গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বর্তমানে আজিজ সুপার মার্কেট ফ্যাশনের জন্য তরুণ-তরুণীর সবচেয়ে পছন্দের স্থান। বিশেষ করে এ মার্কেটে শিক্ষার্থীদের পদচারণা চোখে পড়ার মতো। ঈদ কিংবা যে কোনো উৎসবের আগে তারা ছুটে যান আজিজে। খুঁজে নেন পছন্দের পোশাক। আজিজ সুপার মার্কেটের সবকিছুতেই যেন শিল্পের ছোঁয়া। ঈদুল ফিতর সামনে রেখে মার্কেটটি সেজেছে আরও নান্দনিক সাজে। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয় পক্ষই মনে করে, সাশ্রয়ী দাম ও ভিন্নধর্মী ডিজাইনের কারণে শিক্ষার্থীদের পছন্দের মার্কেট হিসেবে এ মার্কেট জায়গা করে নিয়েছে।
আজিজ সুপার মার্কেটের নিচতলায় বি. জে পয়েন্ট নামের একটি শোরুম ঈদ উপলক্ষে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করেছে। গতকাল ওই ফ্যাশন হাউস শোরুমে গিয়ে দেখা যায় অন্য শোরুমের চেয়ে একটু বেশিই ভিড় জমিয়েছে ত্রেুতারা। এই বিষয়ে বি.জে পয়েন্টের ব্যাপস্থাপনা পরিচালক বাহালুল আহমেদ ফাহিম বলেন, এখানে যেহেতু তরুণ শ্রেণির ত্রেুতারা বেশি আসে, তাই তাদের কথা চিন্তা করেই এ বছর আমরা ১৫ শতাংশ ডিসকাউন্টের ব্যবস্থা করেছি। শুধু তাই নয়, আমাদের এই মানের পাঞ্জাবি ও টি-শার্ট বাইরে থেকে অন্তত ৩০০-৪০০ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হয়। আগের যে কোনো ঈদের চেয়ে এবার বিক্রি বেশি হচ্ছে বলেও তিনি জানান। তিনি আরো বলেন, তরুণ-তরুণীদের পছন্দকে প্রাধান্য দিয়েই পোশাকের ডিজাইন করা হয়।
ঈদ উপলক্ষে আজিজ মার্কেটের অধিকাংশ পোশাকের দোকানে সাজিয়ে রাখা হয়েছে পাঞ্জাবি ও টি-শার্ট। রয়েছে শার্ট, প্যান্ট, জিন্স, মেয়েদের টপস, বাচ্চাদের ফ্রক, বিভিন্ন কসমেটিকস আইটেম এবং বাহারি ব্যাগ। বড়দের পোশাকের পাশাপাশি ছোটদের পোশাকও রয়েছে। শোরুম ঘুরে দেখা যায়, দেশি পোশাকের অপূর্ব সমাহার। সুতি কাপড়ের ওপর রঙ-বেরঙের সুতার কাজ আর বাহারি ডিজাইনের এসব পোশাক কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা।
এখানে টি-শার্ট ও পলো টি-শার্ট পাওয়া যায় ২০০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে। পাঞ্জাবি পাওয়া যায় ৯০০ থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকায়। ফতুয়া পাওয়া যাচ্ছে ৬৫০ থেকে ৯০০ টাকায়। প্যান্টের দাম এক থেকে দুই হাজার টাকার মধ্যে। শার্ট পাওয়া যাচ্ছে ৫০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকায়। শাড়ি পাওয়া যায় ৮৫০ থেকে পাঁচ হাজার ২০০ টাকায়। মেয়েদের টপস ৮৫০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকায়। বাচ্চাদের ফ্রক পাওয়া যাচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকায়। এছাড়া মেয়েদের ফতুয়া, লং কামিজ, সালোয়ার-কামিজ, থ্রি-পিস, ম্যাচিং ওড়না, সালোয়ার, জুয়েলারি সবকিছুই পাওয়া যায় এ মার্কেটে। মেয়েদের ফতুয়ার দাম ৬০০ থেকে শুরু করে এক হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত। সালোয়ার-কামিজের দাম এক হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত।
ঈদের শপিংটা আজিজ মার্কেট থেকেই করেন বলে জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাসান হাফিজ টুটুল। তিনি বলেন, সাধ্যের মধ্যে রুচিশীল পোশাক কিনতে আজিজ মার্কেটের বিকল্প নেই। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী কাজল জানান, সাধ্যের মধ্যে পছন্দের পাঞ্জাবি কিনতে আজিজ মার্কেটই তার পছন্দ। ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী জান্নাতুল জানান, আজিজ মার্কেটের পোশাকগুলো তৈরি করা হয় দেশীয় তাঁতের কাপড়ের ওপর। নিত্য-নতুন ডিজাইন, কারুকাজ এবং কাপড়ের মান অন্যান্য মার্কেটের তুলনায় অনেক ভালো। দামটাও সাধ্যের মধ্যে।
মার্কেটের বিভিন্ন দোকানের মালিকরা দাবি করেন, সহজলভ্য, আধুনিক ও বৈচিত্র্যময় রুচিশীল পণ্যের সমাহারের কারণেই শিক্ষার্থীরা আজিজে আকৃষ্ট হয়েছেন। আশপাশে অনেক শপিংমল থাকা সত্ত্বেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ ও বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগ আজিজ মার্কেটে কেনাকাটা করে থাকেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।