মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অবশেষে বড়সড় স্বস্তি পেলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফ। তার মৃত্যুদন্ড বাতিল ঘোষণা করেছে পাকিস্তানের একটি আদালত। সঙ্গে এও জানিয়ে দেয়া হয়েছে, যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালত তাকে নিয়ে রায় দিয়েছিল, তা অসাংবিধানিক।
রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে গত ১৭ ডিসেম্বর মুশাররফকে ফাঁসির সাজা শোনায় ওই বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালত। সেই রায়ের বিরুদ্ধে ২৭ ডিসেম্বর লাহোর হাই কোর্টে ৮৬ পাতার আবেদন জানিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের আইনজীবী আজহার সিদ্দিকি। আবেদনে তিনি বলেছিলেন, তার মক্কেল মুশাররফ পুরোপুরি নির্দোষ। তাঁকে ফাঁসির সাজা শুনিয়ে ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা চরিতার্থ করেছে তিন বিচারপতির ট্রাইব্যুনাল। এই রায়ের বিরুদ্ধে শুনানির জন্য একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠনের দাবিও জানিয়েছিলেন তিনি। জবাবে লাহোর হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার স্পষ্ট জানান, জরুরি ভিত্তিতে শুনানির জন্য পুরো বেঞ্চ গঠন করা যাবে না। পরে অবশ্য লাহোর হাইকোর্ট বলে, তিন সদস্যের সাধারণ বেঞ্চে ৯ জানুয়ারি হবে শুনানি। সেখানে ফাঁসির সাজা দেয়া বিচারপতিদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যক্তিগত আক্রমণ বা নালিশ করতে পারবেন না মুশাররফের আইনজীবী। ফলে ফের ধাক্কা খান মুশাররফ।
তবে গতকাল সর্বসম্মতভাবে লাহোরের একটি হাই কোর্ট জানিয়ে দিল, মুশাররফের রায় দেয়ার জন্য গঠিত আদালত অসাংবিধানিক। রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলাও আইন মেনে দাখিল করা হয়নি। এমনকি আইনজীবীদের দলও সম্পূর্ণ বেআইনি। সরকার পক্ষের আইনজীবী ইশতাক এ খান জানিয়ে দেন, মুশাররফ এখন মুক্ত। ফেডারেল ক্যাবিনেটের সম্মতিতে মুশাররফের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা দায়ের করা যেতে পারে।
বর্তমানে স্বেচ্ছা নির্বাসনে দুবাইয়ে রয়েছেন এককালের দাপুটে পাক সেনাপ্রধান মুশাররফ। মৃত্যুদন্ডের সাজা ঘোষণার পর এক ভিডিও বার্তায় মুশাররফ দাবি করেছিলেন, ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই তাঁকে ফাঁসির সাজা দেয়া হয়েছে। তবে এবার আদালত মৃত্যুদন্ড বাতিল করায় স্বস্তিতে মুশাররফ।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত পাকিস্তানের মসনদে ছিলেন মুশাররফ। কারগিল যুদ্ধে হারের পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের উপর হারের দায় চাপিয়ে রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন তিনি। তার আমলেই পাক-অধিকৃত কাশ্মীর-সহ গোটা উপমহাদেশে ভারত বিরোধী নাশকতা তুঙ্গে পৌঁছায়। ২০০১ সালে ৯/১১ হামলার পর মুশাররফের নেতৃত্বে আফগানিস্তানে মার্কিন লড়াইয়ে যোগ দেয় পাকিস্তান। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, তার আমলে বেশ মজবুত হয় পাক অর্থনীতি ও সামরিকবাহিনী। ২০০২ সালে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হলেও প্রতিশ্রæতিমতো সেনাপ্রধানের পদ ছাড়তে অস্বীকার করেন মুশাররফ। ২০০৭-এ তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে বরখাস্ত করেন তিনি। তারপর থেকেই মুশাররফের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভের হাওয়া বইতে থাকে। ঘরোয়া রাজনীতির চাপে বাধ্য হয়ে ইস্তফা দিতে হয় তাঁকে। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।