দেশে ক্রমবর্ধমান ইউরোলজি (প্রসাব) সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির তুলনায় চিকিৎসকের এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার স্বল্পতা রয়েছে। তাই দেশের সকল মেডিকেল কলেজে ইউরোলজির পূর্ণাঙ্গ ইউনিট চালু করণের সুপারিশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে ইউরোলজি চিকিৎসা বিজ্ঞানের দ্রুত পরিবর্তনশীল ও বিকাশমান একটি শাখা তাই নব উদ্ভাবিত ও প্রতিষ্ঠিত জ্ঞান ও প্রযুক্তির সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত ও দক্ষ করে তুলতে সরকারী/বেসরকারী ভাবে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়। রোববার (১২ জানুয়ারি) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দুই দিনব্যাপি বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ইউরোলজীক্যাল সার্জনস’র আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে ‘১৪ তম বাউসকন ২০২০’-এর সমাপনীতে বক্তারা এসব কথা বলেন।

গতকাল হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক প্রধান অতিথি থেকে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ সচিব মো. আলী নুর, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. ইকবাল আর্সলান। বাউস এর সভাপতি প্রফেসর ডা. কাজী রফিকুল আবেদীন এ সভায় সভাপতিত্ব করেন এবং সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. শফিকুল আলম চৌধুরী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

স্বাস্থমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানে বাংলাদেশ দ্রুত উন্নতি সাধন করছে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার চলমান উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করত বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। জাহিদ মালেক বলেন, সরকার জনগণের চিকিৎসা চাহিদা পূরণ করতে নতুন অনেক ডাক্তার ও স্বাস্থ্য কর্মী নিয়োগ করেছে। এছাড়াও বিশেষ করে ইউরোলিজী সহ বিবিধ বিভাগে নতুন চিৎিসকরে পদ সৃষ্টি করেছে।

বক্তরা বলেন, বর্তমানে দেশে ইউরোলজিস্টের সংখ্যা মাত্র ৩০০ জন। সরকারী মতে বিশেষজ্ঞ ইউরোলজিষ্ট এর পদ মাত্র ১১৬টি যা বিশাল সংখ্যক ইউরোলিজি সংক্রান্ত রোগীর তুলনায় খুবই অপ্রতুল।