানীতে ওয়ালটনের করপোরেট অফিসে দিনব্যাপী এক ‘মেগা অ্যাচিভমেন্ট সেলিব্রেশন ও বেস্ট এসি ব্র্যার্ন্ডিং অ্যাওয়ার্ড’ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। ওই অনুষ্ঠানে ২০২০ সালে ২ দশমিক ৫ লাখ এসি বিক্রির টার্গেট ঘোষণা করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম। তিনি নতুন এই টার্গেটের নাম দেন ‘লক্ষ্য মোদের ২ দশমিক ৫ লাখ’।

সে সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম নুরুল আলম রেজভী, ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম আশরাফুল আলম, পরিচালক মঞ্জুরুল আলম অভি, রাইসা সিগমা হিমা, মাহবুব আলম মৃদুল এবং রিফা তাসনিয়া স্বর্ণা।

দিনব্যাপী ওই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন গ্রুপের বিপণন বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ইভা রেজওয়ানা, ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর মার্কেটিং নেটওয়ার্কের প্রধান মো. এমদাদুল হক সরকার, প্লাজা সেলস এন্ড ডেভলপমেন্ট বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ রায়হান, মার্সেলের হেড অব সেলস ড. মো. সাখাওয়াৎ হোসেন, নির্বাহী পরিচালক এস এম জাহিদ হাসান, মো. হুমায়ুন কবীর, উদয় হাকিম, গোলাম মুর্শেদ, তানভীর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, কর্নেল (অব.) শাহাদাত হোসেন ও আমিন খান, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ইউনিটের প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম, ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. ফিরোজ আলমসহ প্রতিষ্ঠানের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, গ্রাহকদের হাতে সাশ্রয়ী দামে সর্বোচ্চ মানসম্পন্ন ও ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি তুলে দিতে ওয়ালটন এসি গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের দেশী-বিদেশি প্রকৌশলীরা কাজ করছেন। এরইমধ্যে তারা গত বছর ওয়ালটন এসির গুণগতমান বাড়িয়েছে প্রায় ৪৬ শতাংশ। ফলে, গত বছর এসি বিক্রিতে ২১৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের এক নতুন মাইলফলক ছুঁয়েছে ওয়ালটন।

তিনি আরো বলেন, চলতি বছর আমরা ২ দশমিক ৫ লাখ এসি বিক্রির টার্গেট নিয়েছি। সেই লক্ষ্য পূরণে প্রতিমাসেই বাজারে ছাড়া হবে নতুন মডেলের ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার, আয়োনাইজার ও আইওটি বেজড স্মার্ট এসি। পাশাপাশি, স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, হাসপাতাল, হোটেলের মতো মাঝারি স্থাপনার জন্য ৪ ও ৫ টনের ক্যাসেট ও সিলিং টাইপ এসিও ব্যাপকভাবে বাজারজাত করবে ওয়ালটন।

ওয়ালটন গ্রুপের এসি বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর রহমান বলেন, ২০১৮ সালে বাংলাদেশে এসির বাজার ছিলো ৩ লাখ ২০ হাজার ইউনিটের। পরের বছর তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪ লাখ ২০ হাজার ইউনিটে। চলতি বছর দেশের এসি বাজার হবে ৫ থেকে সাড়ে ৫ লাখ ইউনিটের। এ বাজারের ৫০ শতাংশের বেশি হিস্যা নেয়ার লক্ষ্য ওয়ালটন গ্রুপের। তিনি জানান, ২২ শতাংশ শেয়ার নিয়ে গত বছরই দেশের এসি বাজারে শীর্ষে এসেছে ওয়ালটন।

জানা গেছে, ওয়ালটন এসিতে রয়েছে সঠিক বিটিইউর নিশ্চয়তা। এর ইনভার্টার প্রযুক্তির কম্প্রেসর ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে। কম্প্রেসরে ব্যবহৃত হচ্ছে বিশ্বস্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব এইচএফসি গ্যাসমুক্ত আর৪১০এ এবং আর৩২ রেফ্রিজারেন্ট। রয়েছে টার্বোমুড ও আয়োনাইজার প্রযুক্তি, যা দ্রুত ঠান্ডা করার পাশাপাশি রুমের বাতাসকে ধুলা-ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্ত করে। কন্ডেন্সারে ব্যবহার করা হচ্ছে মরিচারোধক গোল্ডেন ফিন কালার প্রযুক্তি। যার ফলে ওয়ালটন এসি টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী। দেশের বাজারে ওয়ালটনই প্রথম মুঠোফোনে নিয়ন্ত্রণযোগ্য স্মার্ট এসি এনেছে।

এসব সুবিধার পাশাপাশি ওয়ালটনের রয়েছে আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এর আওতায় সারা দেশে রয়েছে ৭৩টি সার্ভিস সেন্টারে বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে নিয়োজিত রয়েছেন আড়াই হাজারের বেশি প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান।

গত বছর এসি বিক্রয় বৃদ্ধিতে অসামান্য অবদান রাখায় ১৩ জন এরিয়া ম্যানেজার, ৩ জোনাল ম্যানেজার এবং ১৯ জন বিভাগীয় প্রধানকে দেয়া হয় ‘মেগা এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’। এছাড়া গত বছর দেশব্যাপী ‘এসি এক্সচেঞ্জ’ এবং ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৫’ এর ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানোয় ৯ জন ডিস্ট্রিবিউটর ও প্লাজা ম্যানেজারকে দেয়া হয় ‘বেস্ট ব্র্র্যান্ডিং অ্যাওয়ার্ড’।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওয়ালটন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ