Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

২০ জুলাই থেকে বোলিং অ্যাকশন সংশোধন

প্রকাশের সময় : ২৯ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : সদ্য সমাপ্ত প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের দায়ে রিপোর্টেড হয়েছেন ১১ বোলার। সেই ১১ বোলারের তালিকায় আছেন গাজী গ্রুপ  ক্রিকেটার্সের স্পিনার মুস্তাফিজুর রহমান ও মঈনুল ইসলাম, আবাহনীর অমিত কুমার নয়ন, প্রাইম  দোলেশ্বরের রেজাউল করিম রাজীব, কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের মোহাম্মদ শরিফউল্লাহ, লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের আসিফ আহমেদ রাতুল, মোহামেডানের নাঈম ইসলাম জুনিয়র ও ফয়সাল হোসেন ডিকেন্স, ব্রাদার্সের সনজিৎ সাহা এবং ক্রিকেট কোচিং স্কুলের মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। এই ১১ বোলারের বোলিং অ্যাকশনের ত্রুটি সারিয়ে ফেলতে বোলিং রিভিউ কমিটি কাজ শুরুর উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী ২০ জুলাই থেকে শুরু হবে বোলিং অ্যাকশন সংশোধনের কাজ। গতকাল  মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে চার সদস্য বিশিষ্ট বোলিং রিভিউ কমিটির প্রথম সভা শেষে এ তথ্য দিয়েছেন কমিটি প্রধান জালাল ইউনুসÑ ‘ঈদের পর আমরা সিদ্ধান্ত  নিব একজন বোলারের বোলিং অ্যাকশনের ত্রুটিগুলো কাটানোর জন্য আমাদের কী কী করতে পারি। কতদিন এমন অবস্থায় তাকে ম্যাচ খেলার অনুমতি দেওয়া হবে। এমন অনেক জটিল বিষয় রয়েছে, এগুলো নিয়ে আলোচনা চলছে। যা এখনো শেষ হয়নি। বোলিং অ্যাকশন শুধরানোর কাজ শুরু হবে জুলাই মাসের ২০ তারিখে। ২০, ২১, ২৫ ও ২৬ জুলাই আমরা দশজন বোলারকে নিয়ে পর্যালোচনা শুরু করবো। তিনজন করে খেলোয়াড় নিয়ে প্রথমে আমরা তাদের পর্যবেক্ষণ করবো। ওই পর্যালোচনার পর বোঝা যাবে কাদের অ্যাকশন বৈধ কাদের অবৈধ। এরপর যাদের অ্যাকশনে সমস্যা রয়েছে আমরা তাদের নিয়ে কাজ করবো। তাদের ত্রুটি সংশোধনের কাজ করবেন বিসিবির কিছু কোচ। আমাদের কমিটির মধ্যে স্পিন ও পেস বিশেষজ্ঞ আছেন তারা এগুলো মনিটরিং করবেন।’
অ্যাকশন সংশোধনে ব্যর্থ হবেন যারা, তাদের উপর কঠোর হবে বিসিবি, এমনটাই জানিয়েছেন জালালÑ ‘মূলত প্রথমে রিপোর্টেড হওয়ার পর আমরা যাদের নিয়ে কাজ করবো, তাদের অ্যাকশন যদি শুধরে যায় তাহলে তাদের খেলার সুযোগ দেওয়া হবে। ১২০ দিন তারা খেলার সুযোগ পাবে। এর মধ্যে যদি আবারও রিপোর্টেড হয়, পর্যালোচনার জন্য আমাদের কাছে আসতে হবে। তখন আমরা তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিব। আমরা চাই না, একজন অবৈধ বোলার দীর্ঘদিন ধরে খেলা চালিয়ে যাক। সেই সুযোগ আমরা ক্রিকেটারদের দেব না।’
আইসিসির নতুন নিয়ম অনুযায়ী একজন বোলারকে বোলিং অ্যাকশনের শুদ্ধতা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন রকম বোলিং করতে হয়। বিসিবি’র বোলিং রিভিউ কমিটিও সেই নিয়ম অনুসরনের পক্ষপাতী বলে জানিয়েছেন জালাল ইউনুসÑ ‘আইসিসির সব নিয়ম মেনেই এটা করা হবে। এটা নির্ণয়ের জন্য কিছু সরঞ্জাম আমাদের কিনতে হবে। কিছু ক্যামেরা লাগবে। আশা করি ২০ জুলাইয়ের আগে সব প্রস্তুুতি করা সম্ভব হবে।’ দ্বিতীয় ধাপে মিনি ল্যাব স্থাপন করতে চেন্নাই এবং কার্ডিফের  ল্যাবরেটরির প্রযুক্তিগত সুবিধা ব্যবহার করার কথাও ভাবছেন তিনিÑ ‘আমরা চেন্নাই এবং  কার্ডিফের যে ল্যাবরেটরি আছে, তাদের সাথে কথা বলেছি। একটা মিনি ল্যাব করারও চিন্তা ভাবনা আছে। এটা  দ্বিতীয় ধাপের কাজ। প্রথম ধাপে যে সমস্যা রয়েছে সেগুলো নিয়ে যদি আমরা কাজ করতে পারি, যদি সমাধান করতে পারি তাহলে আমরা এভাবে চালিয়ে যাব।’ টি-২০ বিশ্বকাপে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ ২ বোলার তাসকিন এবং আরাফাত সানির অ্যাকশন সংশোধনের দায়িত্বটা পড়ছে না বোলিং রিভিউ কমিটির উপর। বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফ তাদের ত্রুটিপূর্ণ বোলিং অ্যাকশন সংশোধনের কাজ করবেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ২০ জুলাই থেকে বোলিং অ্যাকশন সংশোধন
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ